পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 88 বিষবৃক্ষ। . (ৰঙ্গদর্শন, ফাঃ ১২৭৯ ) বিষবৃক্ষ। সপ্তচত্বারিংশত্তম পরিচ্ছেদ । স্বরল এবং সপী । যখন শয়নাগারে, সুখসাগরে ভাসিতে২ নগেন্দ্র সূর্যমুখী এই প্রাণস্নিগ্ধকর কথোপকথন করিতেছিলেন, তখন সেই গৃহের অংশান্তরে এক প্রাণসংহারক কথোপকথন হইতেছিল । কিন্তু তৎপুর্বের্ণ, পূর্ববরত্রের কথা বলা আবশ্বক বাটী তাসিয়া ন গন্দ্র কুন্দের সঙ্গে , কুন্দ’ আপন করিয়া কে লল সাক্ষাৎ করিলেন না । শয়নাগারে, উপাধানে মুখ্যস্ত সমস্ত রাত্রি রোদন করিল। বালিকাস্থলভ রোদন নহে। মৰ্ম্মান্তিক পীড়িত হইয়া রোদন করিল। যদি কেহ কাহাকে বাল্যকালে অকপটে তাত্মিসমপণ করিয়া, যেখানে অমূল্য হৃদয় দিয়াছিল, সেখানে তাহার বিনিময়ে কেবল তাচ্ছিলা প্রাপ্ত হইয়া থাকে, তবে সেই এ রোদনের মৰ্ম্মচ্ছেদকতা অনুভব করিবে। তখন কুন্দ পরিতাপ করিতে লাগিল যে, কেন আমি স্বামিদর্শনলালসায় প্রাণ রাখিয়াছিলাম। আরো ভাবিল যে, এখন আর কোম্ম স্বখের আশায় প্রাণ রাখি ? , সমস্ত রাত্রি জাগরণ এবং রোদনের পর প্রভাতকাজ কুন্দের অন্দ্ৰ আসিল। পর প্রভা কুন্দ তন্দ্রাভিভূত হইয়া দ্বিতীয় বার লোমহর্ষণ স্বপ্ন দেখিল । দেখিল, চারি বৎসর পূর্বে পিতৃভবনে পিতার মৃত্যুশয্যাপার্শ্বে শয়ন কালে, যে জ্যোতিৰ্ম্ময়ী মূৰ্ত্তি তাহার মাতার রূপ ধারণ করিয়া, স্বপ্নবির্ভূত হইয়াছিলেন, এক্ষণে সেই আলোকময়া প্রশান্ত মূৰ্ত্তি আবার কুন্দের মস্তকোপরি অবস্থান করিতেছেন । কিন্তু এলার তিনি বিশুদ্ধ শুভ্ৰ চন্দন গুলমপালক্ট্রিনী নহেন । এক অতি নিবিড় বর্ষণেমুখ নীল নারদ মধ্যে আরোহণ করিয়া অবতরণ করিতেছেন । র্তাহার চতুঃপাশ্বে অন্ধকারময় কৃষ্ণবাম্পের তরঙ্গোৎক্ষীপ্ত হইতেছে, সেই অন্ধকারমধ্যে এক মনুষ্যমূৰ্ত্তি অল্প২ হাসিতেছে। তন্মধ্যে ক্ষণে২ সৌদামিনী প্রভাসিত | হইতেছে । কুন্দ সভয়ে দেখিল যে, ঐ হাস্যনিরত বদনমণ্ডল, হীরার মুখামুরূপ। আরও দেখিল, মাতার করুণাময়ী কান্তি এক্ষণে গম্ভীর ভাবাপন্ন। মাত কহিলেন,— • “কুন্দ, তখন আমার কথা শুনিলে না, আমার সঙ্গে আসিলে না—এখন দুঃখ দেখিলে ত ?” 金 . কুন্দ রোন কলি । ங்_து