;यजमश्रfञ [ चाँषां م: রাজকুমারীর কর্ণে সে গীত প্রবেশ করিল। তিনি ভাবিলেন, “হায় ! যদি শিপাহীর গীত সত্য হইত ! রাজকুমারী তখন, রাজসিংহকে ভাবিতেছিলেন। তিনি জানিতেন না যে, আঙ্গুল কাটা মাণিকলাল র্তাহার পশ্চাতে এই গীত গাইতেছিল। মাণিকলাল, যত্ন করিয়া শিবিকার পশ্চাতে স্থান গ্রহণ করিয়াছিল। চতুর্দশ পরিচ্ছেদ এ দিকে নিৰ্ম্মলকুমারীর বড় গোলমাল বাধিল । চঞ্চল ত রত্নখচিত শিবিকারোহণে চলিয়া গেল—আগে পিছে দুই সহস্ৰ কুমারপ্রতিম অশ্বারোহী আল্লার মহিমার শব্দে রূপনগবের পাহাড় ধ্বনিত করিয়া চলিল। কিন্তু নিৰ্ম্মলের কান্না ত থামে না—একা—একা—একা—শত পৌবজনের মধ্যে চঞ্চল অভাবে নিৰ্ম্মল বড়ই একা : নিৰ্ম্মল. উচ্চ গৃহচূড়াব উপরি উঠিয়া দেখিতে লাগিল— দেখিতে লাগিল ক্রোশ পৰিমিত অজগৰ সপের ন্যায় সেই বৃহৎ অশ্বারোহী সৈনিকশ্রেণী পাৰ্ব্বত্যপথে বিসপিত হইয়া উঠিতেছে, নামিতেছে—প্রভাত সূৰ্য্যকিরণে তাহাদিগের উদ্ধোথিত উজ্জ্বল বর্ষাফলক সকল জ্বলিতেছে। কতকক্ষণ নিৰ্ম্মল চাহিয়া বহিল । চক্ষু জ্বালা করিতে লাগিল। তখন নিৰ্ম্মল চক্ষু মুছিয়া, ছাদের উপর হইতে নামিল। নিৰ্ম্মল একটা কিছু ভাবিয়া ছাদের উপর হইতে নামিয়াছিল। নামিয়া প্রথমে একজন সামান্য পরিচারিকাব জীর্ণ মলিনবাস চুরি করিল—তাহার বিনিময়ে আপনার চারুদৰ্শন পরিধেয় রাখিয়া আসিল । নিৰ্ম্মল সেই জীর্ণ মলিন বাস পরিল —অলঙ্কার সকল খুলিয়া কোথায় লুকাইয়া রাখিল, কেহ দেখিতে পাইল না। সঞ্চিত অর্থ মধ্যে কতিপয় মুদ্রা নিৰ্ম্মল গোপনে সংগ্ৰহ করিল। কেবল তাহাই লইয়া সেই জীর্ণ মলিনবাসে নিৰ্ম্মল একাকিনী রাজপুরী হইতে নিষ্ক্রন্ত হইল। পরে দৃঢ়পদে অশ্বারোহী সেনা যে পথে গিয়াছে সেই পথে একাকিনা তাহাদেব অসুবৰ্ত্তিনী হইল।
