পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડરછ রোগের যন্ত্রণ রোগী, যবে চিকিৎসক আরোগ্য ভরসা ছাড়ে। বল কি করিলে, সাধিলে কি কাষ তবে জগতে আসিয়া ? ধৰ্ম্ম-শাস্ত্র বটে উচ্চে বলিবে তোমারে, রহ রহ সহ স্থত, পাইবে সান্ত না ?”— হবে সুখী পরকালে এ দেহ ত্যজিলে ?” কিন্তু হায়, যদি তাহে করহ বিশ্বাস, দূরিকে তোমার ছখ ক্ষণেকের তরে । যথা অহিফেণ দূরে রোগের যাতনা বঙ্গদর্শন । ( আষাঢ় । ਬ੧ਿ। জানি । বল, প্রমাণ-বিহীন কল্পিত যে আশা, সে কি তিৈিবারে পারে-- যবে সাংসারিক হুখে শোণিত শুকায়, করে হৃদয়েরে শূন্য, মনেরে নিস্তেজ ? : —তখন ফুটিবে তব স্বজ্ঞানের আঁখি, শিহরি দেখিবে যবে প্রকৃতির রীতি, তখন বলিবে ভূমি—“প্রকাও জগতে কণামাত্র বটে আমি।”—তবে কেন অশি। 2 জীবনেরে ছেড়ে দাও সংসারের স্রোতে । সাবেক “মনুষ্যত্ব” \S হালের “माङ्ग्रेन করা ।” ইংরাজের সহবাসে বাঙ্গালী ষে কত কি হারাইয়াছে, তাহার ঠিক নাই । বৃাঙ্গালীর কথকতা উঠিয়া গিয়াছে । কবি, পাচালী, যাত্রা; একেবারে নাই বলিলেই হয় । যে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের স্বভাবের নির্ভীকতা, সত্যনিষ্ঠত, ধৰ্ম্মপরত। প্রভূতি বলে সমাজে এক প্রকার অগ্রণী হইয়াছিলেন, তাহাদিগের নাম লুপ্তপ্রায় হইয়া উঠিতেছে। যে সকল সামাজিক কার্য্যে ও বাৎসরিক পৰ্ব্বাহে সমস্ত দেশীর লোক আনন্দে উন্মত্ত হইত, তাহ। কমিয়া আসিতেছে । যে সন্তোষ বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে বিরাজ করিত, তাহ আর দেখিতে পাওয়া যায় না । আত্মীয়ের, কুটুম্বের ও প্রতিবেশীর বিপদে সম্পদে লোকে যেমন বুক দিয়া পড়িত, এক্ষণে তাহ দেখিতে পাওয়া যায় না । এখন সবাইজাপন লইয়া ব্যস্ত, কেহ কাহারও অঃপদ বিপদে মনোযোগ দেয় না । কিছুতেই যেন লোকের তৃপ্তি হয় না। দেশীয় সমাজ-বন্ধন ক্রমে শিথিল হইয়। আসিয়াছে । গ্রাম বা নগরবাসীদিগের মধ্যে যে একটু বাধাবধি সম্পর্ক ছিল, সকলেই পরম্পরের কার্ষ্যে যেমন পরম্পরের মুখাপেক্ষা করিত, এক্ষণে আর সেট দেখা যায় না । ইংরাজ গবর্ণমেন্ট, ইংরাজ রাজপুরুস, হৰ্ত্তাকর্ড বিধাতা হইয়াছেন । সকলেই তাহাদের মুখাপেক্ষা করেন । পুরাণ পারিবারিক, গ্রামিক, নাগরিক, সামাজিক বন্ধন খুলিয়া মানুষ স্ব স্ব প্রধান হইয়া উঠিতেছে। তাহাদের জাতীয় চরিত্র,এমন কি তাহাদের জীবনের উদ্দেশ্যও যেন পৃথক হইয়া দাড়াইয়াছে। পূৰ্ব্বে বাঙ্গালায় মনুষ্য জীবনের উ८६°ा भन्नषाद हिल । भन्नगाश् कथाणै। বলিলে যজ্ঞ ভাব ব্যক্ত হয়, এত কি আর