পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

కఊతాa கற்றை লক্ষদর্শদ, বৈ:, ১২৭৯ । . বিষবৃক্ষ । @ 總 আসিলেন এবং কুন্দকে সকল কথা বুঝাইয় বলিলেন। কুন্দ কোন উত্তর করিতে পারিল না কেবল বিম্মশ্ববিদ্ধারিতলোচনে নগেন্দ্রের প্রতি চাহিয়া রহিল । - o مطسسهطسسد পঞ্চম পরিচ্ছেদ । . অনেক প্রকারের কথা । 隐 অগতা নগেন্দ্রনাথ কুলকে কলিকাতায় আত্মসমভিব্যাহারে লইয়া আসিলেন। প্রথমে তাছার . মাতৃশ্বস্থপতির অনেক সন্ধান করিলেন । শ্যামবাজারে বিনোদ ঘোষ নামে কাহাকেও পাওয়া গেল না । এক বিনোদ দাস পাওয়া গেল—সে সম্বন্ধ অস্বীকার করিল। সুতরাং কুনা নগেন্দ্রের গলায় পড়িল । - নগেন্দ্রের এক সহোদর ভগিনী ছিলেন। তিনি নগেন্দ্রের অমুজা । তাহার নাম কমলমণি । তাহার শ্বশুরালয় কলিকাতায় । শ্ৰীশচন্দ্র মিত্র ভাঙ্গর স্বামী। প্রশ বাবু প্লণ্ডর ফেয়ালির বাড়ীর মুতমুদি। হোস বড় ভাবি—শ্ৰীশচন্দ্র বড় ধনবান। নগেন্দ্রের সঙ্গে তাহার বিশেষ সম্প্রীতি । কুন্দনন্দিনীকে নগেন্দ্র সেই থানে লইয়া গেলেন । কমলকে ডাকিয়া কুন্দের সবিশেষ পরিচয় দিলেন। কমলের বয়স অষ্টাদশ বৎসর। মুখাবয়ব নগেন্দ্রের দ্যায়। ভ্রাতা ভগিনী উভয়েই পরম স্বন্দর । কিন্তু কমলের সৌন্দর্য্য-গৌরবের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যার খ্যাতিও ছিল । নগেন্ত্রের পিতা, মিস টেম্পল নামী এক জন শিক্ষাদাত্রী নিযুক্ত রাখিয়া কমলমণিকে এবং স্বর্যমুখীকে இம்ர-) বিশেষ যত্নে লেখা পড়া শিখাইয়াছিলেজ। কমলের শ্বশ্রী বর্তমান । কিন্তু তিনি শ্ৰীশচক্রের পৈতৃক বাসস্থানেই থাকিতেন। কলিকাতায় কমলই গৃহিণী । নগেন্দ্র কুনোর পরিচয় দিয়া কহিলেন, “এখন তুমি ইহাকে না রাখিলে আর রাখিবার স্থান নাই। পরে আমি যখন বাড়ী যাইব— | উহাকে গোবিন্দপুরে লইয়া যাইব ।” কমল বড় দুষ্ট । নগেন্দ্র এই কথা বলিয়া পশ্চাৎ ফিরিলেই কমল কুন্দকে কোলে তুলিয়া লষ্টয়া দৌড়াইলেন। একটা টবে কতকটা অনতিতপ্ত জল ছিল, অকস্মাৎ কুন্দকে তাহার ভিতরে ফেলিলেন । কুন্দ মহাঙ্গীত হইল । কমল তখন হাসিতে হাসিতে স্নিগ্ধ সৌরভযুক্ত সোপ হস্তে লইয়া স্বয়ং তাহার গাত্র ধৌত করিতে আরম্ভ করিলেন। জন পরিচারিক স্বয়ং কমলকে এইরূপ কাজে ব্যাপৃত দেখিয়া, তাড়াতাড়ি “আমি দিতেছি, আমি দিতেছি,” বলিয়া দৌড়াইয়া আসিতেছিল—কমল সেই তপ্ত জল ছিটাইয়া পরিচারিকার গায়ে দিলেন, পরিচারিক পলাইল। কমল স্বহস্তে কুন্দকে মার্জিত এবং স্নান করাইলে--কুনক শিশির-ধৌত পদ্মবৎ শোভা পাইতে লাগিল। তখন কমল, তাহাকে অমল - শ্বেত চারু বস্ত্র পরাইয়া, গন্ধতৈল সহিত তাহার কেশ রচনা করিয়া ! দিলেন ; এবং কতক গুলিন অলঙ্কার পরাষ্টয়া দিয়া, “যা, এখন দাদা বাবুকে প্রণাম করিয়া श्राद्र। खाद দেখিস-লেন এ বাড়ীব বাবুকে প্রণাম করে ফেলিস না—এ বাড়ী, বাবু দেখলেই বিয়ে করে ফেলৰে ।” এক } கன்உ.