পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা। ] একান্ত নষ্ট হয় না, কিন্তু সুপ্তভাবে সূক্ষ্মাকারে থাকে। অজ্ঞান জ্ঞানের অত্যত্তিক অভাব নছে । উহা বস্তুসম্বন্ধে আংশিক জ্ঞান উৎপন্ন করে। পরে দর্শিত হইবে যে, অংিশিক জ্ঞান বিপরীতবুদ্ধি বা ভ্রম উৎপন্ন ੇ । তজ্জন্যই আংশিক জ্ঞান অজ্ঞান বা পুর্ণজ্ঞানের বিরোধী । বিজ্ঞানের উদ্দেশু বিরোধকে একত্বে পৰ্য্যবসিত করা । তজ্জন্ত বিরোধকে অবলম্বন করিয়া বিজ্ঞানশাস্ত্র স্বচিত হয় । বিরুদ্ধধৰ্ম্মীর বিরোধের অপবাদ করিয়া অভেদভাবের প্রতিষ্ঠাকে অপবাদগুণয় ( dialectic) বলে । এই অপবাদরীতি অবলম্বনে বেদান্তবিজ্ঞান ভেদবহুলতাকে উচ্চ হইতে উচ্চতর একতায় লইয়া যায়—অবশেষে ভূমার অনন্ত অধিকারে সমস্ত দ্বৈতবিরোধের তিরোধান নিম্পন্ন করে । পাশ্চাত্য নবীন স্তায়ের আরম্ভ সদসদবিরোধের উপর প্রতিষ্ঠিত | সৎ ( being ) •আসতের ( non-beingএর ) বিরোধী—এই সিদ্ধাস্তটি উহার মূলে রক্ষিত হইয়াছে। কিন্তু এই সদসত্তের বিরোধ কাল্পনিক। প্রথমত সৎ কিংস্বরূপ, তাহ আমার জানা .প্রয়োজন। আমার জ্ঞানকে অতিক্রম করিয়া যদি অস্তিকে ধরিতে যাই, তাহ হইলে পূন্তে লম্ফ প্রদান করা হয় । দ্বিতীয়ত অসৎ—ধাহা সম্পূর্ণ অভাবময়—ন্তায়ের তর্কজালুবিস্তারের একটা কাল্পনিক উপায় डिब्र जांब्र किङ्कहे नरश् ।। ७éकांद्र भूछउी বিরোধ তুলিতে পারে না । তজ্জন্ত জ্ঞানবিরোধী দ্বসূল অজ্ঞান, বা আংশিক জ্ঞান (experiênce yo nègsfrifwą °ēstutst সোপান। " 参考 বেদান্তের প্রথম কথা। • $లిస్టి পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অজ্ঞান আংশিকজ্ঞানরূপে দৃষ্ট হয়। আবার আংশিক জ্ঞান বিপরীতবুদ্ধি উৎপন্ন করে। “অতৃশ্বিংস্তন্মুদ্ধিঃ” —যে বস্তু যাহা নয়, উহাকে তাহাই মনে করা বিপরীতবুদ্ধি । ইহার অপর সংজ্ঞা ভ্ৰম বা অধ্যাস । অামাদের সমস্ত ধারণা এই ভ্ৰমাত্মক-অধ্যাস-রচিত। তবে আমি যে লেখনীর দ্বারা লিখিতেছি, তাহা লেখনী নহে, কিন্তু সপ—এতদ্রুপ ভ্রমু নহে । জ্ঞানেন্দ্ৰিয়সকল আমাদিগকে কখন প্রবঞ্চিত করে না। অন্ধকারে রঞ্জু সর্পধং প্রতীয়মান হইতে পারে। ইন্দ্রিয়গণ কি এস্থলে আমাদিগকে প্রতারিত করিয়া ভ্ৰমে নিক্ষেপ করে ? —কদাচ নহে । রজ্জতে শব্দস্পর্শরূপরসগন্ধ পঞ্চবিষয়ই বর্তমান । যদি আমি নেত্রভুগাদি পঞ্চেন্দ্রিয়ের দ্বারা রজ্জকে পরীক্ষা করিতাম, তাহা হইলে রজ্জ্ব রজুরূপেই প্রতীত হইত, সপরাপে প্রকাশ পাইত না । অন্ধকাৰুে চক্ষুর যতদুর কার্য্য করা সাধ্য, ততদূর করিয়াছে ;—অদ্যান্ত ইন্দ্রিয়ের সাহায্য না পাইয়া রজুর সর্পসাদৃশুকে সর্পবৃষ্ঠে পরিণত করিয়াছে । যাহা পঞ্চেন্দ্রিয়ের দ্বারা নির্ণের, তাহাকে একটিমাত্র ইঞ্জিয়ের দ্বারা পরীক্ষা করিলে প্রতারিত হইবার সম্ভাবনা । তবে যদি কেহ বলে যে, সকল ইন্দ্রিয়গুলি মিলিয়া প্রতারণা করিতে পারে, সে বলার কোন অর্থ নাই, নিখিল মানবকুল যদি প্রবঞ্চক হয়, তাহা হইলে বঞ্চনাকেই সাধুতা বলিতে হইবে। অধ্যাসের অর্থ ইহা নয় যে, যখন একটি অশ্ব দৃষ্ট হয়, সেটি অখ নহে, কিন্তু গর্দভ বা অন্ত কোন জন্তু, অথবা তাহ বস্তুপরিনিষ্টিত নহে, কেবল কল্পনা । কোন