পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११२ বজজশল [ चांचिम নিশ্চয়ই যাইবে । যাহারা কারণবাদের পক্ষপাতী তাহারা কখনই এমন বলেন না যে রাজনৈতিক ও সামাজিক শাসন উঠাইয়া দেও। যে সকল কারণে লোকের চরিত্র ও আচরণকে নিয়মিত ও পরিচালিত করে, রাজকীয় ও সামাজিক শাসন তন্মধ্যে প্রধান, সুতরাং রাজকীয় ও সামাজিক শাসন কারণবাদের বিরোধী নহে, বরং উহার সহিত সম্পূর্ণ সঙ্গত। কারণবাদীরা ইহাষ্ট বলেন যে, মনুষ্য অভিসন্ধির অধীন হইয়া কাৰ্য্য করে। দুষ্কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্তির পক্ষে, অন্যান্ত অভিসন্ধির মধ্যে শাসনের ভয় একটী অভিসন্ধি হইয়া দাড়ায় । সুতরাং সামাজিক ও রাজকীয় শাসনের সহিত কারণবাদের অসঙ্গতি কেন থাকিবে ? কারণবাদ স্বীকার করিলে দোষী ব্যক্তিকে ঘৃণা অবশ্য করিতে পারি না কিন্তু ভবিষ্যতে সে আর ছুক্ষপ্ত না করে সে জন্য তাহাকে শাসন করিতে পারি। এতদ্ভিন্ন অন্য লোকে তুষ্কৰ্ম্ম করিতে ভয় পাইবে বলিয়াও শাস্তিবিধান আবশুক । আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, যে ভাবে এখন সমাজে নিন্দ প্রশংসা চলিতেছে, কারণবাদে বিশ্বাস জন্মিলে তাহা আর কখনই চলিতে পারে না। ইহাও বলা হইয়াছে যে কারণবাদে সুদৃঢ় বিশ্বাস জন্মিলে অনুশোচনা ও উদ্যোগ বিলুপ্ত হইয়া যাইবে । একথা যদি সভ্য হয়, তবে ইহা সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে, উহা কারণবাদের একটি নিতান্ত অনিষ্টকর ঘৃণিত ফল । এস্থলে কারণবাদীরা বিরক্ত হইয়া বলিবেন, কারণবাদ হইতে এপ্রকার জঘন্য ফল কখনই উৎপন্ন হইতে পারে না । আমরা এখনই পরিষ্কাররূপে দেখাইব যে, কারণবাদে নিশ্চয়ই এই বিষময় ফল প্রসব করে । এস্থলে পাঠকগণ বলিতে পারেন যে, তুমি যে কারণবাদকে প্রতিপন্ন করিবার জন্য এতক্ষণ তর্কজাল বিস্তার করিলে স্বাধীন ইচ্ছা মতের মূলে কুঠারাঘাত করিলে, এখন আবার সেই কারণবাদেরই বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইলে কেন ? তাহারই অশুভ ফল প্রদর্শন করিতে প্রয়াস পাইভেচ্ছ কেন ? এ কথার উত্তরে এইমাত্র বক্তব্য যে, আমরা মতের দাস হইতে চাই না, সত্যের অনুগত থাকিতে ইচ্ছা করি। যে বিশুদ্ধযুক্তি আমাদিগকে দেখাইয়া দিতেছে যে, স্বাধীন ইচ্ছা মতের কোন মূল নাই, সেই বিশুদ্ধযুক্তিই আমাদিগকে বলিতেছে যে, উক্ত মতের নৈতিক ফল নিতান্ত শোচনীয় । স্বৰ্য্য হইতে কি অন্ধকার আসিতে পারে । সত্য হইতে কি অমঙ্গল উৎপন্ন হইতে পারে ? কারণবাদ যদি সত্য হয়, তবে তাঙ্গ হইতে অশুভ ফল প্রস্থত হইবে কেন ? এ প্রশ্নের এখন আমরা কোন উত্তর করিতে পারি না। ছুটি সিদ্ধান্ত আপাততঃ পরস্পর বিরোধী বলিয়া বোধ হইতে পারে, অথচ