পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dy LiSiSi বহুবিবাহ। (ৰঙ্গমৰ্শম, আৰts, ১২৮০। ষ্যৎকালে ভদ্রতা ও সভ্যতা স্থান পাইতে| পারে, এই বাসনায়, তিস্বজাতীয় গণের নিকট চিরকাল আমরা ইতরজাতি বলিয়া পরিচিত না থাকি, এই ইচ্ছায়, আমরা এই কুপ্রথারনিন্দ করিলাম। আমাদিগের এই বিশেষ আশঙ্কা যে বিদ্যাসাগর মহাশয় কতকগুলি লেখকের আদর্শস্বরূপ, র্তাহার এ নজির দেখিয়া অপরিমিত রসিকতা উদগীৰ্ণ করিতে আরম্ভ করিবেন। সেই আশঙ্কাতেই আমরা এত কথা বলিতে বাধ্য হইলাম। নচেৎ যে বাক্য উপদেশ বাক্যের ন্যায় শুনায়, তাহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতি প্রয়োগ করিতে আমাদের লজ্জা করে। বিদ্যাসাগর মহাশয়, সদক্ষষ্ঠান প্রিয়তা গুণে আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। যাহাদিগকে তিনি কটুকথা বলিয়াছেন— তারীনাথ তর্কবাচস্পতি বা গঙ্গাধর রায় কবিরাজ, ইহাদিগকে আমরা চিনি না; তাহাদিগের পক্ষতাবলম্বন করিয়া বিদ্যাসাগরের প্রতি দোষারোপ করিব এমত কোন কারণই নাই। র্তাহার প্রথম পুস্তকের উত্তরে ইহারা যাহা লিখিয়াছেন, তাহার যৎকিঞ্চিৎ পরিচয় পাইয়াছি, তাহাতে র্তাহাদিগের লিপি প্রণালীর ও প্রশংসা করিতে পারিন । র্তাহারাও ৷ বিদ্যাসাগরকে কটু বলিতে ত্রুটি করেন নাই। গালি খাইয়। বিদ্যাসাগর গালিদিয়াছেন । কিন্তু যাহার। লিপিকার্য্যের সুসভ্য প্রণালী তাদৃশ অবগত নহেন, বিদ্যাসাগর যে তাহাদিগের অনুকরণে প্রবৃত্ত হুইয়াছেন, ইহারই জন্য এত কথা ്ങ്ങ്===~ বলিলাম। কেবল বঙ্গীয় সাহিত্য হইতে অসভ্যতা কলঙ্ক দূর করিবার প্রয়োজনায়ুরোধেই, এসকল কথা বলিতে হইল। বহু বিবাহ বিষয়ক দ্বিতীয় পুস্তকে যে ভাষা ব্যবহৃত হইয়াছে, তাহাতে ভদ্রসমাজে বিচার চলিতে পারে না । ভদ্র লেখকে বিদ্যাসাগরকে বলিতে পারেন, “আপনার সহিত বিচারে প্রবৃত্ত হইব না। যিনি ভদ্রলোকের ব্যবহার্য্য ভাষা ব্যবহার না করিয়া কটুক্তি করেন, তাহার সহিত বিচার করিতে ঘৃণা করি।” যে কয়টিকথা বলা আমাদিগের উদেখ তাহা সংক্ষেপে পুনরুক্ত করিতেছি। ১। বহুবিবাহ অতি কুপ্রথা; যিনি তাহার বিরোধী তিনিই আমাদিগের কৃত জ্ঞতার ভাজন । ২ । বহুবিবাহ এ দেশে স্বতই নিবারিত হইয়া আসিতেছে ; অল্পদিনে একেবারে লুপ্ত হইবার সম্ভাবনা ; তজ্জন্ত বি শেষ আড়ম্বর আবশ্যক বোধহয় না । সুশিক্ষার ফলে উহা অবশু লুপ্ত হইবে। ৩ । এ কথা যদিও সত্য বলিয়া স্বী কার না করা যায়, তথাপি ইহার অশাস্ত্রী য়তা প্রমাণ করিয়া কোন ফললাভের অ} কাজ করা যাইতে পারে না । ৪ । ` আমাদিগের বিবেচনায় বহুবিবাহ নিবারণের জন্ত আইনের প্রয়োজন নাই । কিন্তু যদি প্রজার হিতার্থ, আইনের অাবশুকতা আছে, ইহা স্থির হয়, তবে ধৰ্ম্মশা স্ত্রের মুখ চাহিবার আবশ্যক নাই। ৫ । যে শাস্ত্রীয় বিচারে ভদ্রলোকের