পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 Woe o সিংহাসনোপরি ১০৮ খণ্ড বৃহৎ মাণিক্য স্বশোভিত দেখিয়াছেন । তাহার প্রত্যেক খণ্ডের ১• e হইতে ২০০ শত রঞ্জিকা পৰ্য্যম্ভ পরিমাণ হইবেক । মার্কপলে কহেন, সিংহলেশ্বরের একখানি বৃহৎ মাণিক্য ছিল। কবুলাই 4 এই বহুমূল্য প্রস্তর খণ্ডের জন্য সিংহলাধিপতিকে একটা ক্ষুদ্র রাজ্য প্রদান করিতে চাহিয়াছিলেন; কিন্তু তাহাতেও তিনি এই প্রস্তর বিক্রয় করেন নাই । টাবরনিয়ার র্তাহার ভ্রমণ বৃত্তাভেলিখিয়াছন যে, বিশাপুরের রাজার একখানি উৎকৃষ্ট ৫০ রত্তিক পরিমাণের মাণিক্য ছিল। এক্ষণে এতাদৃশ বৃহৎ মাণিক্য ভূমণ্ডলস্থ রাজ-ভাণ্ডারে স্থলভ হইয়া পড়িয়াছে। লুই নেপোলিয়ানের রাজমুকুটে কয়েকখানি উত্তম মাণিক্য ছিল। ১৮৬২ খৃষ্টাব্দের প্রদর্শনে আমাদিগের মহারাজী এম্প্রেশ মহোদয়ার দুই খানি মাণিক্য যাহা প্রদর্শিত হইয়াছিল, তাহ প্রশংসার যোগ্য । রুশিয়ার রাজভাণ্ডারে একখানি বৃহৎ ও উৎকৃষ্ট মাণিক্য আছে। উহা সুইডেনের নৃপতি তৃতীয় গষ্টেভস্ উপঢৌকন প্রদান করিয়াছিলেন। ইহাভিন্ন অষ্ট্ৰীয়ার রাজমুকুটে কয়েকখানি বহু মূল্য মাণিক্য আছে। প্রাচীন ইতিবৃত্ত লেখকের বহুমূল্য মাণিক্যের বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। থিওফেসটস এবং প্লিনি প্রজ্জ্বলিত দীপশিখার ন্যায় দীধিতি-বিকাশক মাণিক্যের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । ৫০০ थूडेicचब्र পূর্বে গ্ৰীকগুণ বৃহৎ মাণিক্যের উপর ৰে বঙ্গদর্শন । (জাবাড়"। সকল স্থপৃশ্য প্রতিকৃতি খোদিত করিতেন, তাহা কঞকখান এপৰ্য্যন্ত বর্তমান আছে। মাণিক্য এক প্রকার প্রস্তর। রত্নশাস্ত্রে তাহার এতগুলি নাম আছে। যথা— “মাণিক্য” ১, “শোণরত্ন” ২, “রত্বরাজ” ৩, “রবিরত্ন” ৪, “শৃঙ্গারী” ৫, “রঞ্জ মাণিক্য” ৬, “তরুণ” , “রাগযুক্‌” ৮, “পগুরাগ” ৯, “রত্ন” ১০, “শোণোপল” ১১, “সৌগন্ধিক” ১২, "লোহিতক” ১৩ “কুরুবিন্ধ” ১৪ । রত্নশাস্ত্রোক্ত এই সকল নামের মধ্যে ২।৪।৬৭৮৯৷১১৷১৩ নাম বর্ণ ঘটিত । বিশেষ ১১ অর্থাৎ শোণোপল নামটীতে উহার বর্ণ ও স্বরূপ স্পষ্টতঃ উল্লেখ আছে। শোণোপল অর্থাৎ রক্তবর্ণ প্রস্তর। “রক্ত বর্ণ প্রস্তরই মাণিক” এই কথা বলিলাম বলিয়া যে সে রাঙ্গা পাথর মাণিক নহে । রত্নশাস্ত্রে ইহার বিশেষ বিশেষ লক্ষণ ও পরীক্ষাদি বর্ণিত আছে। সেই লক্ষণাদিযুক্ত প্রস্তর বিশেষই মাণিক্য । রত্নশাস্ত্রে মাণিক্য নামক রত্বের যেরূপ লক্ষণাদি বর্ণন দৃষ্ট হয়, তদনুসারে বোধ হয়, আধু নিক “পাল্লা” নামক প্রস্তর বিশেষকেই পূৰ্ব্বকালের সংস্কৃতবেত্তারা “মাণিক্য" নামে অভিহিত করিতেন। তাহা হইলে পান্না ও মাণিক একই পদার্থ ; তবে মাণিক্য নামটা সংস্কৃত নাম, এবং পারা নামটী পারসিক নাম, ইহাই স্বসিদ্ধান্ত। পুরাণাদি শাস্ত্রে রয়োৎপত্তির বিষয় বেরূপ লিখিত আছে তাহার অজন্তৰ जांमॉरगज cवांषणभा इग्न नां । बण नांप्य