পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্ত্রের বাল্যশিক্ষা : \లిసి 2নদিনীর আশমানীর রূপবর্ণনা পাঠ করিলে সকলে তাহ বুঝিতে পারিবেন। ভারতচন্দ্র সম্বন্ধে তাহার এই মত চিরস্থায়ী ছিল কি না, জানি না, কেন না, তাহার মতামত চিরদিনই পরিবর্তনশীল ছিল, সেই জন্য র্তাহার গ্রন্থগুলি প্রতি সংস্করণে প্রচুরপরিমাণে পরিবর্তিত হইত। এমন কি, তাহার মৃত্যুর কিছুকাল পূৰ্ব্বে “ইন্দিরা” উপন্যাসটি আবার rewrite করিবেন, এমন ইচ্ছাও তিনি প্রকাশ করিয়াছিলেন, কিন্তু তাছা ঘটিয়া উঠে নাই। জয়দেবের “ধীরসমীরে যমুনাতীরে বসতি বনে বনমালী" কবিতাটা তাহার বড় প্রিয় ছিল। কি বালো, কি কৈশোরে, কি যৌবনে, এই কবিতাট তাহার মুখে গুনিতাম ; যখন নিষ্কৰ্ম্ম হইয়া বসিতেন, বাহিরের লোক কেহ ঘরে থাকিত না, তখন উহ। আওড়াইতেন। ঐ কবিতাট যে র্তাহার প্রিয় ছিল, তাহার স্মৃতি “আনন-মঠে” রাখিয়া গিয়াছেন, যথা:– “ধীরসমীরে তটিনীতীরে বসতি বনে বরনারী। ম। কুর ধনুৰ্দ্ধৰ গমনবিলম্বনমতিবিধুর স্বকুমারী।" আর একটা গীত র্তাহার বড় প্রিয় ছিল। বাল্যকালে আপনি এই গীতটতে মাতিয়া ছিলেন, পরে আনন্দমঠের সন্তানদিগকেও ৷ এই গীতে মাতাইয়াছিলেন। একদিন মাঘমাসের রাত্রিশেষে এই গীত তিনি প্রথম গুনিলেন। মাঘমাসের প্রথমেই এক রাত্রিশেষে এক বৈষ্ণব খঞ্জনী বাজাইয়া সদর রাস্তায় এই গানটা গাহিতেছিল আমি তখন জাগ্ৰং-মধুর কণ্ঠে এই রাত্রে ক্ষে গীত গাহিতেছে