পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ৰঙ্গদর্শন অঃ, ১২৮* ) বিষধর ফণী, রেখেছে-খুলিয়া। মস্তকের মণি ? এই নিশিথিনী শ্বেত কলেবরে, বর্ষিতেছে যথা বিকচ নলিনী শিশিরের বিন্দু; তেমতি বামার নয়ন কমল বর্ষিতেছে আশ্র ; চন্দ্রের কিরণ, ন ছুইতে অশ্রু সরসী হৃদয়, চুম্বিছে তরল সেই মুক্তাফল । অবনত মখে ভাসমান ওই ধাতু কলসীর পৃষ্ঠের উপর অযত্নে দক্ষিণ করে সুকোমল রক্ষিত ; আনন্দে কলসী সে সুখ পরশে মাঢ়িছে; নাচিছে যেমতি বঙ্গ বিরহিণী হৃদয়,চঞ্চল শারদ উৎসবে পতির মিলনে । হায় সে আনন্দে চক্রে চক্রে ওই চঞ্চল হিল্লোল করিছে বিকীর্ণ সরসী হৃদয়ে ; আনন্দে গলিয়া সুনীল সরসী থেকে থেকে যেন উন্মত্তের প্রায়, ডুবায়ে কলসী, চুম্বিছে বামার কর কমলিনী । থেকে থেকে যেন আনন্দে বিহবল ৷ প্রেমাদুট স্বরে জিজ্ঞাসে “কি তুমি ? : কে তুমি ?” কে তুমি ? আজি বঙ্গালয় আনন্দ আধার, এসেছেন উমা”

  • বোধ হয় এই কাব্য শারদীয়া পুজার সময়ে লিখিত হইয়াছিল, কিন্তু পূজারপরে ইহা সম্পাদক প্রাপ্ত হইয়াছেন, এই জন্য

যথা সময়ে প্রকাশিত হয় নাই । বৎসর অন্তরে, আজি বঙ্গদেশ ।

  • o లిగా

সুখ পারাবার ; হিমালয় হত্তে আনন্দ-জাতুবী শত মুখে আজি বঙ্গে আবির্ভূত, ভাসিয়াছে তাহে বাঙ্গালির দুঃখ দারিদ্র দুঃসহ ; ভুলিয়াছে সব, নিরখি উমর প্রসন্ন স্নেহাৰ্দ্ৰ বদন চন্দ্রিম৷ ৷ মুহুর্তেক তরে, ভুলিয়াছে সবে দাসত্ব শুঙ্খল,—অদৃষ্ট দুৰ্ব্বার!-- কি মুখের দিন—এই তিন দিন বাঙ্গালী জীবনে— তিন বিন্দু বারি বঙ্গ মরভূমে—এই তিন মণি অন্ধকার খনি বঙ্গ সম্বৎসরে : তিনটী নক্ষত্র হয় । বাঙ্গালীর দুঃখ পারাবারে; এমন সুখের-- ওই শুন ওই আরতির ধ্বনি । নানা বাদ্যযন্ত্র মিশি এক তনে, তুলিছে আকাশে আনন্দের ধূনি, ওই শুন ওই আরতির ধুনি! সেই রূপ আজি সঙ্গবাসি মন একানন্দ স্রোতে হইয়া বিলয় • বহিছে স্বরগ পথে ; বঙ্গদেশ আজি ধরাতলে প্রীতি পারাবার পবিত্ৰ নিৰ্ম্মল— প্রত্যেক বাঙ্গালী উৰ্ম্মি মাত্র তার । এমন সময়ে বসে একাকিনী, সজল নয়ন কে তুমি রমণি ? কেন বিশ্ব প্লাবী আনন্দ প্রবাহ, পশিলন। তব কোমল হৃদয়ে ? তুলিল না তাহে