?ভাগববিজয় . ee مدن [ ه هد .w് - হউক, তাহাতে আমাদের বিশেষ আপত্তি নাই ; কিন্তু মূৰ্ছাটা বড় অসঙ্গত। রামায়ণের দশরথ মূচ্ছিত হয়েন নাই। আবার পরশুরামকে দেখ । ভাগব-বিজয়ের পরশুরামকে দেখিয়া আমাদের সেই চিরপরিচিত পরশুরাম বলিয়া চিনিতে পারিলাম না। রামায়ণের পরশুরাম,—মহাবীর, মহাতপস্বী, উন্নতচিত্ত, প্রশস্তহৃদয় । তিনি যখন ক্রোধোদ্দীপ্ত হইয়া সিংহনাদ করেন, তখন সুরামুর কম্পিত হয়, বায়ু স্তম্ভিত হয়, চন্দ্র সূৰ্য্য গ্রহ উপগ্রহ পথহারা হইয়া দাড়াইয়া থাকে। আর গোপাল বাবুর পরশুরাম—যদি বিশেষণ পদ দ্বারা তাহার চিত্র আঁকিতে হয়, তবে এইরূপ লিখিতে হয়—কুভাষী, অভদ্র, মুখসৰ্ব্বস্ব, দাম্ভিক, নির্লজ্জ, অসার, দুবিনীত এবং অব্যবস্থিতচিত্ত। তিনি যখন আত্মবীৰ্য্য খ্যাপন করেন, আমাদের হাসি পায় যখন তুৰ্ব্বাক্য ব্যবহার করেন, পড়িতে লজ্জা হয়। বীবের মুখে, ঋষির মুখে তেমন কথা আসে না। রামচন্দ্রের প্রতি যে সকল বাক্য প্রয়োগ করিয়াছেন তাহা ভদ্র লোকের অব্যবহার্য্য । কোথ! সেই নবাধম, দে শীঘ্র দেখায়ে,-- ধরত জম্বুক সম ভয়ে দূরে গেল লাঙ্গুল শুঁটায়ে, পাপ । রামায়ণের পরশুরামে এরূপ ইতরতা নাই । তিনি রামচন্দ্রের সঙ্গে যেরূপ সম্ভাষণ করিয়ছেন, তাহা বারের ন্যায, মহতেব ন্যায়, পরশুরামের স্যায়—দূরশ্ৰুত জলদনিনাদের নায় ধীর, গম্ভীর এবং ভয়ঙ্কর— রাম ; দশরথে ! বীর ! বীৰ্য্যং তে শ্ৰন্থতেইস্কৃতং। 尊 壽 尊 尊 তদিদং মোরসস্কাশং জামদগ্ন্যং মহছকু: । পূরয়ম্ব শরেশৈব স্ববলং দৰ্শয়শ্ব চ । তদহং তে বলং দৃষ্টা ধন্থযোংপান্ত পূরণে। দ্বশ্বযুদ্ধং প্রদাস্যামি বীৰ্য্যঙ্গাধ্যমহং ভব । রসাবতারণায় আমাদের কবি সকল স্থানে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই । তাহার রসে সজীবতা নাই। পরশুরাম আসিয়া বীররসের কত কথাই বলিলেন, তিন সর্গ ব্যাপিয়া বীরদপে বীরবাক্য কতই উচ্চারিত করিলেন, কিন্তু এত বীররসের মধ্যে আমাদের একবিন্দুও শোণিত উষ্ণতর হইল না—পড়িতে পড়িতে একবারও আমাদের রোমাঞ্চ হইল না, একবারও একটু উৎসাহ অনুভব করিলাম না। আবার সীতা যখন পীরিতের ফঁাদ পাতিয়া বলিতে লাগিলেন, জগতে তোমার সনে মিলে না তুলনা, তোমার উপমা, দেব, তুমিই ভূবনে । তোমার বিক্রম সাজে তোমার ৰিক্রমে ; - •
