} ১৩২ ৷ (বঙ্গদর্শন, অtঃ, ১২৮২ : {"সময় কালী বাড়ীতে আরতি দেখিতে গিয়া প্রণাম করিয়া মনে মনে রলিলেন, “হে মা কালি, রজনীকান্ত যেন আমার বর হয়।” তৎপরদিন প্রত্যুষে স্বর্ণপ্রভার মাসি দুর্গ দুর্গ বলিয়া শয্যা : গাত্ৰোখান করিতেছিল, স্বর্ণপ্রভা অমনি | মনে মনে বলিল, “হে মা দুর্গ। রজনী কান্ত যেন আমার বর হয়।” । পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৷ . কেশ বিদ্যাস । । তাহাই হইল, দুই সপ্তাহ পরে দেব তারা স্বর্ণপ্রভার প্রার্থনা শুনিলেন, রজনী কান্তের সহিত তাহার বিবাহ স্থির হইল। | আগামী সোমবার ২২শে আষাঢ়ে বিবাহের দিন ধাৰ্য্য হইল। অদা গাত্রে | হরিদ্র,স্ববর্ণপুরে বড় ধুম; বরকত্তা, কস্তা| কৰ্ত্তা উভয়েই ধনাঢ্য, উভয়েই বিবাহ| উপলক্ষে প্রচুর অর্থ ব্যয় করিতে প্রস্তুত। - o | স্বর্ণপ্রভার আহলাদের শেষ নাই, রজনী কান্ত তাহার বর হইবে। " | অপরাহে তাহার বিংশতি বর্ষীয় | বিধবা ভগিনী কুমুদিনী তাহার কেশরাশি i লইয়া প্রাসাদোপরি বসিয়া বিন্যাস করি | সকলকেই আদর করিতে ভালবাসিতেন, ఉ না করে স্বপ্রভা বাট পৌঁছিয়াসদ্ধার রিয়া বলিলেন, “আহা ! কুমু আমাদের } কেউ কখন দেখে নাই।” আদর দুিদি । | কষ্ঠা-কৰ্ত্তার বাড়ীতে অদ্য বড় গোল, তেছিল। সম্মুখে আদর निन् िनोदनं । | এক বৃদ্ধ ঠাকুরাণী দিদি দাড়াইয়া,| আদরদিদি নামেওযেমন কাজেও তেমন, | লাগিল" শীগগিরম শীগগির মর্শী গির মৰু” : ভগিনীদ্বয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠাকে উপলক্ষক কি সুন্দরী । অমনসুন্দরী স্বর্ণও ময়—”: কুমুদিনী বিরক্ত হইয়া বলিল, “আদর : দিদি স্বর্ণের চেয়ে আমায় স্থার বলিলে । আমি কি সস্তুষ্ট হইব ?” স্বর্ণপ্রভা চুপি । চুপি জিজ্ঞাসা করিল, “দিদি রাগ করিলি । কেন, সত্য সত্যই ত তোর মতন সুন্দরী | * | ভীত এবং অপ্রতিভ হইয়া কহিলেন, “ তা ' নয় আমি স্বর্ণপ্রভাকে কুৎসিত বলি নাই, স্বর্ণও বড় সুন্দরী, আর তেমনি উপযুক্ত o পাত্রেও পড়িল ; কুমু, তুই স্বর্ণপ্রভার । i বর রজনীকান্তকে কখন দেখিয়ছিস ?” । কুমুদিনী নীরব হইয়া রহিল। " আদর। অামি দেখিয়াছি,দিবিব সুন্দর, তবে কি না, শুনেছি সদা সৰ্ব্বদা বিমর্ষ, . বুঝি কোন আবাগি ঔষধ করেছে,আহা ! কার রূপে বশীভূত হইয়াছে, তা হক, আমাদের স্বর্ণপ্রভা তেমন মেয়ে নয় শীঘ্ৰ , বশ করে লেবে । 驗 এই প্রকারে কথোপকথন চলিতে ছিল, কিন্তু কুমুদিনী উহাতে বিরক্তি প্রকাশ । করাতে আদর দিদি চলিয়া গেল। স্বর্ণপ্রভা কেশ রচনা শেষ হইলে চলিয়া o গেল,যাইতেই অস্ফুট স্বরে আদরদিদিকে: সম্বোধন করিয়া মাথা নাড়িতেই বলিতে | ·±ಜ=ಷ=ಜಣæä``` - - S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S
