পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

www.fs, sto, "sw" ). * প্রাপ্তগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা । , কি?) অবতারণা করিতে গিয়াছেন, সেই খানেই দীনবন্ধু বাবুর নাটক সকলের নিকৃষ্টাংশের অনুকরণ মাত্র। অহা অতি জঘন্ত হইয়াছে। উড়িষ্যা হইতে সৰ্ব্ব প্রথমে এই নাটক প্রকাশিত হইতেছে, বিশেষতঃ রচয়িতার এই প্রথমোদ্যম, বলিয়া আমরা তাহাকে মার্জনা করিতে পারিলাম না । প্রথম হউক, শেষ হউক, নিকৃষ্ট গ্রন্থ লিখিয়া আদর পাইবার অধিকার কাহারও নাই । জমীদার দপণ নাটক। ক্রমীর মশারবক হোসেন কর্তৃক প্রণীত। কলি কাতা, মধ্যস্থ যন্ত্র । জনৈক কৃতবিদ্য মুসলমান কর্তৃক এই নাটক খানি বিশুদ্ধ বাঙ্গালা ভাষায় প্রণীত হইয়াছে। মুসলমানি বাঙ্গালার চিকু মাত্র ইহাতে নাই । বরং অনেক হিন্দুর প্রণীত বাঙ্গালার অপেক্ষা, এই মুসলমান লেখকের বাঙ্গালী পরিশুদ্ধ । জমীদার দিগের অত্যাচারের উদাহরণের দ্বারা বর্ণিত করা উহার উদ্দেশু। নীলকরদিগের সম্বন্ধে বিখ্যাত নীলদর্পণের যে উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ জৰ্মীদার সম্বন্ধে ইহারও সেই উদ্দেশু। এই দর্পণে জমীদারের যে প্রতিবিম্ব পড়িয়াছে, তাহা বিকৃত কি প্রকৃত সে বিষযেত্ব আমরা কিছু মাত্র আলোচনা করিতে চাহি না এ তাহার সময় নহে। বঙ্গদর্শনের জন্মাবধি, এই পত্র প্রজার হিতৈষী। এবং প্রজার হিতকামনা আমরা কখন ত্যাগ করিং না। কিন্তু আমরা পাৰন জেলায় ২৩৭ প্রজাদিগের আচরণ শুনিয়া বিরক্ত এবং বিষাদযুক্ত হইয়াছি। জলন্ত অগ্নিতে স্থতাহুতি দেওয়া নিম্প্রয়োজনীয়। আমরা পরমর্শ দিই যে গ্রন্থকারের এ সময়ে এ গ্রন্থ বিক্রয় ও বিতরণ বন্ধ করা কৰ্ত্তব্য। কিন্তু সমালোচনা করিতে প্রবৃত্ত হইয়া ইহা আমাদিগের বলা কৰ্ত্তব্য যে নাটক খানি অনেকাংশে ভাল হইয়াছে। আ|মর প্রজা, জমীদারের কথা বলিতে চাহি না, কিন্তু ইহা বলিতে পারি যে শেসন আদালতের চিত্রটি অতি পরিপাটি হই য়াছে। তদংশ উদ্ধত করিবার ইচ্ছা ছিল, স্থানাভাব প্রযুক্ত পারিলাম না। কিন্তু সরোজিনী নাটকের দ্যায়, ইহাতেও অনেক পরিহার্য্য কথা সন্নিবেশিত ইইয়াছে গ্রেট, বারবারস্ ডাম। নাপি তেশ্বর নটক । কলিকতা ইণ্ডিয়ান মিরর যন্ত্র । গ্রন্থকারের নাম প্রকাশিত হয় নাই । হাবড়ার পুলিষের মোকদ্দমার বৃত্তান্ত লইয়া এই নাটক প্রণীত হইয়াছে । ইহারও নাটক চাই ? কেন? বাঙ্গালির এই নাটক রোগ আমাদিগের অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে নীলদর্পণকার প্রভৃতি র্যাহারা সামাজিক কুপ্রথার সংশোধনার্থ নাটক প্রণয়ন করেন, আমাদিগের বিবেচনায় তাহারা নাটকের অবমাননা করেন । নাটকের উদ্দেশু গুরুতর—যে সকল নাটক এইরূপ উদ্দেশ্নে প্রণীত হয়, সে সকলকে আমরা নাটক বলিয়া স্বীকার করিতে পারি না । কাব্যের উল্পেগু দৌন্দৰ্য্য কৃষ্টি—সমাজ সংস্করণ নহে।