वछझwfअ [ अंॉबर्ग אףצ উহাদিগের মধ্যে একটকে দেখিলেই অপরটির অনুমান করিতে পারি। যদি আমাদের জ্ঞান থাকে কোন বস্তুতে অগ্নিসংযোগ হইলে ধূম হয়। তাহা হইলে আমরা ধূম দেখিয়াই বুঝিতে পারি যে অমুক স্থানে অগ্নি সংযোগ হইয়াছে। যদি আমরা পূৰ্ব্বে জানিতে পারি যে মেঘ হইলে বৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টি হইয়া নদীর জল বৰ্দ্ধিত হয় তাহা হইলে কোন সময় আমরা ইহাদিগের মধ্যে একটকে দেখিয়। অপরের অনুমান করিতে পারি। আমরা অনেক সময় কেবল মেঘ দেখিয়া অনুমান করিতে পারি আজ খুব বৃষ্টি হইবে, গ্রামের সকল পুষ্করিণী উচ্চলিত হইবে এবং সেই সঙ্গে নিজের পুষ্করিণীর মৎস্য সকল যাহাতে না পলাইতে পারে সেজন্য যত্ন করিয়া থাকি । বর্ষাকালে প্রাতঃকালে নিদ্রা হইতে উত্থান করিয়া যখন গৃহের চতুষ্পার্শ্বস্থিত পরিখাদি পরিপূর্ণ দেখিতে পাই তখনই অনুমান করিতে পারি যে গত রাত্রিতে খুব বৃষ্টি হইয়া গিয়াছে। এইরূপ কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধ জানা থাকিলে আমাদের এক প্রকার ভবিষ্যৎ জ্ঞানলাভ হয় । অনেক সময় আমরা কেবল কাৰ্য্যকারণ জ্ঞানের প্রভাবে ভাবিবিপদের অনুমান করিয়া পূর্ব হইতেই তাহার প্রতিকারের চেষ্টা পাইতে পারি । বৈদ্যশাস্ত্রে কথিত আছে যে যিনি রোগের নিদান ( প্রকৃত কারণ ) বুঝিয চিকিৎসা করেন, তিনিই প্রকৃত চিকিৎসক, এবং ঠাঙ্গার প্রযুক্ত ঔষধ ফলোপধায়ক হয় ; আমরাও বলি সংসারের মধ্যে যিনি কার্য্যকারণ সম্বন্ধটাকে প্রকৃতরূপে অবগত হইতে পারিয়াছেন, তিনিই প্রকৃত সংসারী । এই সংসাররূপ মহাসাগরের তিনিই প্রকৃত কর্ণধার, তাহার চেষ্টা বা যত্ন প্রায়ই বিফল হয় না । যতদিন অবধি পুথিবীতে এই কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধের জ্ঞান হয় নাই ততদিন অবধি পৃথিবী মূর্খতারূপ নিবিড় অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল, তাহার পর যেই একটু একটু কাৰ্য্যকারণ জ্ঞানের উদয় হইতে লাগিল, অমনি পৃথিবীতে মাদিম পুস্তক ঋগ্বেদের উদয় হইল। যখন প্রাচীন ঋষিরা মনে মনে বিবেচনা করিলেন চেতন ভিন্ন কাহারই কাৰ্য্যকারিত শক্তি নাই, অগ্নি যখন অনেক আবশুক কার্যা সম্পাদন করিতেছেন, তখন তাহার অবশ্য চেতন আছে, এই সময়েই ঋগ্বেদের প্রোরম্ভ “অরিমীলে পুরোহিতং যজ্ঞস্ত দেবমুক্সিং হোতার রত্নধ্যতম" এই বলিয়া স্তব করিতে লাগিলেন । আবার যখন তাহারা দেখিলেন, বৃক্ষাদি জড়পদার্থ তাছাদের নিজের ত চলিবার শক্তি নাই, অতএব অত্যুচ্চ মহাবৃক্ষ সকল বাহাদ্বারা পরিচালিত হইতেছে সেই বায়ু কেবল সচেতন নহে তাহার শক্তিও অসাধারণ। অমনি তাহারা সকলে মিলিত হইয়া “বায়বায়াছি" ইত্যাদি মন্ত্রৰার বায়ুর স্তৰ করিতে আরম্ভ করিলেন।
