পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

همه | (बज**म, ज्यादा:, ०९४० ।। ক্ষণ শক্তি আছে, কিন্তু মীমাংসা করিবার তাদৃশী ক্ষমতা নাই। বলিতে অতিশয় দুঃখ উপস্থিত হইতেছে, তিনি বহুবিবাহ বাদ পুস্তক প্রচার দ্বারা এই কয়টি কথা অনেক অংশে সপ্রমাণ করিয়া দিয়াছেন।” পুনশ্চ ৬ পৃষ্টায়,— “ফলতঃ, এই অলৌকিক আচরণ দ্বারা তর্কবাচস্পতি মহাশয় যে রাগদ্বেষের নিতান্ত বশীভূত ও নিতান্ত অবিমৃশ্যকারী মনুষ্য, ইহারই সম্পূর্ণ পরিচয় প্রদান করা হইয়াছে । ” তর্কবাচস্পতি যেমন ইচ্ছা তেমন মনুষ্য হউন, সাধারণের তাহাতে ইষ্ট বা অনিষ্ট নাই। তিনি কুলোক হইলেও, বিচাৰ্য্য বিষয় কেবল এই যে র্তাহার উক্ত কথাগুলি যথার্থ, না অযথার্থ ? যদি সে গুলি অযথার্থ হয়, তবে তাহার চরিত্রের কথা উল্লেখ না করিয়াও র্তাহার মত খণ্ডন করা যাইতে পারে। . আর যদি সে কথাগুলি যথার্থ হয়, তবে প্রতিপক্ষ যেমন চরিত্র হউন না কেন, তাহা যথার্থই থাকিবে। রাগ, দ্বেষ এবং অবিমৃশ্যকারিত .বোধহয় পৃথিবীতে এত স্থলভ, যে আমরা অন্ত্যের প্রতি তাহার আরোপণ না করিলেই ভাল করিব। এই নৈতিক উক্তির প্রমাণস্বরূপ, গঙ্গাধরকবিরাজ মহাশয়ের সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর যাহা বলিয়াছেন, তাহা আমরা পাঠকমহাশয়কে উপহার দিব । “যদি এরূপ রাজাজ্ঞা প্রচারিত থাকিত, পূৰ্ব্বে বঙ্গদেশ বাসী অধুনা মুরসিদাবাদনি =உை বাসী, সৰ্ব্বশাস্ত্ৰদশী, চিকিৎসাব্যবসায়ী, শ্ৰীযুক্ত গঙ্গাধর রায় কবিরাজ কবিরত্ন মহোদয় যে স্মৃতিবচনের যে অর্থ যথার্থ বা অযথার্থৰ লয়। অভিপ্রায় প্রকাশ করিবেন; অদ্যাবধি দ্বিরুক্তি না করিয়া ঐ অর্থ যথার্থ বা অযথার্থ বলিয়া ভারতবর্ষবাসী লোকদিগকে শিরোধাৰ্য্য করিতে হইবেক, তাহা হইলে আমি যে সকল ব্যাখ্যা লিখিয়াছি, সে সমস্ত যথার্থ নহে, তীয় এই সিদ্ধান্ত নিৰ্ব্বিবাদে অঙ্গীকৃত হইতে পারিত। কিন্তু, সৌভাগ্যক্রমে, সে রূপ রাজাজ্ঞা প্রচারিত নাই; স্বতরাং অকুতোভয়ে निর্দেশ করিতেছি, আমি, শাস্ত্রের অযথার্থ ব্যাখ্যা লিখিয়া, লোককে প্রতারণা করিবার নিমিত্ত প্রয়ার্স পাই নাই। পূর্কে নির্দেশ করিয়াছি, এবং এক্ষণেও নির্দেশ করিতেছি, কবিরাজ মহাশয় ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ, চিকিৎসা বিষয়ে কিরূপ বলিতে পারিনা, কিন্তু ধৰ্ম্মশাস্ত্র বিষয়ে র্তাহার কিছুমাত্র নাড়ীজ্ঞান নাই; এজহুই নিতান্ত নিৰ্ব্বিবেক হইয়া,এরূপ গৰ্ব্বিত বাক্যে, এরূপ উদ্ধত, এরূপ অসঙ্গত নি: র্দেশ করিয়াছেন।” . পুনশ্চ, ২৩৯ পৃষ্ঠায়, “ফলকথা এই, কবিরত্ন মহাশয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র বিষয়ে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ; * * * এজন্তই এরূপ অসঙ্গত ও অশ্রুতপূৰ্ব্ব ব্যবস্থা প্রচার করিয়াছেন। যাহার যে | শাস্ত্রে বোধও অধিকার না থাকে, নিতান্ত অৰ্ব্বাচীন না হইলে সে ব্যক্তি সাহস করিয়া সে শাস্ত্রের মীমাংসায় হস্তক্ষেপ