পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাপ্ত গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা turn-focols, seas. গ্রন্থ খনি সাধারণের বোধগম্য হইবার আর দুইটি বিল্প ঘটিয়ছে। প্রথমতঃ ভাষা । শারীরতত্ত্ব লিখিতে ভারত ৰাবুকে তদুপযোগিনী ভাষার স্থঃি করিতে হইয়াছে। এ কঠিন ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণ কৃতকার্য হইয়াছেন। ইহা তাহার প্রশংসা ! কিন্তু সাধারণ পাঠক সহজে সেই ভাষাটিকে আয়ত্ত করিতে পারিবে না । ইহা গ্রন্থকারের দোষ নহে । o দ্বিতীয় বিল্প, চিত্রের অভাব । শারীরতত্ত্ব শিখিতে গেলে, জীবদেহচ্ছেদ ভিন্ন স্বশিক্ষা হয় না। তদভাবে, উত্তম চিত্রে অনেক বুঝা যায়। কিন্তু এদেশে তন্থপযোগী চিত্র কোপায় পাওয়া যাইবে ? ইহাতে ও গ্রন্থকারকে দোষ দিতে পারি না | গ্রন্থের দুই একটি অভাবের উল্লেখ করিলাম বলিয় অ প্রশংসা করিতেছি না । দেশ, কাল, এবং পাঠকদিগের অবস্থা বিবেচনা করিলে, বলা । যাইতে পারে যে, এক্ষণে এরূপ কার্য্যে যতদূর সফলতা লাভ করা যাইতে পারে, গ্রন্থকার তাহা লাভ করিয়াছেন। ইহাই যথেষ্ট প্রশংসা। তিনি পরিশ্রমে ক্রটি করেন নাই—শারীরতত্ত্বে স্থপণ্ডিত, এবং স্থলেখক। কিন্তু একটা কথা না বলিয়া থাকিতে পারিলাম না। যে সকল ধ্ৰুথ, অজিও অনুমান মাত্র—প্রামাণিক বলিয়া গৃহীত হয় না—তাহ অত নিশ্চিত করিয়া না লিখিলে ভাল হইত। উদাহরণ ;— “মস্তিষ্কের ধূসর বর্ণ পদার্থে মনের সংস্কার সঞ্চিত ও সেই সংস্কারের মৰ্ম্ম গুগীত হয়, এবং স্নায়ু স্বত্র দ্বারা উহা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিস্তত বা ঐ সকল স্থান হইতে চালিত হয়। ধূসর বর্ণ পদার্থের পরিমাণ বিশেষে বুদ্ধি ও তারতম্য হয় ।” পুনশ্চ :– “কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের তামি হইলে আত্মার কিছু মাত্র অবনতি হয় না। সেহেতু আত্মীর বিনাশ নাই । ইহলোকে আমরা যে সকল শুভাশুভ কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করি, আত্মা পরলোকে সেই সকল মুখ দুঃখরূপ ফলভোগ করিয়া থাকে।” একি বিজ্ঞান ? না ধৰ্ম্মোপদেশ ? যিনি ধৰ্ম্মোপদেশকে বিজ্ঞানের স্থলাভিষিক্ত করেন, তাহার বৈজ্ঞানিক শিক্ষাগত : অল্পতা আছে, বিবেচনা করিতে হয় এই দোষেই ভারতবর্ষের গৌরব লুপ্ত হইয়াছে। - झ३ একটি দোষে সমগ্র গ্রস্থের অবমাননা করা যায় না। ভারতচন্দ্র যাবুর গ্রন্থখানি প্রশংসনীয়। বৃদ্ধ, যুব, এবং স্ত্রীলোক, সকলেরই ইহা পাঠ করা কৰ্ত্তব্য। সকল ঘরেই ইহার এক এক খণ্ড থাকা আবশ্যক। বাঙ্গালা বিদ্যালয় সমুহে ইহ পঠিত হইলে ভাল হয়, ৰি পড়াইবে কে ? . . " ললিত কবিতাবলী। . কাব্যমালার