পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৫ } जून्ाजन्विनौ। qq হওয়া যায় না। যে মাত্রায় কুন্দনন্দিনী প্রকৃত জীবনের উপর দাড়াইয়া আছেন, সেই মাত্রা, কবির চিত্রবিভাস, তাহাই কাব্য-স্থষ্ঠি । প্রকৃত জীবনে বঙ্গগুহলক্ষ্মী তাহার অনেকদূর নিকটবৰ্ত্তিনী হইতে পারেন, কিন্তু ঠিক সেই উচ্চতায় উঠিতে পারেন না। প্রকৃত জীবনের উপর এই অত্যন্ত্র মাত্রায় উচ্চতা দেওয়া কবির কাৰ্য্য ; এই উচ্চতা কেবল উপন্যাসে ও কাব্যেই প্রাপ্ত হওয়া যায়। যিনি কবি নহেন, যিনি সামান্ত লেখক, তিনি এই বর্ণগৌরব, প্রকৃত চিত্রে এই বর্ণবিভাস দিতে সমর্থ হয়েন না । এই ঈষৎ চিত্র-রঞ্জন সূৰ্য্যমুখী ও কমলমণিতেও আছে, তবে তাহাদিগের চিত্রের সহিত কুন্দনন্দিনীর চিত্রেব প্রভেদ এই, কোমলবর্ণ বঙ্গগৃহবধু কুন্দনন্দিনীতে কোমলতর বর্ণ প্রাপ্ত হইয়াছে এবং সূর্যমুখী ও কমলমণি উজ্জলবর্ণে উজ্জলতর হইয়াছেন। প্রকৃত জীবনের চিত্র বঙ্কিমবাবু অল্পই লিথিয়াছেন । কিন্তু তাতার বিষবৃক্ষ সমুদায় প্রকৃত জীবনের চিত্র। অথচ প্রকৃত জীবনের চিত্র ধরিলে, বঙ্কিমবাবুর স্যায় ভাবচিত্রকর সেই চিত্রে কেমন কাব্য-সৃষ্টি দেখাইতে পারেন তাহা বিষবৃক্ষের চিত্রাবলীতে স্পষ্টবর্ণে প্রতীত হয় । ভাবময়ী কুন্দনন্দিনী কোমলতায় পবিপূর্ণ। কুন্দনন্দিনীর যদি কিছু গুণ ও সম্পত্তি থাকে তাতা তাতার হৃদয়, প্রেম, সহৃদয়তা ও কোমলতা । শেলির লক্ষাবর্তী লতা এতদূর কোমল প্রকৃতি নহে । তাতাৰ হৃদয় ভাবে সৰ্ব্বদাই উদ্বেলিত হইত। তিনি স্বভাবগুণে কোমলভাবকে কোমলতব করিতেন । তাহার ভাবোম্বেগ হৃদয়কে স্তম্ভিত কবিয়া রাখিত । কখন আশ্রধাবায় বিগলিত হইত । অশ্রধারাই সে হৃদয়পূর্ণতার বাহবিকাশ। স্বর্যমুখী হৃদয়ভাবকে সুন্দর প্রকাশিত করিতে জানিতেন । এমত কি অনেক সময় তাহার ভাবব্যক্তি হৃদয়স্থ ভাৰকে সুন্দরতর করিয়া দেখাইত। কুন্দনন্দিনী ভাব প্রকাশ করিতে জানিতেনু না । তাহার ভাব নিজেই প্রকাশিত হইয়া পড়িত, ভাবপূর্ণতা উথলিয়া পড়িত । কিন্তু তাহার এই নিগূঢ় ভাববিকাশ কি সূৰ্য্যমুখীৰ সহিত সমান অর্থপূর্ণ ছিল না ? যিনি তাহা পড়িতে জানিতেন, অশ্রধাবা ও অফুট বাক্স্কৃৰ্ত্তি র্তাহার নিকট অধিকতর অর্থপূর্ণ বোধ হইত। কমলণি তাহার নিগূঢ় অর্থ তন্ন তন্ন বুঝিতেন । নগেন্দ্র তাহার কিছুই বুঝিতে পাপ্লিতেন না । কুন্দনন্দিনীর অগাধভাবপূর্ণতা কখন নীরবতায় কখন অশ্রুধারায়, কখন একটিমাত্র ক্ষুদ্র কথায অর্থপূর্ণ হইয়া প্রকাশিত হইত। সে বিকাশ সূৰ্য্যমুখীর বাক্পূর্ণতা অপেক্ষাও অধিকতব অর্থপূর্ণ। সূৰ্য্যমুখীর বাকপূর্ণত হৃদয়ের অস্তস্থল পর্যান্ত মুম্পষ্ট প্রকাশিত করিত। কুন্দনন্দিনীর অবাক্স্কৃত্তি হৃদয়ের আভাস মাত্র দিত। সে হৃদয় কত গভীর, কত পূর্ণ সম্যক প্রকাশিত করিত না । ষাহা প্রকাশিত হইয়া পড়িত তাহ। হৃদয়ের অফুটঙাৰ ব্যক্তি। সে ক্ষুদ্র আলোকে তাহার হৃদয়ের পূর্ণতা মাত্র