পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ミbザ ) এক অস্থর, তাহার বিশুদ্ধ সত্বাক্ৰান্ত অবয়ব সকল রত্নোথপত্তির কারণ, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক” প্রকার প্রলাপকল্প গল্প আছে । এই প্ৰলাপকল্প গল্পের দ্বারা আমরা রত্বোৎপত্তির মূলভাব গ্রহণ করিতে অসমর্থ,তবে রত্নশাস্ত্রে যে তুই একটী কথার উল্লেখ দৃষ্ট হয়, তদনুসারে অতি সামান্যাকারে রত্নোথপত্তির বীজ ও ভাব গ্রহণ করিতে পারা যায় । রতুশাস্ত্রে তিন প্রকার মতের আভাস পাওয়া যায় । যথা— “মহোদরে সরিভি বা পৰ্ব্বতে কাননেহপিব । তত্ত্বদাকারতাং যাতং স্থানতৃমাধের গৌরবাৎ ” { যুক্তিকল্পতরুঃ । “কেচিদ্বদভিভূবঃ স্বভাবাৎ ' বৈকৃতাচ্চানানোযাঞ্চভূতানাম । প্রাতুর্ভবস্তি রত্নানি—” [জ্যোতিষম । হউক, কিংবা অরণ্যে (অরণ্যস্থ সপাদি জন্তুতে) হউক, স্থান অর্থাৎ তত্তং স্থানীয় বস্তু বিশেষ আধেয় অর্থাৎ আগন্তুক কিংবা ৮জাকাশিক (জলাদি) বস্তুর শক্তিতে সেই সেই রত্বের আকার প্রাপ্ত হয় । কেহ বলেন, পৃথিবীর স্বভাব বলেই রত্ন সকল প্রাতৃভূত হয় ; অপরে বলেন, ভূত সকল অর্থাৎ জিতি, জল, বায়ুও তেজ, এই সকল পরস্পর পরস্পর কর্তৃক “অন্থবিদ্ধ হইয়া পৃথক পৃথক বিকার ভাব প্রাপ্ত হয়, তাহাতেই রত্ন সকল উৎপন্ন রত্নরহস্য । SV) इञ्च । बांश इडक, बिउँौञ्च ७ फूडीब्र भडणै আংশিক ভাল বটে । যে কোন রত্ন হউক, অগ্রে আকার, তৎপরে বর্ণ, তৎপরে গুণ ও দোষ, পরে ফলাফল, পশ্চাৎ জাতি বিজাতি পরীক্ষা, মূল্যাবধারণ করিতে হয়, যথা— “আকারবর্ণেী প্রথমং গুণদোষে৷ তৎফলং পরীক্ষাচ । মূল্যঞ্চ রত্ন কুশলৈর্বিজ্ঞেয়ং সৰ্ব্ব শাস্ত্রানাম ।” [ গরুড় পুরাণ । অতএব, আমরা মাণিক্য সম্বন্ধেও উক্ত নিয়মের বশবর্তী হইয়া অগ্রে আকার, পরে বর্ণ ও গুণ দোষাদির কথা বলিব । আকার । এস্থলে আকার ও লক্ষণ একই কথা। অতএব রাজনির্ঘণ্ট গ্রন্থে লক্ষণ শব্দের উল্লেখে যে সকল আকারগত চিহ্নের কথা বর্ণিত হুইয়াছে, তাহাই এস্থলে সৰ্ব্বাগ্রে উদ্ধৃত হইল। যথা— “স্নিগ্ধং গুরু গাত্রযুতং দীপ্তং স্বচ্ছং সমাজঞ্চ সুরঙ্গদঞ্চ । ইতি জাত্য মাণিক্যং কল্যাণং ধারণাৎ কুরুতে।” স্নিগ্ধ—অর্থাৎ স্নেহ-গুণযুক্ত (টলটলে) গুরু-গাত্রযুক্ত—অর্থাৎ দৃশ্যে ও ওজনে ভারি (অন্যান্য সাধারণ কাচ পাথর অপেক্ষা ইহা সমধিক ভারি) । দীপ্ত— দীপ্তিমান । স্বচ্ছ—সুন্দর নিৰ্ম্মল । সমাঙ্গ —গঠন সমান। সুরঙ্গদ—সুন্দর, রাগ