পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दजम*न छtt, ४२०२ 1) পরিণত হইয়াছিল; ভীমসেনে ইহা বলবৃদ্ধির কারণ হইয়াছিল; কেবল দ্রৌপদীতেই ইহা ধৰ্ম্মামুরাগ অপেক্ষা প্রবল । নহিলে তিনি স্বয়ম্বর সভাতলে পিতৃ- । সত্যের ব্যতিক্রম করিয়া বলিতেন না যে, “ আমি সুতপুত্রকে বিবাহ করিব না ।” তা ন হইলে দুর্য্যোধনের সভায় স্বামীর পণ ব্যতিক্রম করিয়া কুটপ্রশ্ন করিতেন না। এটি স্বভাবসঙ্গতই হইতেছে, স্ত্রীলোকের গৰ্ব্ব, সহজে ধৰ্ম্মকে অতিক্রম করে। এত স্বক্ষ কারুকাৰ্য্যে দ্রৌপদীচরিত্র নিশ্মিত হইয়াছে। সভাতলে দ্রৌপদীর দর্প ও তেজস্বিত আরও বৰ্দ্ধিত হইল । তিনি দুঃশাসনকে বলিলেন, “ যদি ইন্দ্রাদি দেবগণও তেীর সহায় হন, তথাপি রাজপুত্রেরা তোকে কখনই ক্ষমা করিবেন না ।” স্বামিকুলকে উপলক্ষ করিয়া সৰ্ব্বসমীপে মুক্ত কণ্ঠে বলিলেন,“ ভরতবংশীয়গণের ধৰ্ম্মে ধিক্‌ ! ক্ষত্ৰধৰ্ম্মজ্ঞগণের চরিত্র একেবারেই নষ্ট হইয়া গিয়াছে।” ভীষ্মাদি গুরুজনকে মুখের উপর তিরস্কার করিয়া বলিলেন, “ বুঝিলাম দ্রোণ, ভীষ্ম, ও মহাত্মা বিস্তুরের কিছুমাত্র স্বত্ব নাই ।” কিন্তু অবলার তেজঃ কতক্ষণ থাকে ! মহাভারতের কবি, মনুষ্যচরিত্র সাগরের তলদেশ পর্য্যস্ত নখদপণবৎ দেখিতে পাইতেন। মথন কর্ণ দ্রৌপদীকে বেশ্য বলিল, দুঃশাসন তাহার পরিধেয় আকৰণ করিতে গেল, তখন আর দর্প রহিল - اسستطسمم قضه দ্রৌপদী। ভিমন্থাতে ইহ আত্মশক্তিনিশ্চয়তায় | না—ভয়াধিক্যে হৃদর দ্রবীভূত হইল। 求S)* তখন দ্রৌপদী ডাকিতে লাগিলেন, “ হা নাথ ! হা রমানাথ! হা ব্ৰজনাথ! হা দুঃখনাশ! আমি কোরবসাগরে নিমগ্ন হইয়াছি —আমাকে উদ্ধার কর ”ি এস্থলে কবি- : ত্বের চরমোৎকর্ষ। বলিয়াছি, যে দ্রৌপদী স্ত্রীজাতি বলিয়া র্তাহার হৃদয়ে দর্প এত প্রবল, যে তা- . হাতে সময়ে সময়ে ধৰ্ম্মজ্ঞান আচ্ছন্ন হ- , ইয়া উঠে। কিন্তু তাছার ধৰ্ম্মজ্ঞানও অসামান্য-যখন তিনি দপিতা রাজমহিষী হইয়া না দাড়ান, তখন জনম ওলে তাদৃশী ধৰ্ম্মাম্বুরাগিণী আছে বোধ । হয় না ।এই প্রবল ধৰ্ম্মামুরাগই, প্রবলতর দৰ্পের মানদণ্ডের স্বরূপ। এই অসামান্য ধৰ্ম্মানুরাগ, এবং তেজস্বিতার সহিত সেই ধৰ্ম্মামুরাগের রমণীয় সামঞ্জস্য, ধৃতরাষ্ট্রের নিকট তাহার বরগ্রহণ কালে । অতি সুন্দরব্রুপে পরিস্ফুট হইয়াছে। সে । স্থানটি এত সুন্দর, যে যিনি তাহ শতবার পাঠ করিয়াছেন, তিনি তাহা অার একবার পাঠ করিলেও অমুখী হইবেন না । এজন্য সেই স্থানটি আমরা উদ্ধৃত করি লাম । “হিতৈষী রাজা ধৃতরাষ্ট্র দুৰ্য্যোধনকে ; এই রূপ তিরস্কার করিয়া সাত্বনাবাক্যে দ্রৌপদীকে কহিলেন, হে দ্রুপদতনয়ে! তুমি আমার নিকট স্বীয় অভিলষিত বর প্রার্থনা কর, তুমি আমার সমুদায় বধূগণ অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । দ্রৌপদী কহিলেন হে ভরতকুল- }