পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२¢४” बजक्श्वन [ खांद এই অবসরে মাণিকলাল বিস্মিত রাজসিংহের নিকট উপস্থিত হইয়া প্রণাম করিল। রাণা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি এ কাণ্ড মাণিকলাল ? কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না । তুমি কিছু জান ?” মাণিকলাল হাসিয়া বলিল, “জানি । যখন আমি দেখিলাম যে মহারাজ রন্ধ্রপথে নামিয়াছেন, তখন বুঝিলাম যে সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে। প্রভুর রক্ষার্থ আমাকে আবার একটি নুতন জুয়াচুরি করিতে হইয়াছে।” এই বলিয়া মাণিকলাল যাহা যাহা ঘটিয়াছিল, সংক্ষেপে রাণাকে শুনাইল । আপ্যায়িত হইয়। রাণা মাণিকলালকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন, “মাণিকলাল ! তুমি যথার্থ প্রভুভক্ত ! তুমি যে কাৰ্য্য করিয়াছ, যদি যখন উদয়পুৰ ফিরিয়া যাই, তবে তাহার পুরস্কার করিব । কিন্তু তুমি আমাকে বড় সাধে বঞ্চিত করিলে। আজ মুসলমানকে দেখাইতাম যে রাজপুত কেমন করিয়া মরে !" মাণিকলাল বলিল, “মহারাজ ! মোগলকে সে শিক্ষা দিবাব জন্য মহারাজের অনেক ভৃত্য আছে। সেটা রাজকাৰ্য্যের মধ্যে গণনীয় নহে । এখন, উদয়পুরের পথ খোলসা । রাজধানী ত্যাগ করিয়া পৰ্ব্বতে পৰ্ব্বতে পরিভ্রমণ করা কৰ্ত্তব্য নহে । এক্ষণে রাজকুমাৰীকে লইয়া স্বদেশে যাত্রা করুন।" রাজসিংহ বলিলেন, “আমার কতকগুলি সঙ্গী এখন ওদিকের পাহাড়ের উপরে আছে—তাহাদের নামাইয়া লইয়া যাইতে হইবে।” মাণিকলাল বলিল, “আমি তাহাদিগকে লইয়া যাইব । আপনি অগ্রসর হউন । পথে আমাদিগের সঙ্গে সাক্ষাৎ হইবে ।” রাণা সম্মত হইয়া, চঞ্চলকুমারী সহিত উদয়পুরাভিমুখে যাত্রা করিলেন । অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ রাণাকে বিদায় দিয়া, মাণিকলাল রূপনগরের সেনার পশ্চাৎ পশ্চাৎ পৰ্ব্বতারোহণ করিল। পলায়নপরায়ণ মোগলসেন তৎকর্তৃক তাড়িত হষ্টয়া যে যেখানে পাইল পলায়ন করিল। তখন মাণিকলাল রূপনগরের সৈনিকদিগকে বলিলেন, “শত্ৰু সকল পলায়ন করিয়াছে—আর কেন বৃথা পরিশ্রম করিতেছ ? কাৰ্য্য সিদ্ধ হইয়াছে, রূপনগরে ফিরিয়া যাও ” সৈনিকেরাও দেখিল—তাও বটে সম্মুখ শত্রু আর কেহ নাই। তখন তাহারা মহারাজা বিক্রমসিংহের জয়ধ্বনি তুলিয়া রণজয় গৰ্ব্বে গৃহাভিমুখে ফিরিল। দণ্ডকাল মধ্যে পাৰ্ব্বত্য-পথ জনশূন্ত হইল—কেবল হত ও আন্তত মনুষ্য ও অশ্ব সকল পড়িয়া রছিল। দেখিয়া উচ্চ পৰ্ব্বতের উপরে, প্রস্তর-সঞ্চালনে যে সকল রাজপুত নিযুক্ত ছিল, তাহারা নামিল। এবং কোথাও