পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գe वधकाङ्क्षत्रि [*षाळै 嘯 দশম পরিচ্ছেদ বাঙ্গা ঠাকুরুণ অতি অল্পদিন হইল, আমি কোন বুদ্ধিমতী মহিলার সহিত কথোপকথনে প্রবৃত্ত ছিলাম। বোধ হইল, জটাধারীর রোজনামচাব কিয়দংশ সুমতি পাঠ কবিয়া সন্তুষ্ট হইয়াছেন—ইহাও জটাধারীব সৌভাগ্য কাবণ স্ত্রীলোকে ত নিন্দাবাদ জানেন না । যাহা হউক সন্তুষ্টি প্রকাশেব বিশেষ কাবণ মহিলা এই বলিয়া নির্দেশ কবেন যে “এখন পর্যান্ত জটাধারা আমাদের অঙ্গস্পর্শ করেন নাই—যাহাবা চিন্তপট লিখিতে প্রবৃত্ত হন, তাহারা প্রথমতঃ স্ত্রীজাতিব চিত্ত ভ্রম অঙ্কিত কবিয়া আমাদেব মুখে কলঙ্ক লেপন কবেন ; আবার দেখি সংসারপটে দুই একটি কোমলাঙ্গাব প্রতিমূৰ্ত্তি অঙ্কিত না হইলেও ছবিটি শোভাঙ্গীন ও অসম্পূর্ণ হইয়া পড়ে (" মহিলার এ কথাগুলি শুনিয়া অবধি আমি ভাবিতেছিলাম, “স্ত্রী-নিন্দ কি গুরুনিন্দ অপেক্ষা অধোগতিক মূল যে, সেই সম্বন্ধে কোন কথা সত্য হইলেও তালোচনা কবিতে কাতৰ হইব ?” আমি ত বিনাকারণে কাহারও মুন্দর অঙ্গের ক্ষুদ্র তলটি পর্য্যস্ত দেখাইতে ইচ্ছক নতি ; যদি দেখাইয়া দিই, তখন মনে কবি, যে ছুরি লইয; চাচিযা ফেল না ফল, ঔষধ দিয়া আরাম করিতে পার, কব—গৌরাঙ্গার গা হাব ও গোৱা দেখাইবে । সুন্দীদের আরো সতত মনে করা উচিত যে জটাধারা তাতাদের নিতান্ত বন্ধু, যখন কটু কথাও কহিয়া থাকি, তখন কেবল তাতাদের কোমল মন ও কোমল অঙ্গ নিৰ্ম্মল দেখিতে ইচ্ছা করি, কিন্তু বিনা দলনে মলা উঠিবাক নহে, এ কথাও মনে করা উচিত । এ দিকে যেমন তিলট পর্য্যস্ত দেখি, অপর দিকে আবার সুন্দরীগণের স্নেহ, দয়া, প্রীতি-সুধা-সার-সুনিৰ্ম্মিত হৃদয়ের গুণ সকলের বলিহারী দিয়া থাকি । বাল্যকাল হইতে এই স্নেতের অনেক পরিচয় পাইয়াচ্ছি—এই স্নেহ কলুষিত বিপদ জলেব নিৰ্ম্মলী বলিয়া থাকি ; দরিদ্র, ভিক্ষুক পীড়া-প্ৰপীড়িত শয্যাগত ব্যক্তির অন্তঃকৰণে সেই স্নেহ, শুদ্ধ মরুভূমে অমৃতবিন্দুর ন্যায় পতিত হইয়া থাকে, সুন্দরীর মনে সুন্দর গুণ থাকিলে হার ও সুনীর দেখি ; সেই জন্যই অতি অল্প বয়স হইতে আমি সুন্দরী সুধাৰ্ম্মিকাগণের বিশেষ প্রশংসাবাদক হইয়াছি—যখন বালক ছিলাম, গ্রামের সমবয়স্ক সমস্ত বালিকার আমি “জটা দাদা" ছিলাম। কামিনীর পিঠে নগা একটি কিল মারিয়া মুড়ির পালিটি লষ্টয়া পলাইল, প্রফুল্লর চুলেরদড়িটি গোপলা লষ্টয়া কাঠের ঘোড়ার লাগাম করিল—মোহিনীর ক্ষুত্র ধুতিখানি দেবী পরিয়া বাজনা শুনিতে দোঁড়িল, এইরূপ অনেকগুলি নালিশ জামাকে