পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડેરીના ] তর্ক সংগ্ৰহ Wyo হইয়া একটা কাৰ্য্য উৎপাদন করিয়া থাকে। তবে আমরা যে অনেক স্থানে এক একটকে কারণ বলিয়া নির্দেশ করি তাহার প্রতি হেতু এই যে, একটী কাৰ্য্য উৎপন্ন হইতে যে সকল ঘটনার পূর্বে থাকা আবশ্বক তাহারা সকলেই যে ঠিক অব্যবহিত পূৰ্ব্বক্ষণে সংঘটিত হয়, তাহা নহে, তাহাদের মধ্যে অনেকেই অনেক পূৰ্ব্বকাল হইতে সঞ্চিত হইতে থাকে। এইরূপ সঞ্চিত হইতে হইতে উহাদিগের মধ্যে যেটা কার্যোর ঠিক অব্যবহিত পূৰ্ব্বে সংঘটিত হয় তাহাকেই আমরা কারণ বলিয়া গণনা করি। যেমন কোন ব্যক্তিকে দুর্গোৎসব বা আদ্যশ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ রক্ষার পর মৃত্যুমুখে পতিত হইতে দেখিয়া আমরা তাহার সেই ভোজনকে তাদৃশ কার্য্যের কারণ মনে করিয়া এই বলিয়া খেদ করি “আহা ! ব্রাহ্মণ পেটের দায়ে প্রাণটা হারালে গা !” কিন্তু বাস্তবিক দেখিতে গেলে কেবল ভোজনই যে মৃত্যুর কারণ তাহা কখনই হইতে পারে না, ইহার পূৰ্ব্বে অবশ্যই ঐ ব্যক্তির শরীরে এরূপ কোন ব্যাধির সঞ্চার হইয়া থাকিবে যাহার সহিত ঐ ভোজন মিলিত হইয়া একবারে মৃত্যুর উৎপাদক হইল । এখানে একথা বলা আবশ্যক হইতেছে যে, যেমন বিশেষ বিশেষ বস্তু পূৰ্ব্বে থাকিলে বিশেষ বিশেষ কার্য উৎপন্ন হয় সেইরূপ বিশেষ বিশেষ বস্তু পূর্বে থাকিলে আবাব কোন কোন কার্য্য উৎপন্ন হয় না, উতাদিগকে কার্য্যের প্রতিবন্ধক বলা যায । এষ্ট প্রতিবন্ধক যখন কাবণেব অপেক্ষা অধিক বলশালী হয় তখনকার ত কথাই নাই, উহা কারণের সহিত তুলা বল হইলেও কার্যোৎপত্তি হয় না। যেমন কোন বস্তুব উপব যে দিকে বল প্রয়োগ কবা যায় বস্তু তদভিমুখেই গমন করে, কিন্তু বস্তুর দুষ্ট বিপৰীত দিকে তুলা বল প্রযোগ করিলে বস্তু কোন দিকে গমন করে না একস্থানে স্থির হইয়া থাকে। ইহার দ্বারা এই স্থির হইতেছে যে একটা কার্য উৎপন্ন হইবার পূৰ্ব্বে যেমন কোন কোন বস্তুর থাকা আবশ্বক করে সেইরূপ একটা কাৰ্য্য উৎপন্ন হইবার পূৰ্ব্বে কোন বস্তুর না থাকাও আবশ্বক করে। দেখ পূৰ্ব্বোক্ত স্থির অবস্থাপ্রাপ্ত বস্তু হইতে যদি একতর দিকের বল উদঘাটন করা হয়, তাহা হইলে বস্তুর অন্ততর দিকে গতি হয় । অতএব পূৰ্ব্বভাবের ( থাকার ) স্বায় পূৰ্ব্বাভাবও (পূৰ্ব্বে না থাকাও ) কার্ধ্যের কারণ হইতে পারে এই নিমিত্ত বৈশেষিক সূত্রের উপস্কারকার শঙ্কর মিশ্র দুই প্রকার কারণ লক্ষণ করিয়াছেন যথা— “অনন্যথাসিদ্ধ নিয়ত পূর্ববৰ্ত্তি জাতীয়ত্বং সহকারী বৈফল্য প্রযুক্ত কাৰ্য্যাভাববত্বং বা কারণত্বম।” অভাবের কারণত দেখাইবার জন্য আমরা আর তুই একটি উদাহরণ দেখাইতে বাধ্য হইলাম। যেমন দুঃখের অভাব হইলে মুখ হয়, শারীরিক . নিয়ম