পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন। নীেকার l 'לס\ শৈলজ। জিজ্ঞাসা করিল, “ভাই, আজ কি তোমার শরীর ভাল নাই ? মাথা ধরিয়াছে ?” কমলা কহিল, “লা । খুড়ামশায়কে দেখিতেছি না কেন ?” শৈল কহিল, “ইস্কুলে ৰঙুদিনের ছুটি আছে—দিদিকে দেখিবার জন্ত মা তাহাকে এলাহাবাদে পাঠাইয়া দিয়াছেন–কিছুদিন হইতে দিদির শরীর ভাল নাই ।” কমলা কহিল—“তিনি কবে ফিরিবেন ?” শৈল । তার ফিরিতে অস্তত হুগুiথtrনক দেরি হইবার কথা । কেন ভাই, র্তার কাছে কি তোমার কোনো দরকার আছে ? ঠিক কি দরকার, তাহ কমলার পক্ষে বলা শক্ত, কিন্তু খুড়ার জন্ত তাহার মনের মধ্যে একটা ব্যাকুলতাবোধ হইতেছে। এক মুহূর্তের মধ্যে কমলা নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাশ্রয় 'অম্ভৰ করিয়া একটা নির্ভরের জন্ত ব্যগ্র হইয়া উঠিয়াছে। কি করিবে, কি হইবে, তাছা ভাল করিয়া ভাৰিয়া উঠিবার এখনো সময় পায় নাই, কেৰল ক্রস্ত হৃদয় ভিতরেভিতরে একটা-কিছু খুজিয়া বেড়াইতেছে। শৈল কছিল,“তোমাঞ্ছদর বাংলা-সজানো লইয়া তুমি সমস্তদিন বড় বেশি পরিশ্রম কর, 원t Cir T5, 1 অjজ সকাল-সকাল থাইয় গুইতে সাও !” শৈলকে কমলা যদি যুকল কথা বলিতে পারিত, তবে বাচিয় যুইত—কিন্তু বলিবার কধ নয় । “যাহাকে এতকাল আমার স্বামী বলিয়া জানিতাম, সে অামার স্বামী নয়,” এ কথা আর যাহাকে হেীকৃ, শৈলকে কোনোমতেই বলা যায় না । কমলা শোবার ঘরে আসিয়া দ্বায় বন্ধ করিয়া প্রদীপের আলোকে আর একবার রমেশের সেই চিঠি লইয়া বসিল । চিঠি যাহাকে উদ্দেশ করিয়া লেখা হইতেছে, তাহার নাম নাই, ঠিকানা নাই—কিন্তু সে যে স্ত্রীলোক এবং রমেশের সঙ্গে তাহার ৰিবাহের প্রস্তাষ হইয়াছিল ও কমলাকে লইয়াই তাহার সঙ্গে সম্বন্ধ ভাঙিয়া গেছে, তাহ চিঠি হইতে স্পষ্টই বোঝা যায় । যাহাকে চিঠি লিখিতেছে, রমেশ যে তাহাকেই সমস্ত হৃদয় দিয়া ভালবাস্তুে এবং দৈবছুৰ্ব্বিপাকে কোথা হইতে কমলা তাহার ঘাড়ের উপর অসিয়া श्रृंख्नां८डझे মনাথার ७धडि नम्र कब्रिब्रl caहे ভালবাসার বন্ধন সে অগত্য চিরকালের মত ছিন্ন করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে, এ কথাও চিঠিতে গোপন নাই । 像 সেই নদীর চরে রমেশের সহিত প্রথম