পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসম্পপণ্য রচনা-রাজমোহনের স্ত্রী স্থির বঝিলেন যে, আমি না বাঁচাইলে হেমাঙ্গনী ও মাধবের রক্ষা নাই, যদি প্ৰাণ পৰ্য্যন্ত পণ কারিয়া তাহদের রক্ষা করিতে পারি, তবে তাহাও করব। মাতঙ্গিনী প্রথমোদ্যমে মনে করিলেন, গহস্থ সকলকে জাগরিত করাযা, সকল ঘটনা বিবত করেন, কিন্তু তৎক্ষণাৎ সে ভাব অন্তহিত হহল; ভাবিলেন, তাহাতে কোন উপকার হইবে না। কেন না, রাজমোহনের আত্মপরিবার। এমত অশ্রতপক্ষািব সংবাদ বিশ্বাস করিবেক না; বিশ্বাস করিলেও মাধবের উপকারার্থ রাজমোহনের বিরাদ্ধাচারী হইবেক না। বরং লাভের মধ্যে তাহারা রাজমোহনের নিকট মাতঙ্গিনীকে এতদ্বিষযে, সংবাদ-দাত্রী বলিয়া পরিচিত করলে মাতঙ্গিনীর মহাবিপদ সম্ভাবনা। t পশ্চাৎ বিবেচনা করিলেন যে, কেবল কনককে জাগ্ৰত করিষা, তাহাকে সকল সংবাদ অবগত করান ; এবং যাহা উচিত হয়। পরামর্শ করেন। তদভিপ্ৰাযে মাতঙ্গিনী শয্যাত্যাগ করিষা বাড়ীর বাহিরে আসিলেন। কনকের গহি সন্নিকট। মাতঙ্গিনী ধীরে ধীবে কনকেব৷ গাহাভিমাখে। গমন করিতে লাগিলেন। চন্দ্রালোকে পথিবী প্ৰফল্লিতা। মাতঙ্গিনী কনকের গহ-দ্বারে উপনীত হইযা ধীরে ধীরে কাবাঘাত করিলেন । কনকের নিদ্রাভঙ্গ হইতে না হই৩ে কনকের মাতা কহিল " কে রে ?” সব্বনাশ! কনকের মাতা অতিশয মািখরা, মাতঙ্গিনীর এ কথা সমৰ্ষণই ছিল না। মাতঙ্গিনী ভয়ে নিঃশব্দে রহিলেন। কনকের মাতা পািনঃ পন্যঃ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ কে রে?” “কে রে?” মাতঙ্গিনী সাহস কবিযা কম্পিত কন্ঠে বলিল, “ আমি গে। কনকোব মাতা কোপযক্ত সত্বরে কহিল " কে ? --রাজার বেী বঝি, এত রাত্রে তুমি এখানে কেন গা ?” মাতঙ্গিনী মাদাসম্বরে বলিলেন, ‘ কনককে একটা কথা বলিব।" কনকোব মাতা বলিল, “বাত্রে কথা কি আবার একটা ? সারাদিন কথা কধ্যে কি আশ মেটে না ? ভালমানষেব মেযেছেলে বাত্রে এ-ব ডুী ও-বাডী কি গা ? বউ-মানন, এখনই এ সব ধরেছ ?-চল দেখি তোমাব পিশোঁসেব কাছে।” মাতার তত্তজনে গজ্ঞজনে কনকের নিদ্ৰাভঙ্গ হইল, বত্তান্ত বঝিযা কনক কহিল, মা, দােমারটা খলে দাও, শনিই না কি বলে।” BBBB BBBDB DBB BDSB BDBDDDSEEDB BBBBDD MOBB BBSDBD DBB LJBBSBDD DBB HS কনক নিস্পন্দ ও নিৰ্ব্ববাক হইল। মাতঙ্গিনী দীঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করি যা গহে প্রত্যাগমন করিলেন, এবং পািনরাব্য গভীর চিন্তায় অভিভূত হইলেন। ভাবিলেন, “কি করি ? কেমন করে BBBD DBDD DB D SDBD DBDBDBBD BBSDS BBBB S BB BDBBB SD S DBD DBBBBD K DJ 0 DKLD BDBB উপায নাই।” পবক্ষণে ভাবিলেন- “কেমন করিষা। যাইব ? লোকে কি বালিবে ? মাধব কি মনে করিবে ? শািন্ধ, তাহাই নহে, স্বামী জানিতে পারিলে প্ৰমাদ ঘটিবে। ৩গা হউক।--লোকে যাই বলক – মাধব সাঙ্গা হয মনে করােক —স্বামী যাহা কবে বব-ক ত5জন্য মাতঙ্গিনী ভীতা নহে ।” কিন্ত মাতঙ্গিনী যাইতে সাহস কবিলেন না। এ গভীর নিশীথকালে এই নিস্তব্ধ বানান্ত পথ, তা হাতে আবার একাকিনী অবলা, নবীন বন্যাসী, বাল্যকালাবধি ভৌতিক উপন্যাস শ্ৰবণে। হৃদযমধ্যে ভৌতিক-ভীতি বিষম প্রবলা। পথ অতি দগম। তাহাতে আবাবা দস্যদল কোথাব্য জটিল কবি যা আছে; যদি তাহদের করকবলিত হযেন ? এই কথা সন্মতিমাত্র ভীমে মাতঙ্গিনীব শবীর বোমাঞ্চিত হইল। যদি দস্যদলমধ্যে মাতঙ্গিনী স্বামীব দন্টিপথে পতিতা হযেন ? এই ভযে মাতঙ্গিনী পািনঃ পািনঃ বোমাঞ্চিত হইতে লাগিলেন। সর্বভাবতঃ মাতঙ্গিনীর হৃদয সাহস-সম্পন্ন। যে অন্তঃকরণে স্নেহ আছে, প্রাস সে অন্তঃকরণে সাহস বিবাজ করে। প্ৰিযতমা সহোদরা ও তৎপতিব মঙ্গলাথ মাতঙ্গিনী প্ৰাণ পয্যন্ত দিতে উদ্যত হইলেন। যেমন উপস্থিত বিপত্তির বিকট মাত্তি পািনঃ পানঃ মনোমধ্যে প্রকাটিত হইতে DDBDBS BDD DDDu BDBB DDBDBBD DBBD DDBSLTBB BB sBBSDDDB ভাসমান হইযা বললেন, “এ ছার জীবন আর কি জন্য ? যদি এ সংকল্পে প্রাণ রক্ষা না হয়, তাতেই বা ক্ষতি কি ? এ গরভার বহন করা আমার পক্ষে কািন্টকর হইযাছে। কাজেই এ দেহ ত্যাগ করিতে ইচ্ছা করে। যাহারা প্ৰাণাধিক তাহদের মঙ্গল সাধনে এ প্রাণ ত্যাগ না করি কেন ? আমার ভয় কি ? প্ৰাণনাশাধিক বিপদও ঘটিতে পারে; জগদীশ্বর রক্ষাকত্তা।” SOS