;" भां३, >२१> ) ● বিষবৃক্ষ । ‘e e না। কিন্তু এবার আসিয়া কুন্দনন্দিনীর | এই ভাবিয়া কমলমণি রোদন ত্যাগ শুষ্ক মূৰ্ত্তি দেখিয়া কমলমণির রাগ দূর করিয়া আবার সেই কমলমণি হইলেন। হইল—দুঃখ হইল। তিনি কুন্দনন্দিনীকে কমলমণি শ্ৰীশচন্দ্রকে বলিলেন, “এ প্রফুল্লিত করিবার যত্ন করিতে লাগিলেন বৈকুণ্ঠের লক্ষনী ত বৈকুণ্ঠ ত্যাগ করিয়া --নগেন্দ্র আসিতেছেন, সম্বাদ দিয়া ! গিয়াছেন। তাই বোলে দাদা বাবু কুন্দের মুখে হাসি দেখিলেন। সূর্যমুখীর | বৈকুণ্ঠে এসে কি বট পত্রে শোনেন ?” মৃত্যু সঙ্গাদ দিতে কাজে কাজেই হইল শ্ৰীশচন্দ্র বলিলেন, “এসো, আমরা সব শুনিয়া কুন্দ কাদিল। এ কথা শুনিয়া, | পরিষ্কার করি ।” এ গ্রন্থের অনেক সুন্দরী পাঠকারিণী অমনি শ্ৰীশচন্দ্র, রাজ মজুর, ফরাশ, মনে২ হাসিবেন ; আর বলিলেন, “মাছ | মালী, যেখানে যাহার প্রয়োজন, সেখানে মরেছে, বেরালু কঁাদে।” কিন্তু কুন্দ বড় তাহাকে নিযুক্ত কুরিলেন। এ দিকে নিৰ্ব্বোধ। সতিন মরিলে যে হাদিতে কমলমণির দৌরাষ্মে ছচ বাদুড় চামহয়, সেটা তার মোটা বুদ্ধিতে আসে | চিকে মহলে বড় কিচিমিচি পড়িয়া গেল ; নাই। বোকা মেয়ে, সতিনের জন্য ও পায়রা গুলা “বকম২” করিয়া এ কাণিশ একটু কঁদিল। আর তুমি ঠাকুরাণি ও কাৰ্ণিশ করিয়া বেড়াইতে লাগিল, চড়ই তুমি যে হেসে বলতেছ, “মাছ মবেছে ; গুলা পলাইতে ব্যাকুল—যেখানে সাসী বেরাল কঁদে”—তোমার সতিন মরিলে ; বন্ধ, সেখানে দ্বার খোলা মনে করিয়া, তুমি যদি একটু কঁদ, তাহলে আমি বড় ; ঠোঠে কাঢ লাগিয় ঘুরিয়া পড়িতে তোমার উপর খুলী হল । লাগিল ; পরিচারিকারাবট হাতে জনে২ কমলমণি কুন্দকে শাস্ত করিলেন . দিকে ২ দিগ বিজয়ে ছুটিল। অচিরাৎ কমলমণি নিজে শান্ত হইয়াছিলেন। অট্টালিকা আবার প্রসন্ন হইয়া হাসিতে প্রথম ২ কমল অনেক কঁদিয়াছিলেন— লাগিল । তার পরে . ভাবিলেন, “কাদিয়া কি পরিশেষে নগেন্দ্র আসিয়া পন্থছিলেন । করিব ? আমি কঁদিলে শ্ৰীশচন্দ্র অমুখী তখন সন্ধ্যাকাল । যেমন নদী, প্রথম হন—আমি কঁাদিলে সতীশ কাদে – জলোচ্ছ্বাসকালে অত্যন্ত বেগবতী, কিন্তুকাদিলে. ত সুৰ্য্যমুখী ফিরিবে না, তবে জোয়ার পূরিলে গভীর জল শান্তভাব কেন এদের কাদাই ? আমি কখন সূর্য- ধারণ করে, তেমনি নগেন্দ্রের সম্পূর্ণ মুখকে ভুলিব না , কিন্তু আমি হাসিলে শোক প্রবাহ এক্ষণে গম্ভীর শান্তিরূপে যদি সতীশ হাসে, তবে কেন হাসব না ?” ' পরিণত হইয়াছিল। যে' দুঃখ, তাহা । - --- -- * -- - - - - -به-- - - - - - - - - *A */ «-om»messa o - -
