পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ তাই দুঃখপক্ষে নিক্ষেপ করেন। (ঐ, ৮) দুঃখ হইতে যত ক্লেশ, মুখ হইতে তাদৃশ | মুখাকাঙক্ষণ জন্মে না । (ঐ, ৬) অতএব দুঃখেরই প্রাধাগ্য। - স্বতরাং মনুষের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্ব দুঃখ মোচন। এই জন্য সংগ্য প্রবচনের প্রথম সূত্র “অৰ্থ ত্রিবিধ দুঃখীত্যন্ত নিবৃত্তিরত্যন্ত পুরুষাৰ্থঃ ” ” এই পুরুষাৰ্থ কি প্রকারে সিদ্ধ হয়, তাহারই পর্যালোচনা সাংখ্যদর্শনের উদ্দেশ্য। দুঃখে পড়িলেই লোকে তাহার একটা নিবারণের উপায় করে। ক্ষুধায় কষ্ট পাইতেছ, আহার কর। পুত্ৰশোক পাইয়াছ, অন্য বিষয়ে চিত্ত নিবিষ্ট কর । কিন্তু সাংখ্যকার বলেন যে, এ সকল উপায়ে দুঃখ নিবৃত্তি নাই ; কেননা আবার সেই সকল দুঃখের অনুবৃত্তি আছে। তুমি আহার করিলে, তাহাতে তোমার আজিকার ক্ষুধা নিবৃত্তি হইল, কিন্তু আবার কাল ক্ষুধা পাইবে। বিষয়ান্তরে চিত্ত রত করিয়া, তুমি এবার পুত্ৰশোক নিবারণ করিলে, কিন্তু আবার অন্ত পুত্রের জন্য তোমাকে হয় ত সেই বিস্কৃত হওয়া যায় না সূত্র) । তবে এ সকল দুঃখ নিবারণের উপায় নহে । আধুনিক বিজ্ঞানবিৎ কোমতের । শিষ্য বলিবেন, তবে আর দুঃখ নিবারণের | কি উপায় আছে ? আমরা জানি যে | জলসেক করিলেই অগ্নি নিৰ্বাণ হয় | কিন্তু শীতল ইন্ধন পুনঃশ্বালিত হইতে | পারে বলিয়া তুমি যদি জলকে অগ্নিনাশক না বল, তবুে কথা ফুরাইল । তাহা হইলে দেহধ্বংস ভিন্ন আর জীবের দুঃখ নিবৃত্তি নাই। • ংখ্যকার তাহাওঁ মানেন না। তিনি জন্মজন্মান্তর মানেন, এবং লোকান্তরে জন্ম পৌনঃপুস্ত আছে ভাবিয়, এবং সেখানেও জরামরণাদিজ দুঃখ সমান ভাবিয় তাহাও দুঃখ নিবারণের উপায় বলিয়া গণ্য করেন না। (৩ অধ্যায় ; ৫২, ৫৩ সূত্র) আত্মা, বিশ্বকারণে বিলীন হইলেও তদবস্থাকে দুঃখনিবৃত্নি বলেন না, কেননা যে জলমগ্ন, তাহার আবার উত্থান আছে। (উ ৫৪) তবে দুঃখ নিবারণ কাহাকে বলি ? (> अथtांग्न 8 { • অপবর্গই দুঃখ নিবৃত্তি । অপবর্গই ব৷ কি ? “দ্বয়োরেকতরস্ত বেদাসীন্যমপ | বর্গঃ ” (তৃতীয় অধ্যায় ৬৫ সূত্র) সেই অপবর্গ কি, এবং কি প্রকারে তাহ সপো দিয়া গণ্য হইতে পারে না। প্রাপ্ত হওয়া যায়, তার পর পরিচ্ছেদ | অন্ত বিষয়ে নুন্নত হইলেই পুত্ৰশোক সবিশেষ বলিব। অপবর্গ

* - بسیه-چ

রূপ শোক পাইতে হইৰে। পরন্তু এরূপ উপায় সর্বত্র সঞ্জবে না। । , তোমার হস্ত ༑ ༑༥ .(ང་། হইলে, আর লগ্ন হইবে না। যেখানে সস্তৰে, সেখানেও তাহ