«ev, সামান্ত ঔপনিবেশিক ক্রিয় গণনীয় নহে বিবাহ প্রবৃত্তির দমন বিষয়ে ভারতবর্ষের আরও মন্দাবস্থা। মাটী আঁচড়াইলেই শস্ত জন্মে, তাহার ষৎকিঞ্চিৎ ভোজন করিলেই শরীরের উপকার হউক না হউক ক্ষুধানিবৃত্তি এবং জীবন ধারণ হয় । বায়ুর উষ্ণতা প্রযুক্ত পরিচ্ছদের বাহুল্যের আবশ্যকতা নাই। সুতরাং অপকৃষ্ট জীবিকা অতি স্থলভ। এমত অবস্থায় | পরিবার প্রতিপালনে অক্ষমতাভয়ে কেক্ত ভীত নহে, সুতরাং বিবাহ প্রবৃত্তি দমনে প্রজা পরায়ুখ হইল । প্রজাবৃদ্ধির নিবারণের কোন উপায়ই অবলম্বিত না হওয়াতে তাহার বেগ অপ্রতিহত হইল। কাজে কাজেই সভ্যতার প্রথম অভু্যদয়ের পরেই, ভারতীয় শ্রমোপজীবীর দুর্দশা আরম্ভ হইল। যে ভূমির উর্বর্বরতা ও বায়ু উষ্ণতাহেতুক সভ্যতার উদয়, তাহাতেই জনসাধারণের দুরবস্থার কারণ সমট হইল । উভয়ই অলঙল্য নৈসর্গিক নিয়মের ফল । শ্রমোপজীবীর এই কারণে দুর্দশার আরস্ত । কিন্তু একবার অবনতি আরম্ভ হইলেই, সেই অবনতিরই ফলে আরও | অবনতি ঘটে । শ্রমোপজীবীদিগের যে পরিমাণে দুরবস্থা বৃদ্ধি হইতে লাগিল, সেই পরিমাণে তাঙ্গাদিগের সহিত সমাজের .অল্প সম্প্রদায়ের তারতম্য অধিকতর বঙ্গদেশের কৃষক । SAASAASAASAASAASAAAS i : --- (वश्रल-नैन, याः ७९१० ) হইতে লাগিল । প্রথম ধনের তারতম! —তৎফলে অধিকারের তারতম্য, শ্রমোপজীবীর হীন হইল বলিয় তাহদের উপর বুদ্ধোপজীবীদিগের প্রভুত্ব বাড়িতে লাগিল । অধিক প্রভুজের ফল অধিত অত্যাচার। এই প্রভুত্বই শূদ্রপীড়ক স্মৃতি শাস্ত্রের মূল । তামরা যে সকল কথা বলিলাম, তাহার | তিনটি গুরুতর তাৎপর্যা দেখা যায় | ১ । শ্রমোপজীবিদিগের অবনতির যে সকল কারণ দেখাইলাম, তাহার ফল বিবিধ - প্রথম ফল, শ্রমের বেতনেব অল্পত । ইহার নামান্থর দারিদ্র্য । দ্বিতীয় ফল বেতনের অল্পত হইলেই পরিশ্রমের আধিক্যর আবশ্বক হয় ; কেননা যাহা কমিল, তাহ খাটিয়া পোষাইয়া লইতে হইবে । তাহাতে অবকাশের ধবংস । অবকাশের অভাবে বিদ্যালোচনার অভাব। অন্ত এব দ্বিতীয় ফল মূৰ্গত । তৃতীয় ফল, বুদ্ধোপজীবিদিগের প্রভুত্ব এবং অত্যাচার বৃদ্ধি । ইহার নামান্ত ও দাসত্ব । দারিদ্র্য, মূর্খতা, দাসত্ব । ২। ঐ সকল ফল একবার উৎপন্ন হইলে ভারতবর্মের ন্যায় দেশে প্রাকৃতিক নিয়ম গুণে স্থায়িত্ব লাভ করিতে উন্মুখ হয় । - দেখান গিয়াছে যে,ধনসঞ্চয়ই সভ্যতার