পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૩૨ના ] চিত্তক্ষুকুর 8SS সমুদ্র কি পৰ্ব্বত দেখিলেও অনেকের চিত্তে কোন চাঞ্চল্য জন্মে না এই জন্য সকলে কবি হইতে পারে না। র্যাহার চক্ষে পৰ্ব্বত কেবল প্রস্তরস্তুপ, সমুদ্র কেবল জলরাশি, কাব্যে র্তাহার অনধিকার, তিনি অন্ত ব্যবসা করুন । সমুদ্র কি পৰ্ব্বত দেখিলে কবিদের চিত্ত একরূপ চঞ্চল হয় না ; ভিন্ন কবির ভিন্ন রূপ হয়। এই জন্য কবি নানা প্রকার, কাব্যও নানা প্রকার। সমুদ্র ও পৰ্ব্বতের কথা উদাহরণ স্বরূপ আমরা উল্লেখ করিলাম। সমুদ্র ও পৰ্ব্বতের কথা যাহা বলা গেল, বাহাবস্তু মাত্রেরই কথা সেইরূপ বলা যাইতে পারে। সঙ্গীত বা শব্দ সম্বন্ধেও সেইরূপ বলা যাইতে পারে । মূল কথা, ফরমাইসে কাব্য হয় না । চিত্তের চাঞ্চল্য না জন্মিলে কাব্য জন্মে না । চিত্তের চাঞ্চল্যের কোন বেগ নাই, অথচ আমাদের কবিরা কাব্য প্রণয়ন করেন। কেহ বা অন্সের বেগ গ্রহণ করিয়া লেখেন ; অর্থাৎ অন্ত কবি আপন চিত্তের বেগে যাহা লিখিয়াছেন, তাহাই তাহারা অনুকরণ করেন। অনুকরণ অন্ত বিষয়ে যাহাই হউক কাব্য সম্বন্ধে দোষেব । অথচ অধিকাশ কবি কিছু না কিছু নকল করেন। চিত্তমুকুবেব লেখক তুই একটি ভাব বোধ হয় অন্য কবি হইতে গ্রহণ কবিয়াছেন । পুরন্দরের দৌত্য নামক কবিতায় একস্থলে লিখিত হইয়াছে— “আঘাতি অনল ছটা কন্দরে কন্দরে, ভ্ৰমে যথা ক্ষণপ্রভা পৰ্ব্বত প্রদেশে,” এই ভাব হেম বাবুর বিছাৎ হইতে নীত। হেম বাবুৰ বিদ্যুৎ দেখুন :– “কিম্বা গিরিশৃঙ্গ রাজি মধ্যে যথা তেজে সাজি ক্ষণপ্রভা খেলে রঙ্গে করি ঘোর ঘটা খেলে রঙ্গে ভীমভঙ্গি, শিথর শিখর লক্তিয, শৈলে শৈলে আঘাতিয়া স্কুল তীক্ষু ছটা ।” এই অনুকরণটি নিতান্ত দোষের নয়। আর একস্থানে (৯৬ পৃষ্ঠা ) আমাদের গ্রন্থকার লিখিয়াছেন— “এস তবে শশধর নামিয়া ভূতলে, निर्थ नििहे उद अप्च शृहे?ि ध्ब्र५ হেরিলে তোমার পানে, পড়িবে নম্বনে তার প্রাণের লুকান কথা, বুৰিৰে বেদন ।” گویی