૧ના श्वश्क्ष्ंबिका। [ खाई দেখাইত, গভীরতার আভাস মাত্র দিত। দেখাইত, কুন্দনন্দিনীর যাহা কিছু সৌন্দর্য্য তাহা তাহার ভাবপূর্ণ সরলতাময় সুন্দর হৃদয় । সেই হৃদয়ের গভীরতা কত, সে আলোকে দেখা যাইত না । বোধ হইত সেই হৃদয়গভীরে অনেক রত্ব নিহিত আছে। এই পূর্ণ হৃদযেব কি বাহবিকাশ হয় ? হৃদয় ফাটিয়া ইহার কিঞ্চিস্মাত্রা সময়ে সময়ে বাহিরে বহিয়া পড়ে। নীরবতা ইহার স্তম্ভিতভাব দেখায়, অশ্রুধারা ইহার কোমলতা দেখায়, এবং তুই একটি মৃত্যু কথা মাত্র হইার গাম্ভীর্যা ও সুন্দরতা দেখায়। অবাকৃষ্ণুৰ্ত্তি কুন্দনন্দিনীব প্রকৃতি-বিশেষ নহে, কিন্তু ইহা তাহার প্রকৃতি বিশেষেৰ ফল। যে বাপীকৃলে প্রদোষকালে একদা কুন্দনন্দিনী বসিয়া নীলপ্রভ জলরাশিতে প্রতিবিম্বিত আকাশচিত্রে জলের গাম্ভীর্যা দেখিতেছিলেন, কুন্দনন্দিনী জানিতেন না যে, সেই স্থির নীলবর্ণ, কাল জলরাশি তাতার হৃদয়ের সদৃশ বলিয়াই সেখানে বসিয়া তিনি হৃদয়েব প্রতিবিম্ব দেখিতে লাগিলেন, হৃদয় একবাব অধ্যয়ন কবিলেন, সে জলে তিনি নিজে নিমজ্জিত হইতে পারিলেন না ; তাহ অপবকে নিমজ্জিত কবিতে পারিত । কুন্দনন্দিনীর হৃদয় তেমতি তবল, তেমতি পূর্ণ, তেমতি নীল, তেমতি কালিমায় সুগভার। যে হৃদয়াকাশ ইহার উপব আসিয়া পড়িত, তাহার সুন্দর তারকাবলী ইহাতে প্রতিবিম্বিত হইয়া ইহাব সন্দের্য্য বৰ্দ্ধন করিত, ইহাব গাম্ভীৰ্য্য দেখাইভ, ইহার কালিম এবং তরলতা প্রকাশিত করিত । সূৰ্য্যমুখী সেই হৃদয়াকাশ, নগেন্দ্র সেই হৃদয়াকাশ এবং কমলমণি সেই অশেষ তারারাজিত হৃদয়াকাশ । কুন্দনন্দিনী কেবল নগেন্দ্রকেই প্রতিবিম্বিত করিয়াছিলেন এমত নহে, সূৰ্য্যমুখীরও বিরহে, কাতরা, এবং কমলমণির সমক্ষে হৃদয়-বক্ষ খুলিয়া দিয়াছিলেন । তাহাতে কমল হৃদয়ের তাবারাজি ফুটিয়াছিল বটে, কিন্তু সে আলোকে কুন্দনন্দিনীর হৃদয় আলোকিত হয় নাই, তাহার নীলিমা, গভীরতা ও তরলতাই প্রকাশ করিয়াছিল । বঙ্গগৃহবধূ যখন অবগুণ্ঠনে নিজ মুখমণ্ডল আবরিত করিয়া রাখেন, তখন কেহই জানিতে পারেন না সেই অবগুণ্ঠন মধ্যে কি রূপরাশি লুক্কায়িত আছে। সেই অবগুণ্ঠন বিমুক্ত হইলে যখন অচিরাং এক অপূৰ্ব্ব মোহিনীমূৰ্ত্তি তোমার নিকট প্রকাশিত হয় ; তখন দেখিয়া চমকিত হও, সে কি রূপ ?—না কমলকাস্তি, সেই কমলের ন্যায় প্রস্ফুটিত সুন্দর, নবীন, মধুর, প্রফুল্প অথচ সুকুমার ; সে কি রূপ ?—না চন্দ্রবিভা, সেই চন্দ্রের স্তায় উজ্জ্বল, স্নিগ্ধ, কোমল অথচ আলোকময় ; নয়ন মুদিত আছে, নহিলে সে নয়নকটাক্ষে তোমার হৃদয় এখনি .অস্থির হইত, কুম্মশর কোমল কি তীক্ষ এখনি জানিতে পারিতে ৯ অধরে বর্ণরাগ
