পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खश्चत्रि [ কান্তিক ילצeי কেমন করিয়া সেই পৌত্তলিকতার বিলোপসাধনপূর্বক তাহার সিংহাসন অধিকার করিল ? সেন্টপল—একজন য়িহুদি তাহার মূল কারণ। তিব্বৎ সিংহল প্রভৃতি দেশে ভারতবর্ষীয় প্রচারকেরা বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া উক্ত দেশ সকলের সমাজের আকার নূতন করিয়া দিয়াছিলেন । অধিক দৃষ্টান্ত দিবার প্রয়োজন নাই। সমগ্র পৃথিবীর ধৰ্ম্মপ্রচারের পুরাবৃত্ত পাঠ করিলে দেখা যায় যে, শত শত স্থলে সমাজের বাহিরের লোক আসিয়া সমাজের ভিতর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে । ইংলণ্ডবাসিগণ সৰ্ব্বপ্রথমে সভ্যতাসোপানে কেমন করিয়া আরোহণ করিলেন ? বিদেশীয় রোমান জাতির সংস্পর্শে আসাই কি তাহার কারণ নহে ? তবে কেমন করিয়া বলিব যে, সমাজের ভিতরে না থাকিলে সমাজের কোন উপকার করা যায় না, সমাজে কোন প্রকার ক্ষমতা চলে না ? সমাজে থাকা কাহাকে বলে ? সমাজের লোকের সহিত একত্রে আহার ও পরস্পর আদান প্রদান থাকিলেই সমাজে থাকা হইল। যদি সমাজের লোকে তোমার সহিত . আহার না করে এরং তোমার পুত্র কন্যার সহিত তাহাদের কন্যা পুত্রের বিবাহ না দেয় তাহা হইলেই তুমি সমাজচ্যুত হইলে । সমাজে থাকার অর্থ এই । আমরা যাহাকে হিন্দুসমাজ বলি বাস্তবিক তাহা সম্পূর্ণ একটি সমাজ নহে। ব্রাহ্মণসমাজ, কায়স্থসমাজ, বৈদ্যসমাজ, এই প্রকার যত প্রকার ভিন্ন ভিন্ন জাতি আছে, ততগুলি সমাজ । তাহাই কেন ? সকল ব্রাহ্মণ বা সকল কায়স্থ বা অন্ত যে কোন জাতি হউক না কেন, তাহাদের সকলের মধ্যে পরস্পর ভোজ্যান্নতা বা আদান প্রদান নাই। এক একজাতির মধ্যে আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভাগ ; সেই বিভাগের মধ্যে ভোজ্যায়তা ও আদান প্রদান বদ্ধ। রাঢ়ীয় কি বারেন্দ্র কি বৈদিক শ্রেণীর ব্রাহ্মণদিগকে অথবা রাঢ়ীয়, বঙ্গজ, বা বারেন্দ্র শ্রেণীর কায়স্থদিগকে এক একটি স্বতন্ত্র জাতি বলিলে অসঙ্গত হয় না। র্তাহাদিগের সমাজ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র। হিন্দুসমাজ বলিলে একটি একাও পদার্থ বুঝায় বটে, কিন্তু বাস্তবিক প্রত্যেক হিন্দুর ভোজ্যান্নতা ও আদান প্রদান যত লোকের সঙ্গে চলিয়া থাকে তাহ ধরিলে প্রত্যেকের সমাজ অপেক্ষাকৃত অতি ক্ষুদ্র পদার্থ। সে যাহা হউক এখন প্রকৃত কথার আলোচনা করা যাউক । আদান প্রদান ও ভোজ্যান্নতা থাকিলেই যদি সমাজে থাকা হয়, তাহা হইলে জিজ্ঞাস্ত এই যে, আদান প্রদান ও ভোজ্যান্নতা থাকিলেই কি সমাজের ভিতরে ক্ষমতা চলে, নতুবা চলে না ? সমাজের বাহিরে থাকিলেও যে সমাজের ভিতরে ক্ষমতা চলে, সমাজের উপকার করা যায় ইহার অকাট্য প্রমাণ পূৰ্ব্বেই প্রদর্শিত হইয়াছে। সে বিষয়ে আরও কয়েকটি কথা বলা যাইতেছে। এমন শত শত লোক রহিয়াছে