পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o বঙ্কিম-প্রসঙ্গ শুনিয়া অগ্রজকে উঠাইলাম ; গান শুনা যাইতেছিল না, অগ্রজ একটা জানালা খুলিয়া দিলে গীতটা শুনিতে পাইলাম—“হরে মুরারে মধুকৈটভারে, গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দসৌরে।” বৈষ্ণব এই গীতট গাহিতে গাহিতে ঠাকুর-বাটীর দিকে চলিয়া গেল। বঙ্কিমচন্দ্র “হরে মুরারে মধুকৈটভারে” আওড়াইতে আওড়াইতে জানাল বন্ধ করিলেন। পর রাত্রে ঠিক ঐ সময়ে আসিয়া বৈষ্ণব সেই গীতটিই গাহিল! এইরূপ কয়েক রাত্রি ধরিয়াই তিনি গানটী শুনিলেন। ইহার পর অষ্টপ্রহর এই গীতট র্তাহার মুখে শুনিতাম । দোলের পূর্বরাত্রে আমাদের ঠাকুর-বাড়ীতে বড় ধূম হইত, নেড়াপোড়া হইত, অনেক বাজি পুড়িত, রাত্রে যাত্র অথবা কীৰ্ত্তন হইত। এই উপলক্ষে অনেক ভদ্রলোক এবং ভদ্রমহিলা উপস্থিত হইতেন, ইতরলোকের ত কথাই ছিল না । মেদনীপুর হইতে আসিবার পর প্রথম দোলযাত্রার এইদিন আমার বিশেষ স্মরণ আছে। ফাল্গুনের পূর্ণিমা রাত্রি—মধু্যামিনী—বঙ্কিমচন্দ্র চিরদিনই স্বভাবের সৌন্দর্য দেখিতে ভালবাসিতেন, আজ রাত্রে তাহার ভারি ফুৰ্ত্তি,— কখনও অৰ্জ্জুন পুষ্করিণীর ধারে, কখনও গঙ্গাতীরে, কখনও বা এখানে-ওখানে বেড়াইতেছেন—অবশেষে ঠাকুর-বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ঠাকুরবাড়ীতে লোকারণ্য, ভিড় ঠেলিয়া মন্দির-মধ্যে তিনি প্রবেশ করিলেন। কীৰ্ত্তন হইবে, চারিদিকে , আলো জলিতেছে। একস্থানে অনেকগুলি ভাটপাড়ার পণ্ডিত পৃথগাসনে বসিয়া আছেন। তন্মধ্যে হলধর তর্কচূড়ামণি মহাশদও