পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8°8 बछङ्गवम পৌষ মন্দৰ পৰ্ব্বত ভাগীরথীর নিকট ভাগলপুর হইতে নুনাধিক ২• ক্রোশ . দক্ষিণে । ইহা প্রায় ৫৩২ হাত উচ্চ ও গ্রানাইট নামক তুর্ভেদ্য প্রস্তরে গ্রথিত ।. সমস্ত বিন্ধকূট যেমন ক্রমে নিম্ন হইয়া আসিয়াছে, মন্দরও বোধ হয় তদ্রপ হইয়া থাকিবে, বৰ্ত্তমানকালে মন্দর অল্পোচ্চ মাত্র । এই মন্দর পর্বতের নিকট দেবামুরের সংগ্রাম হইয়াছিল। সমুদ্র মন্থন করিয়া যে সকল রত্বলাভ হইয়াছিল, তাহা কৌশলে দেবতাদিগের হস্তগত হইল। লক্ষ্মী উঠিলেন, বিষ্ণু লইলেন। উচ্চৈঃশ্রব ঘোটক, ঐরাবত হস্তী ও পারিজাত পুষ্প ইন্দ্রের করে পড়িল । অবশেষে ধন্বস্তুরি অমৃতপাত্র হস্তে অগাধজলরাশি হইতে উঠিলে, অমৃত লইয়া বিবাদ ঘটিল ; এবং ভগবান বিষ্ণুর কুহকে দানবেবী অমৃতে বঞ্চিত হইল । ইহাতে বোধ হয়, বৈদ্যবাজ ধন্বন্তবি বাঙ্গালাপ্রদেশে জন্সিয়াছিলেন, তাহার বিদ্যাবলে ও ঔষধ দ্বারা মরণোন্মুখ আৰ্য্যসস্তানেবা প্রাণ পাইতেন। বৈদ্যকশাস্ত্র ও ঔষধাদি অনার্য্যদিগকে শিক্ষা দেওয়া হয় নাই । ভারতে বৈদ্যের উদ্ভব বাঙ্গালায়, এ কথাটা অযৌক্তিক বোধ হয় না। কারণ জঙ্গলময় নিম্নভূমি আদৌ মনুষ্যের আবাসযোগ্য ছিল না ; পরে ক্রমশ: মনুষ্যের সমাগম হইলে পীড়া প্রকাশ পাইতে লাগিল। পীড়া হইলে তাহার নিবাবণচেষ্টা স্বতই হইয়া থাকে। অভাব হইলেই পুরণের চেষ্টা হয়, এবং চেষ্টা দ্বাবা জ্ঞানের উৎপত্তি। এইরূপে বাঙ্গালায় ভৈষজ্য শাস্ত্রের উৎপত্তি হইয়াছিল, পরে মগধ ও কাশী প্রভৃতি স্থানে তাহার চর্চা হয় । ধন্বন্তরির পব দিবদাস বৈদ্যশাস্ত্রে খ্যাতি লাভ করেন । কোন কোন পুরাবিদের মতে দিবদাস কাশীর রাজা ছিলেন । লক্ষ্মী প্রথমে বাঙ্গালার সাগর হইতে উঠিলেন। ইতার দুই অর্থ সম্ভব ; এক, “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী ” বঙ্গবাসীরা যানাদি দ্বারা সমুদ্রপথে নানা দিগদেশ হইতে বাণিজ্যে অর্থসংগ্ৰহ করিয়া আর্য্যদিগের মধ্যে ধনাঢ্য হইয়াছিলেন । বস্তুত: বঙ্গবাসীরা যে পুরাকালে বাণিজ্যে বিশেষ উন্নতিলাভ করিয়াছিলেন, তাহা সংশয়াতীত। আর একটা অর্থ-বাঙ্গালার উর্বর ভূমি। প্রচুর শস্তসমাগম দ্বারা বাঙ্গালার লোক ভাগ্যবস্ত হইয়াছিলেন । মন্দরপৰ্ব্বতের খৰ্ব্বতার সঙ্গে সঙ্গে বাঙ্গালার লক্ষ্মীও চঞ্চলা হইয়াছেন। সুরভি গো ও ঐরাবত হস্তী বাঙ্গালায় জঙ্কিয়াছিলেন, ইহা বিচিত্র নহে। গো, মহিষ, হস্তী, বাঙ্গালায় বহুকাল হইতে আছে ; এবং যদিও এক্ষণে হীনবল ও লঘুকায় হইয়া আসিতেছে বটে, কিন্তু পূৰ্ব্বকালে অপেক্ষাকৃত বলিষ্ঠ ও দীর্ঘাকার ছিল, সন্দেহ নাই। বস্তুত: তৃণজীবীদিগের আবাসভূমি বাঙ্গালাই সম্ভব। কিন্তু উচ্চৈঃশ্রবার বশে কোথায় গেল ? ইন্দ্র কি অমরাবতীতে লইয়া গিয়াছেন, না এই পথ দিয়া তিব্বতে গমন করিয়াছে ? মন্দরের পাদদেশে আর্য্যকুল, লক্ষ্মী ভাগ্য গোমেবাদি লাভ করিয়া