পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`श्रृङ्गंfत्र, ११:, *२१• ) লেলিতা, প্রস্ফুটিত, ভূরিপ্রস্ফুটিত সজেলসিঞ্চিত, কচিং ভ্রমরভর-স্পন্ধিত যুথিকা লত রূপে বন-আলো করির বসিয়া আছেন, কাহাকে ডাকেনও না, কাহাকে কিছু ঢালিয়াও দেন না, চতুর্থিক গন্ধে আমেক্সিতঁ হইতেছে ; তিনি সেই গন্ধ বিস্তার করিয়াই মুখামুভব করিতেছেন । তাহতেই চরিতার্থ হইতেছেন। সে গন্ধ কেহ ভ্ৰাণ লইল কি না, সে শোভা কেই দেখিল কি না, তাহতে তার ক্ৰক্ষেপও নাই। তুমি নিকটে যাইবামাত্র গন্ধে ভোর হইলে, সেই অতুল শোভা দেখিয় তোমার মানস মোহিত হইল, তুমি চরিতার্থ হইলে ; লতার তাহাতে কিছু মাত্র ক্ষতি বৃদ্ধি নাই। লতা ফুটিয়াই চরিতার্থ হইয়াছে। কবিতা কখন বজলন্ত অনল রূপে প্রকাশ পাটতেছেন। খুউ খুউ করিয়া অগ্নি জ্বলিতেছে ; শো শো করিয়া শব্দ হইতেছে ; মধ্যে মধ্যে চট চট শব্দে কর্ণকুহর বধির হইয়া যাইতেছে। সহস্ৰ শিখা গগন স্পর্শ করিয়াছে। চারিদিকে ফুলিঙ্গ ছুটতেছে। তেজে দিওল আরক্ত হইয়া উঠিয়াছে। উত্তাপ ক্রমেই চারি পার্শ্বে বিস্তার করিতেছে. কবিতা রূপ ধারণ করিয়াই চরিতার্থ হইতেছেন। তুমি দূর হইতে ব্ৰহ্মমূৰ্ত্তি দেখিতে পাইলে, ঝঞ্জ প্রধাবিত { লক্ষণবাহী শব্দ সদৃশ সেই তুমুল আরাব শুনিতে পাইলে, ভয়বিস্ময়ে তোমার চিত্ত পরিপূরিত হইল, তুমি নিকটে গেলে, উদগীরিত উত্তাপে তোমার গাত্র অভিষিক্ত হইল। যদি তুমি শীতাৰ্ত্ত হও, তোমার মুখস্পর্শ হইল। পতঙ্গবৎ অতি নিকটে যাও, উদ্দীপনা । 歌 ● ੋਡ਼ਾਂ 8°

  • কিন্তু প্রচও অগ্নির তাহাতে কিছুই এসে | যায় না। কখন বা কবিতা প্ৰেতভূমিরূপ | ধারণ করিয়া নদীকূলে শয়ন করিয়া থাকেন । রাশি রাশি অঙ্গার বিকীর্ণ রহিয়াছে অঙ্গারে অৰ্দ্ধ পূরিত চুল্লী ; অৰ্দ্ধ দগ্ধ বংশখও ; অৰ্দ্ধভঙ্গ অল্প ভঙ্গ, সচ্ছিদ্র, অচ্ছিদ্র মৃৎকলস কত গড়াগড়ি যাইতেছে ; কোন কোনটার ভিতর সন্ধ্যাবায়ু প্রবেশ করাতে হো হো করিয়া শদিত হইতেছে ; সমস্ত স্থান অস্থি কপাল কঙ্কাল কেশ পরিপূরিত। দক্ষিণে জলসমীপে একটি চিতা জলিতেছে। এক ব্যক্তি একটা বঁাশ লইয়া একটি চিতাস্থিত শবের উদরে বেগে আঘাত করিল। শব দক্ষিণ বাহু উত্তোলন করিল ; তোমার বোধ হইল যেন হাত নড়িয়া বারণই করিল। তুমি পলায়নপর হইয়া বাম দিকে দেখিলে , দেখিলে, ভগ্ন ঘাটের উপরি প্রৌঢ়া মাতা অপোগও নব কুমার শিশুকে বটতলায় শোয়াইম্বী ছনে বন্ধে ক্ৰন্দন করিতেছেন। দুরে, বোধ হইল একজন লোক বসিয়া . আছে। নিকটে গেলে । এ কি। সদ্য মরা শব হেলান দিয়া বসান রহিয়াছে। তুমি চক্ষু বিক্ষরিত করিয়া শিহরিয়া উঠিলে। একটা কৃষ্ণকায় | কুকুর তোমার সেই চাহনি দেখিল ; ঐ শবের দিকে দেখিল ; উভয়ে কি প্রভেদ, যেন । কিছুই না বুঝিতে পারিয়া বিরক্ত হইয়া চলিয়া | গেল । সন্ধ্যা সমীরণ সঞ্চালনে তোমার ; কর্ণমূলে কে যেন দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিল ; } সকলের হে হে শব্দে হৌ হে হো করিয়া | হাসিয়া উঠিল। তুমি আড়ষ্ট, আস্তষ্ক, নিম্পন্দ, তুষ্ট্রীভূত, চকিত ও স্থগিতনেত্র। ।