পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. S8 R [ ৪র্থ বর্ষ, জাম্বাঢ়। : এই প্রমাদের উৎপত্তি হইয়াছে। সমগ্র বেদাস্তের ইহাই নিম্পত্তি ষে, চিদানন্দই চরমৰৰ। আচাৰ্য্যদিগেরওঁ এই সিদ্ধান্ত। গৌড়পাদ আচাৰ্য্য জ্ঞানকে ङेौझ অবস্থা বলিয়াছেন। শঙ্করাচাৰ্য্যের ত কথাই নাই। সদানন্দ যোগীন্দ্র বেদান্তসারে ঐক্কপ বলিয়াছেন। পঞ্চদশীকার বলেন যে, স্বয়ম্প্রভা সংবিৎই পরমাত্মা । জ্ঞানাতীত বা জ্ঞানাতিরিক্ত কোন বস্তু থাকিতে পারে না" জ্ঞাতৃত্ব ও জ্ঞেয়ত্বের পুর্ণ সমন্বয়ই জ্ঞান। জ্ঞান দ্বৈতভেদের ( differentiationeaz ) SIZofzēt gifte zili তাহার অস্তরেই জ্ঞাতা ও জ্ঞেয়ের আদানপ্রদান । জ্ঞান আত্মস্থিত, স্বপ্রতিষ্ঠ, আত্মসঙ্গত। জ্ঞান পূর্ণ, নিক্রিয়, অসঙ্গ, আত্মরত। জ্ঞানবস্তুর অস্তিত্ব ব্যতিরেকে আংশিক জ্ঞান অসম্ভব। আংশিক জ্ঞান পুর্ণজ্ঞানের দ্বার প্রেরিত হইয়া পূর্ণতার দিকেই ধাবিত হয় । আমরা আমাদের সকল ধারণাতেই জ্ঞানময় আত্মত্বকে বরণ করি । আনাত্মে আঞ্চসঙ্গতি আরোপ না করিলে কোন পদার্থের বোধ হইতে পারে না । অংশের আরম্ভ পূর্ণত্বে ও শেষ পুর্ণত্বে । সৰ্ব্বময় জ্ঞান না থাকিলে অংশময় ভ্রম বা অধ্যাস কল্পনায় আসে না । দ্বৈতবিশিষ্ট আংশিক জ্ঞান অবশিষ্ট অদ্বৈর্তজ্ঞানকে অকাট্যরূপে প্রতিপন্ন করে। ’ o এই বিশ্বসংসার জ্ঞানেরই রঙ্গভূমি— জানাজালির এক বৃহৎ আড়ম্বর। ঐ যে শিশু অৰ্ধস্তিমিতলোচনে স্তম্ভপান করিতেছে, জার জননীকে মুখস্পর্শেবিহবল করিতেছে— ঐ ৰে পেটুক পায়সসিক্ত স্বঙ্কণী লেহন করি তেছে—ঐ যেবিলাসী শ্ৰকৃচন্দনাদি-সম্ভোগলালসায় আকুল হইয়াছে— ঐ যে কঙ্কালসার সমাধিমগ্ন যোগী ভূমানন্দে আত্মহারা হইতে প্রয়াস করিতেছে—এই সমস্ত ব্যাপার জ্ঞানगांश्नरब्रव्र उब्रक्रडत्र डिब्र आग्न किङ्कहे नंश् । হর্ষ-শোক, প্রতি-দ্বেষ, ধৰ্ম্ম-নীতি, বিধি-ব্যবস্থা, শীল-সভ্যতা—জ্ঞাতা ও জেম্বের এক মুনিয়ত মিলনচেষ্টামাত্র । অচেতন জড়ও জ্ঞানের অন্তর্গত। বেদান্ত বলেন ষে, জড় অস্তিমাত্র নহে, উল্লাহ ভাতি -- অর্থাৎ জ্ঞেয় হইয়া জ্ঞাতাকে সদtট আহবান করিতেছে । জড় জ্ঞানপক্ষে একেবারে নিষ্ক্রিয় নহে । জ্ঞাতাই, নিজ বলে জড়কে জানে, কিন্তু জড় জ্ঞান প্রক্রিয়ায় কোনরূপ কর্তৃত্ব করে না—এইরূপ সিদ্ধান্ত ভ্ৰমাত্মক । ঐ যে স্থৰ্য্যচক্ৰতারা জ্যোতি বিকীর্ণ করিতেছে, উহা কেবল জড়ময় ক্রিয়া নহুে—উহ! পুর্ণজ্ঞান, জ্ঞেয়রূপে ফুরিত হইয়া জ্ঞাতৃপক্ষকে আমন্ত্ৰণ করিতেছে। যদি আমস্ত্রণ না করিয়া জ্ঞাতৃত্বের প্রতিকুল আচরণ করিত, সাধ্য কি যে, কেহ তাহাদিগকে জ্ঞানের অধিকারভুক্ত করে । তরঙ্গিত নদী বা মলয়সমীরণ বা শু্যামল উপবন প্রিয়জনের স্তায় আদৃত, গৃহীত ও অধিকৃত হইতে ধীরে ধীরে ইঙ্গিতভঙ্গি প্রদর্শন করে বলিয়াই আমি উহাদের মাধুরী সম্ভোগ করিতে পারি।. আমি একটি বস্তু জানি, অথচ উহা আমার জ্ঞানাধিকার স্বীকার করে না- ইহা অগস্তল । চেতন হউক বা অচেতন হউক, সকল পদার্থই তাতিরূপ-জ্ঞাতৃজ্ঞেশ্বরপে জ্ঞানবস্তুর প্রকাশ। জ্ঞাতা, জ্ঞেয়কে জাকৰণ করে, জ্ঞেয় জলতাকে আহবান করে ও তাহার বগুত স্বীকার করে। কোন এক