পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2*°न्मान-2न७ লইয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র ছটির কিয়দংশ গ্যহে থাকিয়া আইন-পস্তক পাঠে ও ‘মণিালিনী'র পান্ডুলিপি-সংশোধনে অতিবাহিত করিলেন, এবং অবশেষে ‘মাণালিনী’ ছাপিতে দিয়া কাশীধামে চলিয়া গেলেন। তখনকার দিনে ছাপার কায্য তত দ্রুত অগ্রসর হইত না। ‘মণিালিনী’ মাদ্রিত হইতে এক বৎসরের উপর সময় লাগিয়াছিল। অবকাশান্তে বঙ্কিমচন্দ্ৰ আলিপরে ফিরিয়া আসিলেন (৫ ডিসেম্বর ১৮৬৯); তখনও "মােণালিনী ছাপা শেষ হয় নাই। তবে এখন মনে হয় ইহাের অব্যবহিত পরেই ‘মণিালিনী’ প্রকাশিত হইয়াছিল। কারণ শচীশচন্দ্র বলেন, বঙ্কিমচন্দ্র “মাণালিনী’ প্ৰকাশ করিয়া বহরমপর চলিয়া যান (১৫ ডিসেম্বর, ১৮৬৯)। বঙ্কিমচন্দ্র এই উপন্যাসখানি অভিন্ন হৃদয় সহৃদ দীনবন্ধ মিত্রকে উৎসগা করিয়াছিলেন। পািব্ব দইখানি উপন্যাসের মত বঙ্কিমচন্দ্রের ‘মণিালিনী’ও সমসাময়িক শক্ষিত মহলে অভিনন্দিত হয়। প্রসিদ্ধ সমালোচক সপন্ডিত রাজেন্দ্রলাল মিত্র স্বীয় “রহস্য-সন্দভে” এ পাস্তকের বিস্তৃত সমালোচনা করেন। তিনি অন্যান্য গ্রন্থের কথা উল্লেখ করিয়া প্রসঙ্গতঃ লেখেন : “এই প্রকারে বিবিধ গ্রন্থের আলোচনান্তর আমরা মক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতে পারি যে বঙ্গভাষায় গদ্যে “মণিালিনী'র সদশে সচার, গ্রন্থ। অদ্যাপি মাদ্রিত হয় নাই; এবং যে কোন ভাষায় গ্রন্থকার ঐরােপ রম্য রচনা নিৎপন্ন করিলে বিশেষ প্রশংসার ভাজন হইতেন। সাধারণের একটি সংস্কার আছে যে নব্য সম্প্রদায় ইংরাজীর অন্যরাগে সব্বদা ব্যাপােত থাকায় সর্বদেশভাষার নিতান্ত অবজ্ঞা করেন, সতরাং তাহার উন্নতি-সাধনে বা তাহাতে সন্দ্রচনায় সব্বতোভাবে অক্ষম। শ্ৰীযক্ত বঙ্কিমবাব যে কুসংস্কারের একেবারে উনমিলন করিয়াছেন। তিনি বাল্যকালাবধি ইংরাজীর অন্যরাগী...তাত্ৰাপি তিনি বাঙগালা ভাষায় যে প্রকার পস্তক রচনা করিয়াছেন, তাহা কোন মহামহোপাধ্যায় পন্ডিতদ্বারা অদ্যাপি নিৎপন্ন হয় নাই। বহ কালাবধি বঙ্গভাষায় উপন্যাসের নাম শানিলে শ্রোতার মনে বেতাল পাঁচিশ বা বত্রিশসিংহাসন মনে পড়িত। ইংরাজীতে সশিক্ষিত ব্যক্তিরা কএক বৎসরাবধি তাহার অন্যথা চেন্টায় ভূত-প্রেতের পরিবত্তে মানষিক ঘটনার উপন্যাস রচনায় প্রবত্ত হন; এবং কয়েকখানি সচার পস্তকও প্রস্তুত করিয়াছেন। কিন্তু কেহই ইংরাজীর প্রকৃত নভেলের পারিপাট্য লাভ করিতে পারেন নাই। বঙ্কিমবাবও সেই অনােরাগের অন্যরাগী; এবং ইংরাজী উপন্যাস লেখকের মধ্যে সঙ্কট নামা একজন শ্রেষ্ঠতমকে আদশ স্বীকার করিয়া পর পর তিনখানি গ্রন্থ প্রস্তুত করিয়াছেন, এবং পরম আহাদের বিষয় এই যে তাহাতে তিনি সব্বতোভাবে সিদ্ধসঙ্কলপ হইয়াছেন; অধিকন্তু যে কেহ ঐ তিনখানি গ্রন্থ পাঠ করিয়াছেন তোেহ অবশ্যই স্বীকার করিবেন যে তাঁহার রচনাচাতুয্যের ও গলপবিন্যাসের ক্ষমতা উত্তরোত্তর সমধিক উৎকৃষ্টতা লাভ করিয়াছে।” (রহস্য-সন্দভী, ১৯২৭ সংবৎ, ৫৭ খন্ড, পঃ ১৪২) ‘কপালকুন্ডলা'র ন্যায়। ‘মণিালিনী’ও কাব্যাংশে উৎকৃষ্ণাট। গিরিজায়া এবং মণালিনীর মখে পদাবলী সঙ্গীত ও ছড়া অনেকগলি তিনি আমাদের শনাইয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্ৰ যে ঐ সময়েই বাংলার লোকসঙগীত, ছড়া ও বৈষ্ণবপদাবলীর সঙ্গে বিশেষ পরিচিত ছিলেন, এগলি তাহারই দ্যোতক। হিন্দ স্থানীতে ‘মণিালিনী’র অন্যবাদ হইয়াছিল (১৮৮O) । উপন্যাসখানির নাট্যরপ ন্যাশনাল থিয়েটারের উদ্যোগে ১৮৭৪ সনে অভিনীত হয়। বিষবক্ষ "বিষবক্ষ’ ‘বঙ্গদর্শনের প্রথম সংখ্যা হইতে (বৈশাখ ১২৭৯) ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্র ১৮৭৩ সনে এখানিকে পস্তকাকারে প্রকাশিত করেন। তাঁহার জীবদ্দশায় ইহার আটটি সংস্করণ বাহির হয়। অস্টেম সংস্করণের প্রকাশকাল ১৮৯২ সন । ইতিপবে তিনখানি উপন্যাস রচনা করিয়া বঙ্কিমচন্দ্র প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন। ‘বিষবস্তৃক্ষ’ সম্পর্ণে নািতন ধরণের বিষয়বস্তু লইয়া রচিত হইল। বাংলার তৎকালীন দই’ প্রধান সামাজিক সমস্যা— বিধবা বিবাহ ও বহ, বিবাহ। বণ্ডিকমচন্দ্র বিষবক্ষে এই দাইটি সামাজিক সমস্যার অবতারণা করিলেন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের আলোচনার সঙেগ সঙ্গে। উপন্যাসের মাধ্যমে একটি সম্পপণ নািতন জিনিস পাইয়া বঙ্গসমাজ বিমোহিত হইল। রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন : “বঙ্গদশনে যে জিনিসটা সেদিন বাংলা র সকলের মনকে নাড়া দিয়েছিল। সে হচ্চে বিষবক্ষ। এর পকেব। বঙ্কিমচন্দ্রের திே ‘काळकून्ऊब्ला' ७ ‘शाब्लिन्ौ' ᏬᎸ