পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ĝ©vo છઠ્ઠ श्वथ्राक्-त्रि - [ ८*ोय রমণীসহবাসে বিচিত্র সুরাপানে রত হইয়া শীতে উষ্ণগৃহমধ্যে, গ্রীষ্মে প্রমোদ কাননে নিঝর গৃহে, জ্যোৎস্নায় ছাদোপরি, রৌদ্রে পুষ্করিণীমধ্যে বিহার করাই জীবনের উদ্দেশু মনে করিল। আবার অনেকে অগ্নিকুণ্ডোপরি উদ্ধপদে অধোশিরে তপঃ করত; পরলোকে নন্দন কাননে উৰ্ব্বসী মেনকাপরিবৃত হইয়া ইন্দ্রিয়সুখে অনন্তকাল কাটানই মনুষ্য হওয়ার সুখ ভাবিলেন। কেহ দানে স্বর্গ, কেহ মানে স্বৰ্গ, মনে করিলেন । ইন্দ্রিয়সুখই সকলের উদ্দেশ্য হইল—কাহারও ইহলোকে কাহারও পরলোকে । কেহই এ কথা বুঝাইয়া দিল না যে মনুষ্যসমাজের প্রধান উদ্দেশ্য জড়জগতের উপর মনুষ্যজাতীয় আধিপত্য বিস্তার, তুমি আমি এমন কি আমার সমসাময়িক যে কোন ব্যক্তি হউন সমাজ ছাড়িয়া ধরিলে কেহ কিছুই নহেন । যেমন আমরা আমাদের এক পুরুষ আগেকার লোকে যাহা রাখিয়া গিয়াছেন তাহা ভোগ করিতেছি, এইরূপ আমাদের পরে যাহারা আসিবে তাহাদের জন্য আমাদের পূর্বাপেক্ষা কিছু বেশী রাখিয়া যাওয়া অর্থাৎ জড়জগতে কিছু আধিপত্য বিস্তার করিয়া যাওয়া কৰ্ত্তব্য। মনুষ্যসমাজ বৃক্ষের পত্র। যেমন পত্র আকাশস্থ বায়ু আকর্ষণ করিয়া বৃক্ষের আয়তন বৃদ্ধি করে পবে আপনার সময় আসিলে পড়িয়া যায় এবং পরবত্তী পত্ৰসকল যাহাতে একটু উচ্চ ও পুষ্ট হয় তাহা করিয়া যায় সেইরূপ মনুষ্য সমাজবিস্তার করিয়া সমাজপরিবর্ত ও সমাজসংস্কার করিয়া নূতন আবিক্রিয়া করিয়া দেহ ত্যাগ করে। তাহাদের সন্তানের এই সকলের ফল ভোগ করত: আরও অধিকতর ক্ষমতা প্রকাশ করে । এ কথা আমাদের পূর্বপুরুষদিগকে কেহ বুঝাইয়া দেন নাই সুতরাং সেই শান্তভাবে সেই রামায়ণ ও মহাভারত শুনিয়া একই ভাবে চলিয়া আসিতেছিল । রামায়ণ ও মহাভাতের উদ্দেশ্য সাধন হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু উহাদের পরিবর্তে গ্রহণ করা যায় এমন কোন গ্রন্থ হয় নাই এইজন্য উহারাই জাতীয় কাব্য বলিয়া পরিগণিত ছিল । $ চুল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে যখন ইংরেজি বিদ্যার চর্চা আরম্ভ হইল তখন অবধি রামায়ণ ও মহাভারতের নীতিশিক্ষা সেকেলে বলিয়া পরিত্যক্ত হইল । সমালোচকেরা বাল্মীকির অদ্বিতীয কবিত্ব শক্তির প্রশংসা করুন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা রামায়ণ হইতে তৎসাময়িক বৃত্তাস্ত রচনা করুন, রামায়ণ পাঠ করিয়া শত শত লোক আনন্দসাগরে মগ্ন হউক কিন্তু রামের চরিত্র আর কেহ অনুকরণ করিতে যাইবে না। যুধিষ্ঠিরের ত কথাই নাই। পূৰ্ব্বে লোকে রামায়ণ ও মহাভারত হইতে যে শিক্ষা পাইত এখন শিক্ষিত যুবকগণ কতক পরজাতীয় দৃষ্টান্ত দেখিয়া কতক ইতিহাস পড়িয়া কতক নানা পুস্তক ও ঘটনাবলী পর্য্যালোচনা করিয়া সেই শিক্ষা লাভ করেন। স্বতরাং এরূপ সভ্য অবস্থায় একজন লোকের বা একখানি পুস্তকের