পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

چ-ایسییےے ৫৮৫-মি, আঃ, ১২৮ • 1) এদিগে প্রতাপ, পান্ধী চলিয়া গেল দেখিয়া, নৌকা হইতে নামিলেন। পূৰ্ব্বেই সকলে তাহার হাতের বন্দুক দেখিয়া, নিস্তব্ধ হইয়াছিল—এখন তাহার লাঠিরাল সহায় দেখিয়া কেহ কিছু বলিল না । প্রতাপ নৌকা হইতে অবতরণ করিয়া আত্মগৃহাভিমুখে চলিলেন । তিনি গৃহদ্বারে আসিয়া দ্বার ঠেলিলে, রামচরণ দ্বার মোচন করিল। রামচরণ যে তাহার মাজার বিপরীত কাৰ্য্য করিয়াছে, তাত গৃহে আসিয়াই রামচরণের নিকট শুনিলেন। শুনিয়া কিছু বিরক্ত হইলেন । বলিলেন, “ এখনও তাহাকে সঙ্গে করিয়া জগৎশেঠের গুহে লুইয়া যাও । ডাक्रिश व्नड़ेन्नां यॉर्डेम !?? রামচরণ আসিয়া দেখিল,--লোকে শুনিয়া বিস্মিত হইবে—শৈবলিনী নিদ্র যাইতেছেন । এ অবস্থায় নিদ্র সম্ভবে না ? সন্তবে কি না তাহ। আমর। জানি না,— আমরা যেমন ঘটিয়াছে তেমনি লিখিতেড়ি। রামচরণ শৈবলিনীকে জাগরিত না করিয়া, প্রতাপের নিকট ফিরিয়া আসিয়া বলিল, “তিনি ঘুমাইতেছেন—ঘুম ভাঙ্গাইব কি?” শুনিয়া প্রতাপ বিস্মিত হইল—মনে মনে বলিল, “চানক্য পণ্ডিত লিখিতে ভুলিয়াছেন ; নিদ্রা স্ত্রীলোকের ষোলগুণ!” প্রকাশ্যে বলিলেন, “এত পীড়াপীড়িতে প্রয়োজন নাই। তুমিও ঘুমাও—পরিশ্রশের একশেষ ੱਝ | আমিও এখন একটু বিশ্রাম করিব।” . রামচরণ বিশ্রাম করিতে গেল। তথ تـــصد عسحم চন্দ্রশেখর । নও কিছু রাত্র আছে গৃহ-গৃহেরবা হিরে নগরী—সৰ্ব্বত্র শব্দহীন, অন্ধকার। প্রতাপ একাকী নিঃশব্দে উপরে উঠিলেন । আপন শয়ন কক্ষাভিমুখে চলিলেন। তথায় উপনীত হইয়া দ্বার মুক্ত করিলেন—দেখিলেন পালঙ্কে শয়ান, শৈ ৩৬৫ : বলিনী! রামচরণ বলিতে ভুলিয়া গিয়া । ছিল যে প্রতাপের শয্যাগৃহেই সে শৈবলিনীকে রাখিয়া আসিয়াছে । প্রতাপ, জালিত প্রদীপালোকে দেখি- , লেন, যে শ্বেত শয্যার উপর কে নিৰ্ম্মল । প্রস্ফুটিত কুসুম রাশি ঢালিয়া রাথিয়াছে । যেন বর্ষাকালীন গঙ্গার স্তির শ্বেত বারি বিস্তারের উপর কে প্রফুল্ল শ্বেত পদ্ম রাশি । ভাসাইয়া দিযাছে। শোভা ! দেখিয়া, প্রতাপ সহসা চক্ষুফিরাক্টতে পারিলেন না । মনোমোহিনী স্থির- , সৌন্দর্ঘ্যে মুগ্ধ ৷ হইয়া, বা ইন্দ্রিয় বশ্যত প্রযুক্ত যে র্তা । তার চক্ষু ফিরিল না এমত নহে—কেবল অন্যমন বশতঃ তিনি বিমুগ্ধের ন্যায় চাহিয়া রহিলেন । তাহার মনে পড়িল-অকস্মাৎ স্মৃতি সাগর মথিত হইয়া, তরঙ্গের উপর তরঙ্গ প্ৰহত হইতে লাগিল । শৈবলিনী নিদ্রা যান নাই–চক্ষু মুদিয়া আপনার অবস্থা চিন্তা করিতেছিলেন । । চক্ষু নিমীলিত দেখিয়া, রামচরণ সিদ্ধান্ত করিয়াছিল, যে শৈবলিনী নিদ্রিতা । গাঢ় চিন্ত বশতঃ প্রতাপের প্রথম প্রবেশের পদধবনি শৈবলিনী শুনিতে পান নাই । । প্রতাপ বন্দুকটি হাতে করিয়া উপরে । অনেক দিনের কথা ।