পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७१. অর্থাৎ রঞ্জনকারী (এই শক্তির বিন্নয় পরে शाख दहेप्य) ।' “বিরুপং রাগ বিমলং লঘু মাণিক্যং নধারয়েৰীমান।” যাহার রূপবিকৃত, রাগ অর্থাৎ রক্ততা বিকৃত বা মলিন, আকার ও ওজনে লঘু, বুদ্ধিমান ব্যক্তি এরূপ মাণিক্য ধারণ করি বেন না। অর্থাৎ এরূপ মাণিক্য উৎকৃষ্ট নহে । “মাণিক্যং কষ ঘর্ষণেইপ্যবিফলং রাগেন জাত্যং জগুঃ ” [ রাজনির্ঘণ্টঃ । কষ, অর্থাৎ কষ্টিপাথর । কষ্টিপাথরে স্বৰ্ষণ করিলে যে মাণিক্য ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না এবং দৃষ্ট স্থানের রাগ অর্থাৎ রক্তিম। নষ্ট হয় না, তাহাই জাত্য মাণিক, ইহা রত্নতত্বজ্ঞ পণ্ডিতেরা বলিয়াছেন । জাত্য মাণিক্য কি ? তাহ পরে বর্ণন করা যাইবেক । এক্ষণে দুই চারিট গু৭ দোষের কথা বলা যাউক । বস্তু মাত্রেরই দুই শ্রেণীর গুণ আছে। এক রাসায়নিক গুণ, দ্বিতীয় শোভাগত গুণ। রাসায়নিক গুণ সকল বৈদ্যশাস্ত্ৰে পরিগৃহীত হইয়াছে, সে সকল সংগ্রহ করা এ প্রস্তাবে অপ্রয়োজন । রত্নশাস্ত্ৰে যে শোভাগত গুণের, উল্লেখ আছে তাহাই সংগ্ৰহ করা যাউক । ఆ6 \ *গুরুত্বং স্নিগ্ধতাচৈব বৈমল্য মতি রক্ততা ।” [ যুক্তি কল্পতরু । वक्रमर्थन । ” " ( আষাঢ় । গুরুত্ব অর্থাৎ ওজনে ভারি । স্নিগ্ধতা অর্থাৎ স্নেহাজের ভাব । বৈমূল্য অর্থাৎ নিৰ্ম্মলের ভাব । অতিরক্ততা অর্থাৎ অসাধারণ রক্ত বর্ণের ভার । এই রক্ত বর্ণের ভাবটী ছায়া-নির্ণয় ব্যতীত বোধগম্য হইতে পারে না । পদ্মরাগ বা মাণিক্য মণির ছায়া কি ? তাহ পশ্চাৎ নির্দিষ্ট হইবে । ফল, উপরোক্ত গুণ থাকিলেই তাহ উৎকৃষ্ট মাণিক্য হইবে। এই গুণ কয়েকটা মতান্তরে অভি স্পষ্ট রূপে উক্ত হইয়াছে । यथा

  • বর্ণাধিকং গুরুত্বঞ্চ @ স্নিগ্ধতাচ তথাচ্ছত । অৰ্চিত্মত্তা মহত্তাচ মণীনাং গুণ সংগ্ৰহঃ ।”

[ কল্পক্রমধুত বচন । বর্ণের আধিক্য অর্থাৎ সৰ্ব্বাপেক্ষা উৎ কৃষ্ট বর্ণযুক্ততা । গুরুত্ব—ভারগত আধিক্য । স্নিগ্ধতা—স্নেহ অক্ষিভের ন্যায় দৃশ্য অর্থাৎ লাবণ্যযুক্ত। আচ্ছতা— নৈৰ্ম্মল্য । অচিন্মত্তা—তেজ বা দীপ্তিমত্তা । মহত্তা—বৃহতের ভাব । ( অর্থাৎ ষে মণি যত বড় সে ততই উৎকৃষ্ট । এই জন্য মহত্তা একটী প্রধান গুণ) । ইহাই মণি সকলের গুণের সংগ্ৰহ । অর্থাৎ এই সকল গুণ মণিমাত্রেরই থাকা আবশ্যক । এতদ্ভিন্ন বিশেষ বিশেষ গুণ সকল প্রসঙ্গ ক্রমে ব্যক্ত হইবেক । সম্প্রতি পূৰ্ব্বোক্ত জাত্য মাণিক্য শঙ্গের অর্থ নিৰ্ব্বাচন করা ফাইতেছে । , মণিমাত্রেরই জাতি আছে। তাহ।