পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बजक्ष्मि ** [ छांद . وواجد উদিত হইল। স্বতরাং তাহারা যে বিজয়ী বীর পুরুষ তদ্বিষয়ে আর কাহারও কোন সন্দেহ রহিল না। আমাদিগের দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে পলাণ্ডু লক্ষ্মণ বিমিশ্র পঙ্ক মাংসের সুগন্ধে যাহার মনে বীররস উছলিয়া না উঠে, তাহার দাড়ি গোপ বৃথায় ধারণ। সে গিয়া শ্মশ্র গুম্ফ ও মস্তক মুগুন পূর্বক ত্রিপুণ্ড, ধারণ করিয়া, আতপ তঙুল ও মৰ্ত্তমান রম্ভার উপর ভরাভর করুন–র্তাহার আর কোন গতি দেখি না । র্তাহাদিগের দুঃখে আমি সৰ্ব্বদা কাতর। এইরূপে আবদুল হামিদ এবং তস্ত পারিষদেরা, মাংসাহার ভরসায় উচ্ছলিত বীররসে পরিপ্লুত হইয়া, শ্মশ্রভার বহন সার্থক বিবেচনা করিলেন। আবহল হামদ তখন ছিলিমে একটু ফুৎকার দিয়া বলিলেন, “ভাই সব ! বীরপন ত দেখাইয়াছ—কিন্তু মেয়েটা যে রাজপুতেরা লইয়া গিয়াছে, সে কাজটা বড় ভাল হয় নাই –বাদশাহ সে কথা শুনিলে মনে করিবেন, যে তোমাদের রণজয় সব বৃথা গল্প ! বিশ্বাস করিবেন না।” এই বলিয়া আবদুল হামিদ, একটা ফারশী বয়েৎ আগুড়াইলেন—আমবা শুনিয়াছি যে সে বয়েতের একটি শব্দও ফারশী নহে– তবে থা সাহেবের বক্তবর্ণ চক্ষু, হাত নাড়ার জোর, এবং গম্ভীর উচ্চারণের ঘটায় পারিষদেরা সকলেই মনে করিল যে এ একটা ভারি বয়েৎ। তখন আবদুল হামিদ বিস্মিত শ্রোতৃবর্গের সম্মুখে সেই অলৌকিক বয়েতের ব্যাখ্যা করিয়া সকলকে বুঝাইয়া দিলেন যে, ফলেই কার্যের পরিচয় । ফলট না দেখিলে বাদশাহ রণজয়ের কথায় বিশ্বাস করিবেন কেন ? তাহাকে ফলটা দেখাইয়া দিতে হইবে । তবে আমাদের সেরোপা মিলিবে । মাছুমহোসেন নামে একজন স্থূলবুদ্ধি পারিষদ বলিল, “সে ফলটি কি ?” আবদুলহামিদ বলিলেন, * “বদবখ ৎ বুঝিলে না ? সে ফলটি রাজকুমারী।" মাছুম । রাজকুমারী আর কোথায় পাওয়া যাইবে ? আবদুলহামিদ । কেন, রাজকুমারী কি কাহারও গায়ে লেখা থাকে ? যে হয় একটা মেয়ে ধরিয়া দোলায় চড়াইয়া লইয়া গেলেই বাদশাহকে ভুলান যাইতে পারে । শ্রোতৃগণ আবদুলহামিদের বুদ্ধির দৌড় দেখিয়া একেবারে বিমুগ্ধ হইল । তাহারা বিস্তর সাধুবাদ করিলেন। কিন্তু বোকা মাছুম সহজে বুঝে না। সে বলিল, “হ ! যে-সে মেয়ে লইয়া গিয়া দিলে কি বাদশাহ ঠকিবে ? মূলুকের বাদশাহ—সে কি ছোট-লোক বড়-লোক চিনিতে পারে না !" আবদুল । আমরা বড় ঘরের মেয়েই লইয়া যাইব । মাজুম। কোথায় পাইবে ?