পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

・38や বঙ্কিমচন্দ্র ৰচনায় সৌন্দর্য্য, বাক্য-বিদ্যাসে সৌন্দৰ্য্য, শব্দ চয়নে সৌন্দর্য্য। তাহার উপন্যাসের অনেক পত্রিপাত্রীও সেখীন, সৌন্দৰ্য্যপ্রিয় । তাহার আদর্শও সৌন্দৰ্য্য। তাহার অনেক ক্ষুদ্র স্বাক্টর রচনারীতি খুব সৌধীন। সেকালে “সাহিত্যে"র একটা জাকালো সংস্করণ বাহির হইত। খুব পুরু মন্থণ কাগজে উৎকৃষ্ট কালিতে ছাপ, বহুমূল্য গোলাপী মলাটের কাগজে মোড় । অগ্রিম বার্ষিক মূল্য ১০ দশ টাকা । ইহা ‘রাজসংস্করণ । রাজসংস্করণ রাজাদের পাতে দিবার যোগ্য সংস্করণ, অথবা সংস্করণের রাজা, তাহ বলিতে পারি না । তবে ইহা মনে আছে, কোনও রাজা ইহার গ্রাহক হন নাই । কোনও প্রজাও হন নাই। এক শত ছাপা হইত। এক জন ‘গ্রাহক হইয়াছিলেন। তিনি রাজা ও প্রজার মধ্যবৰ্ত্ত ;– টাঙ্গাইলের জমাদার কবি শ্ৰীযুত প্রমথনাথ রায় চৌধুরী। পুরাতন হিসাবে ভূস্বামী রাজ । ইনি এখন ‘রাজা’র ভাই দাদা বটে। স্বাক | অবশিষ্ট নিরনব্বইখানি আমরা বাছিয়া বিলি করিতাম। একদিন সেই রাজসংস্করণের “সাহিত্য” লইয়া বঙ্কিমবাবুকে দিতে যাই । বঙ্কিমবাবু ভাল ছাপা পছন্দ করিতেন। “সাহিত্য খানি হাতে করিয়া লইলেন ; বলিলেন, “বাঃ, চমৎকার!” উণ্টাইয়৷ পাণ্টাইয়া দেখিলেন ; আমার দিকে চাষ্টিয়া বলিলেন, “এত খরচ করিয়া সামলাইতে পারিবে কি ?” আমি বলিলাম, “এক শত এই রকম ছাপা হয়, সব নয়।” “তাতেও ত অনেক খরচ পড়িৰে । কে লইবে ?”