পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. চতুর্থ সংখ্যা । ] গুরুদক্ষিণ । ৯৬৫ . সতীশ প্রতিদিনের ধূলিভন্মের অন্তরালে, কৰ্ম্মচেষ্টার সহস্র দীনতার মধ্যে শিবের শিবমূৰ্ত্তি দেখিতে পাইতেন, তাহার সেই তৃতীয় নেত্র ছিল । সেইজন্ত এত অল্প বয়সে, এই शिखै अन्नéांप्नब्र नभख छूर्तिलउी-अभूर्भलीनेभेउ शैनडाब भटश ॐाशब ड९गाश्-डश्रम অক্ষশ্ন ছিল, তাহার অস্তঃকরণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় নাই । বোলপুরের এই প্রাস্তরের মধ্যে গুটিকয়েক বালককে প্রত্যহ পড়াইরা যাওয়ার মধ্যে কোনে উত্তেজনার বিষয় ছিল না, লোকচক্ষুর বাহিরে, সমস্ত থ্যাতিপ্রতিপত্তি ও আত্মনামঘোষণার মদমত্তত হইতে বহুদূরে একটি নির্দিষ্ট কৰ্ম্ম প্রণালীর সঙ্কীর্ণতার মধ্য দিয়া আপন তরুণ জীবনতরী যে শক্তিতে সতীশ প্রতিদিন বাছিয়া চলিয়াছিল, তাহ খেয়ালের জোর নয়, প্রবৃত্তির বেগ নয়, ক্ষণিক উৎসাহের উদ্দীপনা নয় তাহ। তাহার মহান আয়ার স্বতঃস্ফূর্ত আত্মপরিতৃপ্ত শক্তি । বোলপুর ব্রহ্মবিদ্যালয়ের সম্বন্ধেই সতীশকে আমি নিকটে পাইয়াছিলাম, তাহার অন্তরাত্মার সহিত আমার যথার্থ পরিচয় ঘটিতেছিল। এই বিদ্যালয়ের কল্পনা আমার মনের মধ্যে যে কি ভাবের ভিত্তি অবলম্বন করিয়া উঠিয়াছে, তাহ ব্যক্ত করিয়া ন। বলিলে এ রচনা অসম্পূর্ণ থাকিবে। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে আমার কোনো বন্ধুকে আমি এই বিদ্যালয়সম্বন্ধে যে পত্র লিখিয়াছিলাম, এখানে তাছার কিয়দংশ উদ্ধৃত করা যাইতে পারে – “মাঝে মাঝে আমি কল্পনা কৰি, পুৰ্ব্বকালে ঋষিরা যেমন তপোবনে কুটীর রচনf করিয়া পত্নী, বালকবালিকা ও শিষ্যদের লইয়া অধ্যয়ন-অধ্যাপনে নিযুক্ত থাকিতেন, তেমনি আমাদের • দেশের জ্ঞানপিপাস্ক জ্ঞানীরা যদি এই প্রাস্তরের মধ্যে তপোৰন রচনা করেন, তাঁহারা জীবিকাযুদ্ধ ও নগরের সংক্ষোভ হইতে দূরে থাকিয় আপন-আপন বিশেষ জ্ঞানচর্চায় রত থাকেন, তবে বঙ্গদেশ কৃতার্থ হয়। অবশু, অশনবসনের প্রয়েtজনকে খৰ্ব্ব করিয়া জীবনের ভারকে লঘু করিতে হইবে। উপকরণের দাসত্ব হইতে নিজেকে মুক্ত করিয়া সৰ্ব্বপ্রকার-বেষ্টনহীন নিৰ্ম্মল আসনের উপর তপোনিরত মনকে প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। যেমন শাস্ত্রে কাশীকে বলে পৃথিবীর বাহিরে, তেমনি সমস্ত ভারতবর্ষের মধ্যে এই একটুখানি স্থান ধাকিবে,—স্বাহী রাজা ও সমাজের সকলপ্রকার বন্ধনপীড়নের বাহিরে । ইংরাজ রাজা হউক বা রুশ রাজা হউকৃ, এই তপোবনের সমাধি কেহ ভঙ্গ করিতে পাব্লিবে না। এখানে আমরা খণ্ডকালের অতীত ;– আমরা মুদুর ভূতকাল হইতে মুদূর ভবিষ্যৎকাল পর্য্যন্ত ব্যাপ্ত করিয়া বাস করি ; সনা তন ধাজ্ঞবল্ক্য এবং অনাগত যুগান্তর আমাদের সমসাময়িক ; কে আমাদের ষ্টেটুসেক্রেটারি, কে আমাদের ভাইসরয়—কে কোন আইন করিল, এবুং কে সে আইন উণ্টাইৱা দিল, আমরা সে খবর রাখি না । আকাশ তাহার গ্রহঁতারকা-মেঘরৌদ্রে এবং প্রাস্তর তাহার তৃণে গুন্মে ও ঋতুপৰ্য্যয়ে আমাদের প্রাত্যহিক খবরের কাগজ। আমাদের তপোবনবাসীদের জন্মমৃত্যুবিবাহের অমুষ্ঠানপরম্পর এখানকার নিভৃতশাস্তি ও