পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*२wé ] রাজসিংহ هم ২৫৭ মাণিকলাল অভিবাদন কমিলিল, “মহারা, বড় গণ্ডগোল বায়িছে পাঁচহাজার দস্তু আসিয়া রাজকুমারীকে ঘেরিয়াছে। জোনাব হাসান আলি খ্ৰী বাহাদুর, অামাকে আপনার নিকট পাঠাইলেন—তিনি প্রাণপণে যুদ্ধ করিতেছেন, কিন্তু আর কিছু সৈন্ত ব্যতীত রক্ষা পাইতে পারিবেন না। আপনার নিকট সৈন্য সাহায্য চাহিয়াছেন।” রাজা ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমার সৈন্য সজ্জিতই আছে " সৈনিকগণকে বলিলেন, “তোমাদের ঘোড়া তৈয়ার, হাতিয়ার হাতে ! তোমরা সওয়ার হইয়া এখনই যুদ্ধে চল । আমি স্বয়ং তোমাদিগকে লইয়া যাইতেছি ।” মাণিকলাল বলিল, “যদি এ দাসের অপরাধ মাপ হয়, তবে আমি নিবেদন করি যে, ইহাদিগকে লইয়া আমি অগ্রসর হই । মহারাজ আর কিছু সেনা সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া আসুন । দম্বারা সংখ্যায় প্রায় পাচহাজার। আরও কিছু সেনাবল ব্যতীত মঙ্গলের সস্তাবনা নাই ।” o স্থূলবুদ্ধি রাজা তাহাতেই সম্মত হইলেন। সহস্র সৈনিক লইয়া মাণিকলাল" অগ্রসর হইল ; বাক্ত আরও সৈন্যসংগ্রহের চেষ্টায় গড়ে বহিলেন । মাণিক, সেই রূপনগরের সেনা লইয়া একেবাৰে মবারকের পশ্চাতে উপস্থিত হইল। মাণিকলাল দেখিয়া যায় নাই যে তৎপ্রদেশে যুদ্ধ উপস্থিত হইয়াছে। কিন্তু রন্ধ্রপথে রাজসিংহ প্রবেশ করিয়াছেন ; হঠাৎ তাহার শঙ্কা হইয়াছিল যে মোগলেরা রন্ধের এই মুখ বন্ধ করিয়া রাজসিংহকে বিনষ্ট করিবে । সেই জন্যই সে রূপনগরের সৈন্তসংগ্ৰহাৰ্থে গিয়াছিল। এবং সেই জন্য সে প্রথমেই এইদিকে রূপনগরের সেনা লইয়া উপস্থিত হইল। আসিয়াই বুঝিল যে রাজপুতগণের নাভিশ্বাস উপস্থিত বলিলেই হয়— মৃত্যুর আর বিলম্ব নাই। তখন, মাণিকলাল মবারকের সেনার প্রতি অজুৰি নির্দেশ করিয়া দেখাইয়া বলিল, “ঐ সকল দস্থা ! উহাদিগকে মারিয়া $y ফেল । সৈনিকের কেহ কেহ বলিল, “উহার যে মুসলমান !" মাণিকলাল বলিল, “মুসলমান কি লুঠেরা হয় না? হিন্দুই কি যত ক্রিয়াকারী ? মার ” মাণিকলালের আজ্ঞায় একেবারে হাজার বন্দুকের শব্দ হইল। মবারকের সেনা ছিন্ন ভিন্ন হইয়া পৰ্ব্বতাবোহণ করিয়া পলায়ন করিতে লাগিল, তাহ পূর্বেই কথিত হইয়াছে। রূপনগরের সেনা তাহাদিগের পশ্চাদ্ধাবিত হইয়া পৰ্ব্বতারোহণ করিতে লাগিল । Aു.