পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शत्रण*{म, অঃ, ১২৮ • 1) চন্দ্রশেখর তথা হইতে গাত্রে খান । করিয়া, একজন প্রতিবাসীর গৃহে গেলেন । সে একজন লোহর দ্রব্য বিক্রেতা, তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাপু, | বলিতে পার, যাহারা এখানে বাসা করিয়ছিল তাহার কোথায় গিয়াছে ?” পণ্যাজীব কহিল, কাল ও বাড়ীতে বড় | গোলমাল গিয়াছে। গোলমালের শব্দে । আমরা উঠিয়া দেখিলাম, কয়জন শিপাহী, । উহাদিগকে ধরিয়া লইয়া গেল। স্ত্রী । পুরুষ সকল ধরিয়া লইয়া গেল। একটা বন্দুকের শব্দও শুনিয়াছিলাম।” চ। "হারা কি নবাবের শিপাই ন। ইংরেজের শিপাহী ? দোকানদার বলিল, नां ।” 5 | (不t1 “ তাহ জানি ।

  • কেহ জখম হইয়াছিল ?”
  • তাহ জানি না--কিন্তু একজনকে টানিয়া লইয়া যাইতেছিল। তাহাকে চিনি । সে বাড়ীর চাকর”

চন্দ্রশেখর সেস্থান হইতে জগৎশেঠের । গৃহে গেলেন। জগৎশেঠদিগের সঙ্গে র্তাহার যে কথোপকথন হইল, তাহার | বিস্তুত বর্ণনা নিম্প্রয়োজন। চন্দ্রশেখর । গেলে, জগৎ শেঠের প্রতাপের বাসায় শিবিক প্রেরণ করিলেন । তথা হইতে শৈবলিনী জগৎ শেঠের গৃহে আনীত হইলেন। তিনি জাতিভ্রষ্টা বলিয় তাহার পৃথক বাসস্থান নির্দিষ্ট হইল । চন্দ্রশেখর, জগৎ শেঠের গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া, পৃথিবী অন্ধকার দেখিতে | : g | | & i চন্দ্রশেখর । v)ዓዉ লাগিলেন। তখন সেই অলৌকিক ধৈর্ঘ্যের গ্ৰন্থি শিথিল হইল। বোধ হইল যেন, এ সংসারের যাহা কিছু কাৰ্য্য বাকি ছিল, তাহ সম্পন্ন হইয়াছে । তিনি আর চলিতে পারিলেন না—পথিপাশ্বে শীতল আম বৃক্ষচ্ছায়ায়, ধূলির উপর গিয়া শয়ন করিলেন। ধূলাবলুষ্ঠিত হইয়া চীৎকরে করিতে লাগিলেন, “ শৈবলিনি। শৈবলিলি! শৈবলিনি! তুমি আমার ঘরে আইস—আমি তোমার গ্রহণ করিব।” আবার সেখান হইতে গাত্রেখনি করিলেন ; দ্রুতপদে রমানন্দ স্বামীর আশ্রমে গেলেন, রমানন্দ স্বামীকে দেখিয়া বলি লেন, “ গুরে । আর সহ করিতে পারি না । আমাকে আজ্ঞা করুন, আমি শৈব } লিনীকে গ্রহণ করি ।” রমানন্দ স্বামী কহিলেন, “ তাহাকে পাওয়া গিয়াছে ?” চন্দ্রশেখর কথার উত্তর করিলেন না--- কেবল বলিলেন, “ আজ্ঞা করুন, আমি তাহাকে গ্ৰহণ করি।” 鬱 রমানন্দ স্বামী, ভাব বুঝিয়া, বলিলেন, “ বসে, “কিছু শাস্ত্রীয় কথার আলোচনা করা যাউক--তুমি পণ্ডিত, তাহাতে তোমার মনঃস্থির হইবে।” চন্দ্রশেখর বলিলেন, “ দেখুন, কোন শাস্ত্রে আছে, স্লেচ্ছাসক্ত ব্যভিচরিণীকে গ্রহণ করা যাইতে পারে? সেই শাস্ত্র আমাকে বলুন।” - রমানন্দ স্বামী ভ্ৰ কুঞ্চিত করিলেন, বলিলেন, “ চন্দ্রশেখর, আমিও তোমার