পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• e می ভাষার উৎপত্তি । (वत्रम*नि, tफब. ७९१»')r | নিৰ্ম্মিত নহে, ঈশ্বর প্রদত্ত, কেন ভাবিব ? এই রূপ বৃথা কল্পনা দ্বারা অনুসন্ধানের পথ রুদ্ধ করা হয়, এই মাত্র । যাহা কিছু লোকে বুঝিতে পারে না, তাহাতেই ঈশ্বরকে আনিয়া ফেলে। ঝড়ে, বৃষ্টিতে, অগ্নিতে পূর্বে ঈশ্বরের হস্ত দৃষ্ট হইত ; কিন্তু বিজ্ঞান তাহাদিগকে প্রকৃতির নিয়মের অধীন করিয়াছে । যদি মানব ংশের আদি পুরুষ হাত, পা, নাক, কান, চোক, প্রভূতির স্যায় ভাষা ও পাইতেন, তাহা হইলে আর একট বিপদ ঘটিত। যে ভাষা সম্পূর্ণ, তাহাতে প্রত্যেক বস্তু ও প্রত্যেক ভাবের এক একটি নাম চাই । যখন আদি পিতার প্রথম জ্ঞান হইল, সকল পদার্থ একবারে তাহার প্রত্যক্ষ গোচর হইয়াছিল, বিশ্বাস করা যায় না ; যদি না হইয়া থাকে, তাহাদিগের নাম গুলি কি রূপে র্তাহার স্মরণে রহিল, এবং স্থল বিশেষে তাহাদিগকে কি প্রকারে প্রয়োগ করিতেই বা শিখিলেন ? ঈশ্বর তাহার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিয়া এক একবার সমুদায় বস্তুর নাম না বলিযা দিলে, র্তাহার শব্দপ্রয়োগ-জ্ঞান জন্মিবার আর কোন উপায় এই মতানুসারে উস্তাবিত হয় না। সম্মতিবাদ পক্ষাবলম্বীদিগের মতে কতকগুলি লোকে পূর্ববাকালে একত্রিত হইয় নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছিল যে এই পদার্থের এই এই নাম দেওয়া যাইবে । o & >--سیده কিন্তু ভাষার সত্ত্বাভাবে এরূপ ঘটনার সস্তাবনা কোথায় ? ভাষার সাহায্য ব্যতিরেকে কি রূপে তাহারা পরস্পরের অভিপ্রায় জানিল ? এমতট স্বতরাং ভাষার উৎপত্তি বিষয়ে খাটে না। ’ অনেক লোকে কেন একটা বস্তু বুঝাইতে একই শব্দ প্রয়োগ করে, ইহাই এমতের প্রধান প্রতিপাদ্য । কিন্তু ইহার প্রমাণ কোথায় ? ইতিহাসে ত নাই । সঙ্কল্প বা সম্মতি ভাষা পরিবর্তনে অতি অল্প কাৰ্য্যই করিয়াছে। প্রতিযোগী শব্দ ও ভাষারদ্বন্দ্ব আমাদিগের সম্মুখেই চলিতেছে ; এই মারাত্মক বিরোধে সম্মতি বা সন্ধি কিছুই দৃষ্ট হয় না । যাহা স্বভাবতঃ মিষ্ট, যাহ। বহুজনপরিগৃহীত, যাহা প্রতিভাশালী ব্যক্তিগণ কর্তৃক ব্যবহৃত, যাহা বল, ঐশ্বৰ্য্য বা ধৰ্ম্মের সহিত সংস্পষ্ট, যাহা পার্শ্ববৰ্ত্তা সভ্যতার উপযোগী, তাহা ক্রমশঃ বদ্ধিষ্ণু হইয়া জয় লাভ করে । । - এক্ষণে আমরা অমুকৃতি ধাদ একটনে প্রবৃত্ত হইতেছি। এই মতে কোন বস্তু হইতে যে প্রকার শব্দ নির্গত হয়, অথবা তাহা প্রত্যক্ষ করিয়া আকস্মিক চিত্তাবেগ বশতঃ আমাদিগের মুখ হইতে স্বভাবতঃ যেরূপ স্বর নিঃস্থত হয়, সেই রূপ শব্দ বা স্বরের অনুকরণে ভাষার উৎপত্তি । গ্ৰীসদেশীয় প্রাচীন পণ্ডিত প্লেটোর গ্রন্থে এই মতের প্রথম উল্লেখ দেখা बांग्रे। | |