পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8vరిy কার্য্যকারণ সম্বন্ধ । (বঙ্গদর্শম, মাখ, ১২৮*। কারণ। কিঞ্চিৎ বিবেচনা করিয়া দেখিলেই প্রতীতি হইবে যে, কাৰ্য্য যে উপাদানে নিৰ্ম্মিত তাহাই নৈয়ায়িকদিগের সমবায়িকারণ; কাৰ্য্য যে শক্তি সাপেক্ষ তাহাই নিমিত্ত কারণ ; এবং কার্য্যোৎপত্তি জন্য উক্ত উপাদান ও শক্তির যেরূপ সংযোগ আবশ্যক, তাহাই অসমবায়ি কারণ। কার্য্যোৎপত্তির পূৰ্ব্বে কাৰ্য্যট থাকে না ; কিন্তু যে শক্তি প্রভাবে ও ষে উপাদান সংযোগে কাৰ্য্যটী উৎপন্ন হয়, সে : শক্তি ও সে উপাদান থাকে। এই নিমিত্তই ; নৈয়ায়িকেরা কহেন যে সৎকারণ হইতে । অসৎ কার্য্যের উৎপত্তি হয় : সাংখ্যমতাবলম্বীরা কাৰ্য্যকে অসৎ ব লিতে চাহেন না । তাহারা বলেন, “ নাসতো বিদ্যতে ভালো নাভাবে বিদ্যতে সত: ” : ভগবদগীতা অসৎ সৎ হয় না, সৎ অসৎ হয় না। : “ নাবস্তুনা বস্থসিদ্ধিঃ ” ১ অধ্যায়। ৭৯ : স্বত্র । কপিল স্বত্র অবস্ত কর্তৃক বস্তুসিদ্ধি হয় না। “নাসদুৎপাদোৰুশৃঙ্গবৎ ” কপিল স্বত্র। ১ অ । ১১৫হু । নৃশৃঙ্গবৎ অসতের উৎপত্তি হয় না । “ তবে সৎকারণ হইতে কি প্রকারে অসৎ কার্য্য হইবে ?” } ঘটের পূৰ্ব্বে কুম্ভকার, দন্ত, মৃত্তিকা প্রভৃতি থাকে ; পটের পূৰ্ব্বে তত্ত্ববায়, তন্ত্র, তন্তু প্রভৃতি থাকে । আমরা স্বীকণর করিতেছি এবং বোধ হয় সকলেই স্বীকার করিবেন যে উৎপন্ন কাৰ্য্যটী সত্তাযুক্ত অর্থাৎ অস্তিত্ববিশিষ্ট, নৃশৃঙ্গবৎ কল্পিত পদার্থ নহে; আর তছুৎ পাদক উপাদান এবং শক্তিও পূৰ্ব্বে ছিল। এই অর্থেই সৎ হইতে সতের আবির্ভাব হয়, সাংখ্যবাদীদিগের এই মতটা অখণ্ডনীয়। কিন্তু উৎপত্তির পূৰ্ব্বে যখন কার্যবিশেষের অস্তিত্ব থাকে না, তখন তৎপ্রতি অসৎ শব্দ প্রয়োগের দোষ কি? কপিল শিষ্যেরা অসম্ভব ও অবাস্তব এইরূপ অর্থেই অসং শব্দ ব্যবহার করেন । নৈয়ায়িকের প্রাগস্তিত্বশূন্ত পদার্থকে অসৎ বলেন। বিজ্ঞানবিং পণ্ডুিতের। নির্ণয় করিয়াছেন যে, পদার্থপুঞ্জ যে সকল পরমাণুর সমষ্টি ও বিশ্বব্যাপার নিচয় যে সকল বলের কার্য্য, তাহারা বদ্ধিত বা বিনষ্ট হয় না । একথানি কাষ্ঠ দগ্ধ কর; তত্ত্বৎপন্ন বাষ্প, অঙ্গার ও ভস্ম একত্রিত করিলে দেখিবে, তাহাদিগের ভার উক্ত কাষ্ঠ খণ্ডের তুল্য । একটা গতিশীল পদার্থ আহত হইয়। নিশ্চল হউক, স্বক্ষানুসন্ধান করিলে অবগত হইবে যে অস্তৰ্হিত গতি পরিমাণানুরূপ তাপরুপে পরিণত হইয়াছে'। এই রূপ বহুবিস্তীর্ণ পর্য্যবেক্ষণ ও পরীক্ষাদ্বারা নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে যে জগন্মগুলস্থ উপাদান বা শক্তির হ্রাস বৃদ্ধি,নাই, কেবল রূপান্তর ঘটিয়া থাকে । সাংখ্য মতাবলম্বীরা এই তত্ত্বটা বিলক্ষণ হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন। দুগ্ধ ও তিস্তিড়ীরস এক ত্রিত করিলে; এবং উভয়ের পরিণামে