পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

きやがV2 আত্মাভিমান । झंक्र”-न्छन्...क... আশ্বিং, *Հե * কাৰ্য্য অন্য মূল হইতে উৎপন্ন হয়। যে যে বিষয় ভাল বুঝে যাহার কল্পনা যে বিষয়োৎপন্ন সুখ বীর বার ধ্যান করিয়াছে সে সেই বিষয়েরই অনুসরণ করে । সুতরাং যাহারা সম্মানাকশজফ বশতঃ নীচগামী হন তাহাদিগের বুদ্ধি ভ্রমজালে আবদ্ধ । সম্মানাকাজার কোনই দোষ নাই । স্বাভাবিক বুদ্ধি অথবা বিদ্যাভিমান ; স্বাভাবিক বুদ্ধির নিমিত্ত অভিমানী লোক সৰ্ব্বদাই নূতন তত্ত্ব আবিষ্কার অ থবা নূতন মত প্রকাশ করিতে ব্যস্ত। বস্তুতঃ সংসারে এই সংখ্যক লোক ষত অধিক হয়, মানব সমাজ ততই নুতন মত এবং নুতন তত্ত্ব জানিতে পারে। বুদ্ধির জন্য অভিমান না থাকিলে কে বহুকাল প্রচলিত সহস্ৰ সহস্ৰ পণ্ডিতানুমোদিত আপামর সাধারণের মতের বিরোধী কথা ব্যক্ত করিতে সাহসী হইত ? জগতে এমন অনেক বুদ্ধিজীবী লোক আছেন, র্যাহার অনেক নূতন বিষয়ের চিস্ত করেন,চিন্তা করিয়া অনেক সময়ে অনেক নূতন তত্ত্বও অবধারণ করেন কিন্তু अडिगान न থাকায় তাহারা জন সাধারণের বিশ্বাসতীত মত প্রচার করিতে সাহস পান না। বস্তুতঃ নিরভিমান যে মানব সমাজকে কত নূতন মত সুতরাং তজ্জাত উপকার হইতে বঞ্চিত করিতেছে তাহা আমরা রলিতে পারি না । - পক্ষান্তরে স্বাভাবিক বুদ্ধির অভিমানী লোক অনেক সময়ে যথোচিত চিত্ত৷ না করিয়াই নূতন মত ব্যক্ত করেন এবং তদনুসরণকারীকে যারপর নাই ক্ষতি- ' গ্রস্ত করেন। অনেক সময়ে গ্রন্থাদি । অধ্যয়ন, অর্থাৎ অন্যের মত গ্ৰহণ পক্ষে এত উদাসীন হয়েন যে, বিবেচ্য বিষয় সকল ভাবে বিচার করেন না। কিন্তু ! এজন্য আমরা অভিমানের উপর দোষারোপ করিতে পারি না । স্বাভাবিক বুদ্ধিজীবী লোক যদি অন্যের বুদ্ধি ও মত শুনেন, তাহা হইলে কদাপি তাহার বুদ্ধি মলিন হয় না, বরং প্রখর ও মার্জিত । হয়। বুদ্ধির নৈসর্গিক অবস্থা পুষ্পকো- . রকবৎ। যেরূপ স্বৰ্য্য রশ্মি প্রভৃতির । অভাবে কোরক প্রস্ফুটিত হইয়া পুষ্পে পরিণত হয় না, সেইরূপ উচিতরূপে | চর্চিত ও মাৰ্জ্জিত না হইলে স্বাভাবিক | বুদ্ধি প্রস্ফটিত হইয়া উচিতরূপে চিত্ত৷ করিতে সক্ষম হয় না। তবে যে স্বাভাবিক বুদ্ধিজীবী লোক অন্যের মতাদি পক্ষে { যার পর নাই উদাসীন হয় তাহ প্রকৃত অভিমানমূলক নহে—তাহা তাহাদিগের মনঃসংযোগাভাবের ফল । - বিদ্যাভিমানিলোক নিরস্তুর গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করেন এবং তন্নিবন্ধন স্বয়ংঅনেক উন্নতিলাভ এবং মানব সমাজকেও অশেষ ঋণে আবদ্ধ করেন। কিন্তু স্বাধীনচিত্ত । বিবর্জিত হইয়া সৰ্ব্বদা গ্রন্থ অধ্যয়ন করিলে সম্পূর্ণরূপে কাৰ্য্যক্ষমতা হারাইতে । হয় এবং অস্মদেশীয় ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়