दणव-ईन, ४च्छ",४९v* ) नद्रिक्लब यनख श्रेब्रटिश् । দুরে,মে রমণীশ্রেণীখোলা পবনে;— “দেখ ওহে প্রভঞ্জন, আসিছে বাস্বকী কেন আজি রণ স্থলে ত্রিদিৰ রাজ্যের চাপে,ধরণীর ভার বহিতে না পারি, কাতরতা জানাইতে আসিতেছে বুৰি ।” কহিলা পবন স্বনে, বিস্থিত অস্তরে, দেখায়ে; উজ্জল রথে কমলা শুভ্রায় – “ঐ বুঝি উজ্জল ফণী ; ঐ বুঝি জলে তাহে দীপ্ত মণিযুগ, এই বুঝি দীর্ঘ দেহ পশ্চাতে নিরখি ক্রমাগত, যাহে জড়িত মন্দর নিজে কীরদ মন্থনে ?” বিস্ময়ে চমকি পুনঃ কহিলা বাসব ;– “একি দেখি, আসেন পদ্মালয়, সঙ্গে লয়ে দৈত্য নারী কুলে ; ওই দেখ বামে বসি, শুভ্রা সীমস্তিনী, দীপ্ত রথোপরে ; কি জানি ফিরিল বুঝি মতি কমলার।” অবাকৃ হইয়া সবে দাড়াইলা রণে। ক্ষণ মাত্রে আসি রথ উপস্থিত সেথ। মহা সমরের গোল অত্যন্তর দিয়া, হেরিলা শুম্ভেরে ; শুভ্রা, নিরাশ্রয় বীর, নাহি নিজ বল কেহ, ঘেরেছে শক্রতে। মেঘেতে ৰিজাত যথা খেলিতে খেলিতে, পড়ে শৃঙ্গধরে ছুটে, আসিছেন ছুটি কালী, ত্যজি সৈন্ত নাশ, আস্ফালিয়া শূল বধিতে শুম্ভেরে। আন্তেব্যস্তে, হাহাকারে অমনি ধাইলা শুত্র, ঠেলি সেন কুলে, কালিকার দিকে, নাহি করি প্রাঞ্চে ভয় । পড়িল আসিয়া পদে ; বাহুলতা দ্বারা বধিলা চরণযুগ ; আকুল পরাণে কহিতে লাগিল;-“রক্ষ, রক্ষ,রক্ষাকালি, বধো না আমার, মাতঃ প্রাণের ঈশ্বরে! বধিবে তাহারে মদি, বধ আগে মোরে ঘুচায়ে জঞ্জাল; লতা পাতা কাটি আগে, কাটে কাটুরিয়া তরুবরে । গলায় প, দেহ গো আগেতে মোর, পরে করোষাহ হয়, অভিরুচি তব৷ ” কাদিতে লাগিলা, রাণী লুটাইয়া মাথা, মছ আৰ্ত্তনাদে । ধীরে ধীরে আসি লক্ষ্মী,ভাষিলেন তবে; “ মাগো, ক্ষান্ত হও মহামায়, বধো নাক আর শুম্ভে; না চাহি গো, মুক্তি আর। থাকিব গো চির বদ্ধ, সেও মোর ভাল, দৈত্য নারী কুল দুখ সহিতে না পারি।” বিস্ময়ে তুলিয়া মুখ, হেরিলেন চণ্ডী সম্মুখে কেশব প্রিয়া, বিনীত, ভাবেতে মাগিছেন কৃপা সতী শুস্তের লাগিয়া । অমুর অঙ্গনা কুল এ দিকে সকলে যুটিলা আসিয়া ক্রমে রপক্ষেত্র মাঝে। হাহাকার রবে দিক পূরিলা সকলে – | পড়িলা আছাড়ি কেহ বিবশী হইয়া ছিন্নমূল তরু সম মৃত পতি দেহে । কেহ প্রাণপুত্র মুণ্ড কুড়াইয়া লরি • চুম্বি পুনঃ পুনঃ উল্লাহ, কাদে উচ্চৈঃস্বরে। কেহ প্রিয় সহোদর ধরি গলদেশ | তাসায় শরীর মরি, নয়নের নীরে । উচ্চৈঃস্বরে ঝোরে কেহ স্বজনেরগুণ।– ঘোর আর্জনাদে দিক ভাসিয়া উঠিল!” স্তম্ভিত হইল কালী দেখেন সে ভাব। টলিল দারুণ মন বামাদল হুখে ; ছাড়িয়া নিশ্বাস সতী নামাইল মুখ। গভীর চিত্তায় মরি হইলা অচল ।
