পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

." তৃতীয় সংখ্যা। ] মনের মত হইবে, সে চিঠি এখনি লেখা সম্ভব হইবে না । কেন না, চিঠি দুজনের জিনিষ —কেবল এক পক্ষ মূখন চিঠি লেখে, তখন সে চিঠিতে সব কথা ঠিক করিয়া লেখা চলে না-তোমার্তে আমাতে যেদিন মন জানাজানির বাকি থাকিবে না, সেইদিনই চিঠির মত চিঠি লিখিতে পারিব । সামনাসামনি দুই দরজা খোলা থাকিলে তখনি ঘরে অবাধে হাওয়া খেলে । কমল, প্রিয়তমা, তোমার হৃদয় কবে সম্পূর্ণ উদঘাটন করিতে পারিব । “এ সব কথার মীমাংসা ধীরে ধীরে, ক্রমে ক্রমে হইবে—ব্যস্ত হইয় ফল নাই । যেদিন আমার চিঠি পাইবে, তাহার পরের দিন সকালবেলাতেই আমি গাজিপুরে পৌছিব । তামার কাছে আমার অনুরোধ এই, গাজিপুরে পৌঁছিয়া আমাদের বাসাতেই যেন তোমাকে দেখিতে পাই । অনেকদিন গৃহহারার মত কাটিল—আর আমার ধৈর্য্য নাই *এবারে গৃহের মধ্যে প্রবেশ করিব—হৃদয়লক্ষ্মীকে গৃহলক্ষ্মীর মূৰ্ত্তিতে দেখিব। সেই মুহুর্তে দ্বিতীয়বার আমাদের শুভদৃষ্টি হইবে। মনে আছে আমাদের প্রথমবার সেই শুভদৃষ্ট? সেই জ্যোৎস্নারাত্রে, সেই নদীর ধারে, জনশূন্ত বালুমরুর মধ্যে ? সেখানে ছাদ ছিল -না, প্রাচীর ছিল না, পিতামাতাম্রাত-আত্মীয়প্রতিবেশীর সম্বন্ধ ছিল না সে যে গৃহের একেবারে বাচিরু। সে যেন স্বপ্ন, সে যেন কিছুই সত্য নহে। সেইজন্স আর একদিন স্নিগ্ধ-নিৰ্ম্মল প্রাতঃকালের আলোকে গৃহের মধ্যে, সত্যের মধ্যে সেই শুভদৃষ্টিকে সম্পূর্ণ করিয়া লইবার অপেক্ষ আছে। পুণ্যপীষের প্রাতঃকালে ਾਂ । >*> . মূৰ্ত্তিখানি চিরজীবনের মত আমার হৃদয়ের মধ্যে অঙ্কিত করিয়া লইব, এইজন্ত আমি আগ্রহে পরিপূর্ণ হইয় আছি। প্রিয়তমে, আমি তোমার হৃদয়ের দ্বারে ་་ཨ་༑་རྩfཕེ--- আমাকে ফিরাইয়ে না। o প্রসাদভিক্ষু রমেশ ।” 8 o শৈল স্নান কমলাকে একটুখানি উৎসাহিত করিয়া তুলিবার জন্ত কুহিল, “আজ তোমাদের বাংলায় যাইবে না ?” কমলা কহিল—:"ন, আর দরকার নাই ।” & শৈল । তামার ঘরসাজানো শেষ হইয়া গেল ? কমলা । ইঁ। ভাই, শেষ হইয়া গেছে ! কিছুক্ষণ পরে আবার শৈল আসিয়া কহিল, “একট। জিনিষ যদি দিই ত কি দিবি বল ?” কমলা কহিল, “ আমার কি আছে দিদি ?” শৈল । একেবারে কিছুই নাই ? কমলা । কিছুই না । শৈল কমলার কপোলে করাঘাত করিয়া কহিল, “ইস, তাই ত,—যা কিছু ছিল, সমস্তই বুঝি একজনকে সমর্পণ করিয়া দিয়াছিস ? এটা কি বল দেখি ?”—বলিয়া শৈল অঞ্চলের ভিতর হইতে একটা চিঠি বাহিৰ করিল। লেফাফয় রমেশের হস্তাক্ষর দেখিয়া কমলার মুখ তৎক্ষণাৎ পাংশুবর্ণ হইয়া গেল— সে একটুখানি মুখ ফিরাইল ! শৈল কহিল—“ওগো, আর অভিমান দেখাইতে হইবে না, ঢের হইয়াছে ! এদিকে আমাদের গৃহদ্বারে তোমার সরল সহান্ত চিঠিখান ছে৷ মারিয়া লইবার জন্য भनप्लेब्र