পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়শো রূপেয়া । | s२ . (বঙ্গদর্শন, बई, ४२४= { বাছা সকল তার ভাগ দেওয়া যায় * ভাগ দেওয়া যায় না । আহাহা । আমার * * আমার বড় সাধের

  • * to -

ভৰ্ত্তী শব্দের অপভ্রংশে যে শব্দ, তাহাই অমর লুপ্ত রাখিয়াছি। তাহ গ্রাম্যতা ভিন্ন অন্ত দোষে দুষ্ট নহে। উহা পাঁচবার ব্যবহার না করিয়া ঐ শব্দের পরিবর্তে “সোয়ামী’ পদ ব্যবহার করিলে কোন ক্ষতি হইত না অথচ এত গ্রাম্য দেখাইত না । এই উপলক্ষে আর একটি কথা বলিতে হইতেছে। গ্রন্থের এক এক স্থানে অশ্লীল পদ ব্যবহার করা হইয়াছে; যাহাদের মুখ হইতে সেই সকল কথা নির্গত হইয়াছে তাহাদের তদ্রুপ বাক্য প্রয়োগ করাই সম্ভব কিন্তু তাহাতেই গ্রন্থকারের মার্জন হয় না। অশ্লীলতা দোষের উচ্ছেদ করণ জন্য অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ পূর্বক বিদ্রুপ করিলে, কেহই কখন কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিবেন না; তাহাতে অশ্লী লতার বৃদ্ধি ভিন্ন আর হ্রাস হইবে না । ২ । গ্রন্থকার যেমন শব্দাড়ম্বর পরিত্যাগ করিয়াছেন সেইরূপ অলঙ্কারাড়স্বরও পরিত্যাগ করিয়াছেন। নায়িকাগণের কর্ণের অলঙ্কার, সীমস্তের অলঙ্কার, ভাল বলি বলিয়া তাহাদের মুখের রাশি রাশি অলঙ্কার আময়া সহ্য করিতে পারি না। নলিনীলোচনে - “বিধুবদনে | ‘গিধিনি শ্রবণে আমরা জর২ হইয়াছি ; বচন রচন’ আর সহ হয় না। কিন্তু এ কথাও বলিতে হয় যে গ্ৰন্থকার অলঙ্কারাধিক্য দোষ এড়াইতে গিয়া অতি দুরে পলায়ন করিয়াছেন। নয়শো রূ- | পেয়া গ্রন্থে বোধ হয় দুই তিনটি উপমা বা রূপক নাই। এদিকে আবার পাছে | শব্দ-প্রাণ-রস-চাতুৰ্য্য ব্যবহার করিতে হয় এই ভয়ে গ্রন্থকার নাটকে একটি গান দেন নাই, এক ছত্র ছন্দোবদ্ধ কথা দেন নাই । ] চপল বিমলাকে বলিতেছেন!— “টাকায় সব হয় । দিী ও শ্লোকটি জানিস্ কি ? টাকা দিলে বাঘের দুধ মিলে। মাইরি'আমি ভুলে গিয়েছি।” শ্লোকময়ী বাঙ্গালির মেয়ে গ্রন্থকারের হাতে পড়িয়া বিদ্যাসুন্দরের শ্লোক ভুলিয়া গেল। ইহাতেও আহলাদ হয়। শাদা কথায় মনের রস ভাব প্রকাশ করিতে দেখিলে আমরা আহলাদিত হই। ৩ । গ্রন্থের প্রধান গুণ নিস্বার্থ বিশুদ্ধ প্রণয় ভাব ব্যক্তি। এমন সব গুণেই আমরা গ্রন্থকারগণের শত দোষ মার্জনা করিতে পারি। আমরা গ্রন্থ হইতে একটি দৃশু তুলিতে ইচ্ছা করি। - সরলা ও রঞ্জনে ছেলে বেলা হইতে প্রণয় হইয়াছিল। সরলা যে বাড়ীর মেয়ে রঞ্জন সেই বাড়ীর দৌহিত্র। রঞ্জন সরলারপিতাঁরামধন মজুমদারের জ্ঞাতিভাগিনেয়। সরলা রঞ্জন দাদার কাছে পড়িত; তাহাতেই ক্রমে উভয়ে অনুরাগ হয়। রামধন মজুমদার শ্রোত্রীয় ব্রাহ্মণ—অর্থ পিশাচ—সয়লাকে ব্যবসায়ের ভাল দ্রব্য বলিয়া বোধ করিত; যে অধিক মূল্য দিবে |