পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এস এস বঁধু এস ՏՎԶ অলঙ্কারপ্রিয়া সুন্দরীর একছড়া মতির মালায় মন উঠে নাই, আবার একছড়া তুলিতেছেন, ৰে ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টি করিতেছেন, সেই ব্যক্তি ঐ পটে অঙ্কিত নাই। ছবিখানি বড় সুন্দর, সকলেই উহার প্রশংসা করিতেন। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র কি ঐ ছবির সৌন্দৰ্য্য দেখিতেছিলেন ?. তাহা নহে। কে বলিবে তাহার মনে তথন কি হইতেছিল ? মানবের স্বভাব এই, একাগ্রভাবে চিন্তা করিবার সময় সাধারণতঃ সে অনন্তমনে একটা পদার্থের প্রতি চাহিয়া থাকে ; তাহার দৃষ্টি এক স্থানে আবদ্ধ থাকে। আমি বুঝিতে পারিলাম বে, তাহার হৃদয় উচ্ছাসোমুখ সমুদ্রের স্থায় ক্ষীত হইয়া উঠিতেছে। সম্মুখে ঐ ছবিটি ছিল, সেই জন্ত দৃষ্টি উহার প্রতি স্থাপিত হইয়াছিল । তিনি নিজেই “বঙ্গদর্শনে” লিখিয়াগিয়াছেন— “যখন এই গান প্রথম কর্ণ ভরিয়া গুনিয়াছিলাম, মনে হইয়াছিল, নীলাকাশতলে ক্ষুদ্র পক্ষী হইয়। .এই গীত–মনে হইয়াছিল, সেই বিচিত্র স্বষ্টিকুশলী কবির স্বষ্টি দৈব বংশী লইয়া মেঘের উপর যে বায়ুস্তর শব্দশূন্ত, দৃশুশূন্ত, পৃথিবী যেখান হইতে দেখা যায় না ; সেই খানে বসিয়া, সেই মুরলীতে, একা এই গীত গাই—এই গীত কখন তুলিতে পারিলাম না ; কখন পারিব না।” বঙ্কিমচন্দ্র যেমন গান শেষ হইলে ছবির প্রতি এক দৃষ্টি চাহিয়া ছিলেন, তেমন তাহার অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র গীত শেষ হইলে শয়ন করিয়া কড়িবরগার দিকে একদৃষ্টি চাহিয়াছিলেন। তিনিও প্রতিভাশালী, তাহারও মনে কত কি উদয় হইতেছিল, কে জানে ? গান্ধক পুনরায় ঘরে প্রবেশ করিল। আবার গান আরম্ভ হইল।